ব্যস্ত: রাতেও দফতরে চলছে কাজ। নিজস্ব িচত্র
কাজ চলছে জোরকদমে। কর্মীরা কম্পিউটারের সামনে ঘাড় গুঁজে কাজ করে চলেছেন। ফাইলের স্তূপ দু’টি ঘরে।
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ এমনই ছবি দেখা গেল মুরারই ২ ব্লক অফিসে। কেন এই যুদ্ধকালীন তৎপরতা? কর্মীরা জানালেন ২৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বেরোবে। আর ১৭ তারিখ বেরোবে খসড়া তালিকা। তাই, তাঁদের ১০ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে এক মাস ধরে কাজ চলছে। সময় যত এগিয়ে আসছে, চাপ বাড়ছে। তাই কাজ চলছে দিবারাত্রি।
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মুরারই ২ ব্লকের অধীনে নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের ছ’টি পঞ্চায়েত রয়েছে। ব্লকে মোট ভোটার ১ লক্ষ ৫৯ হাজার জন। এত সংখ্যক লোকের ভোটার লিস্ট তৈরি ও সংশোধনের কাজ করতে পর্যাপ্ত কর্মী না থাকায় ১২ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়ে কাজ চলছে। সকাল ১১টা কাজ শুরু হচ্ছে। চলছে পর দিন ভোর চারটে পর্যন্ত। শুক্রবার রাতে অফিসে গিয়ে দেখা গেল, কোনও কর্মী কম্পিউটারে টাইপ করতে ব্যস্ত, কেউ নাম মিলিয়ে দেখছেন। এক অস্থায়ী কর্মী বললেন, ‘‘প্রায় এক মাস বাড়ি যাইনি। অফিসের মধ্যেই খাওয়া-ঘুম সব কিছু।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, আগে যে ভোটার লিস্ট বেরিয়েছিল, সেটি ছিল ভুলে ভরা। মিত্রপুর, কুশমোড় ১ ও ২ পঞ্চায়েতে ভুলের সংখ্যা ছিল বেশি। নিজের নাম ভুল, স্বামী বা বাবার নামে ভুল ছিল বেশি। এনআরসি, সিএএ নিয়ে এমনিতেই আতঙ্কে থাকা মানুষজনের ভুল ভোটার লিস্ট আরও আতঙ্কের সৃষ্টি করে। পাইকরের বাসিন্দা সহিদুল ইসলাম যেমন বলছেন, ‘‘আমার নামে ভুল এসেছিল। আমি সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলাম। আমরা মতো অনেককেই ভোটার লিস্টে ভুলের জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। নতুন লিস্ট পাওয়ার পরে বুঝতে পারব।’’
বিডিও (মুরারই ২) অমিতাভ বিশ্বাস বলেন, ‘‘অনলাইনে আবেদন করার জন্য আগের ভোটার তালিকায় অনেক ভুল হয়েছিল। আমাদের কর্মীরা সেই সব ত্রুটি দূর করতে লাগাতার কাজ করেছেন। আশা করি ভোটার তালিকায় এ বার ভুল কম হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy