পসরা: শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরির হাটে। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনিক অনুমতি মেলেনি। তবু, শনিবার থেকে খুলে গেল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাট। এ দিন ব্যবসায়ীরাই পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে দোকান পেতে বসলেন সোনাঝুরিতে। যদিও পর্যটক হাতেগোনা হওয়ায় বিক্রিবাটা হয়নি বললেই চলে। করোনা পরিস্থিতির কারণে ছ’মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল সোনাঝুরি হাট। যার কারণে খুবই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ওই জনপ্রিয় হাটে জামা কাপড় থেকে শুরু নানা অলঙ্কার ও ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসা ব্যবসায়ীদের। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের। করোনার ভীতি কাটিয়ে আস্তে আস্তে জীবন থেকে জীবিকা সমস্ত কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করলেও এই হাট খোলা নিয়ে জট যেন কাটতেই চাইছিল না।
গত সপ্তাহে হাট কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, প্রশাসনিক অনুমতি না মিললেও শনিবার থেকে খোলা হবে হাট। সেই মতো বেশ কিছু বিধিনিষেধ নিজেরাই তৈরি করে এ দিন হাট বসালেন ব্যবসায়ীরা। সোনাঝুরির হাট কমিটির সম্পাদক শেখ কাউসার বলেন, ‘‘শনিবার থেকে হাট খোলা হবে, এই মর্মে কয়েক দিন আগে প্রশাসনকে আমরা লিখিত ভাবে জানাই। প্রশাসনের কর্তারা মৌখিক ভাবে হাট খোলার অনুমতি দেন। সেই মতো এ দিন দোকান পেতে বসেন বিক্রেতারা।’’ যদিও বিডিও (বোলপুর-শ্রীনিকেতন) শেখর সাঁই বলেন, ‘‘সোনাঝুরির হাট খোলার ব্যাপারে এখনও কোন সরকারি অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।’’
প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই কী করে খুলল এই হাট। এই হাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ কারা, কী ভাবে করবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত ভিড় হলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাও থাকছে। যদিও হাট ব্যবসায়ী পার্থ মণ্ডল, অপর্ণা মণ্ডল ,অন্নপূর্ণা দাসরা বলেন, ‘‘আমরা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার, এই হাটের ব্যবসাই আমাদের একমাত্র জীবিকা। এর উপরে নির্ভর করেই আমরা শ’পাঁচেক পরিবার বেঁচে থাকি। তাই পেটের তাগিদে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ফের আজ থেকে বাধ্য হয়েছি দোকান খুলে বসতে।’’ তাঁদের সংযোজন, ‘‘প্রশাসন যদি উঠিয়ে দেয়, তাহলে রাস্তায় বসা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy