প্রতীকী ছবি।
বকেয়া ২৮ কোটি। উঠল মেরেকেটে ৬০ হাজার!
বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকার নিরিখে রাজ্যের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বীরভূম। আর জেলার মধ্যে ক্ষতির পরিমাণে শীর্ষে মুরারই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র। গত আর্থিক বছরে ক্ষতির বহর ৪২ কোটি টাকা। ঠিক পরেই রয়েছে নলহাটি। সেখানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি। ক্ষতিপূরণ করতে এই দুই এলাকায় বিশেষ ক্যাম্প করা ছাড়াও বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি। তার পরেও যথেষ্ট সাড়া মিলছে না বলেই বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন।
বুধবার নলহাটি থানার কুরুমগ্রামে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য একটি বিশেষ ক্যাম্প করা হয়। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যাম্প থেকে দফতরের আয় হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা। যা একেবারেই আশাপ্রদ নয় বলে মনে করছেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের আধিকারিকরা। কোম্পানির রামপুরহাট বিভাগীয় আধিকারিক শুভময় সরকারের আক্ষেপ, ‘‘বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের কাছে দফতরের কর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন। ক্যাম্প করা হচ্ছে। বকেয়া বিল সহজে পরিশোধের জন্য কিস্তি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তার পরেও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে খুব একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।’’
তা হলে এ বার কী করনীয়? বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, বকেয়া পরিশোধের জন্য এলাকার জন প্রতিনিধিদের সব রকম সহায়তা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে আগামী দিনে বৈঠকের সম্ভাবনাও রয়েছে। নলহাটি এলাকায় বিদ্যুতের এই ক্ষতির জন্য বিদ্যুত চুরিকেও দায়ী করছেন কর্মীরা। মূলত দু’রকমের বিদ্যুৎ চুরি হয়। প্রথমটি যদি হুকিং হয় এবং দ্বিতীয়টি তবে মিটারে কারচুপি। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়ানোর উপরেও জোর দিয়েছেন দফতরের কর্মীরা। বিদ্যুৎ চুরি রুখতে অভিযানে পুলিশ এবং প্রশাসনের আরও সাহায্য দরকার বলেও দফতরের কর্তারা মনে করছেন।
দফতরের হিসেব বলছে, নলহাটি থানা এলাকার কুরুমগ্রাম পঞ্চায়েতে চলতি বছরের মার্চে ক্যাম্প করে গ্রাহকদের থেকে বকেয়া এক লক্ষ টাকা আদায় হয়েছিল। সেখানে বুধবার ক্যাম্প করে মাত্র ৬০ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। তা-ও আবার এলাকার বারো, তেরোটি মিলিয়ে। এই অবস্থার পরিবর্তনে মরিয়া দফতর। তাতেও কাজের কাজ কী হয়, দেখার সেটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy