ভাঙচুরের পরে। আমোদপুরের বিজেপি অফিসে। নিজস্ব চিত্র
দুই দলের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল সাঁইথিয়ার পারগ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গণ্ডগোল বেঁধেছিল বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থদের মধ্যে। দু’পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রোশে হামলার অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ জানায়, ঘটনায় আহত হন দু’পক্ষের ৪ জন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির দলীয় অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ মানেননি। ঘটনাটি সাঁইথিয়ার পারগ্রামের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই গ্রামে একটি অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠান ছিল। নিমন্ত্রণবাড়ি থেকে ফিরছিলেন নিরিশা গ্রামের কয়েক জন তৃণমূলকর্মী। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, পারগ্রামে বিজেপির কয়েক জন কর্মী তাঁদের মারধর করে। তাঁদের বাঁচাতে ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা গেলে তাঁরাও হামলার মুখে পড়েন।
বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা অভিযোগ, তাঁদের কয়েক জন সমর্থক নিমন্ত্রণবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে। বিজেপির সাঁইথিয়া মণ্ডল কমিটির সভাপতি রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকেরা সিউড়ির ধর্নায় শামিল হয়েছিলেন। সেই আক্রোশেই ওই হামলা হয়। এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।’’ তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিজেপির আমোদপুরের দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের সাংড়া অঞ্চল কমিটির সভাপতি সাধন মণ্ডল বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় সম্প্রতি স্থানীয় একটি স্কুল পরিচালন সমিতির ক্ষমতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল। সেই আক্রোশে বিজেপি আমাদের দলের সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। দলের তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।’’ তাঁর নালিশ, সেই অভিযোগের মুখ ঘুরিয়ে দিতেই বিজেপিই নিজেদের দলীয় অফিসে ভাঙচুর করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় এক পক্ষ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy