বন্দি: খাঁচায় ঘুম। নিজস্ব চিত্র
খাবারের টোপ দিয়েও খাঁচায় ভরা যায়নি তাকে। অবশেষে চলল ঘুমপাড়ানি গুলি। বন দফতরের কব্জায় এল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে দুই ছাত্রকে জখম করা হনুমান। সোমবার সকালে উখড়াডিহি হস্টেলে হনুমানটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে অচৈতন্য করে ধরা হয়। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জ অফিসে।
রবিবার ওই হনুমানের হামলায় কানের একাংশ ছিঁড়েছিল উখড়াডিহি হাইস্কুলের ছাত্র স্বর্ণদীপ রায়ের। রাতেই কলকাতার পিজি হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভাশিস সিংহ বলেন, “বাঁকুড়া মেডিক্যাল রেফার করার পরেই, আমাদের স্কুলের শিক্ষক দীপঙ্কর শিকদার ও শিক্ষাকর্মী জয়ন্ত মণ্ডল স্বর্ণদীপকে নিয়ে পিজি যান। সেখানে কানে সেলাই করে রাতেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’ শনিবার ওই হনুমানের তাড়া খেয়ে রাস্তায় পড়ে জখম হয়েছিল উখড়াডিহি হাইস্কুলেরই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুশীল হেমব্রম। সে অবশ্য এখনও বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছে। সুশীলের শরীরেও বড় কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
দুই ছাত্রকে জখম করার পরে হনুমানটি ধরার দাবি জোরদার হয়। রবিবার দিনভর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খাঁচা পাতা হয়েছিল। কিন্তু হনুমানটিকে ধরতে পারেনি বন দফতর। সোমবার সকালে উখড়াডিহি হস্টেলেও খাঁচা পাতা হয়েছিল। ভিতরে রাখা হয়েছিল ফলমূল। কিন্তু যার জন্য আয়োজন, ফাঁদে সে পা দেয়নি। বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হস্টেলের একটি ঘরে ঢুকে পড়ে হনুমানটি। তখনই ঘরের দরজা বন্ধ করে জানালা দিয়ে তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়।
উখড়াডিহির বিট অফিসার নীলাদ্রি শাখা বলেন, “হনুমানটিকে গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জ দফতরে পাঠানো হয়। সেখানে শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়েছে।” হনুমানটিকে কিছু দিন পর্যবেক্ষণে রেখে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy