Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Barjora

কুয়োয় ঝুলন্ত স্বামী, রক্তাক্ত স্ত্রী-মেয়ে ঘরে

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েদের কুপিয়ে আত্মঘাতী হতে পারেন কাজল।

কাজল দীক্ষিত।

কাজল দীক্ষিত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বড়জোড়া শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

স্ত্রী ও দুই মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ঘরে। বাড়ির আঙিনার কুয়োয় ঝুলন্ত স্বামী। রবিবার সকালে বড়জোড়ার মালিয়াড়ার দীক্ষিত পরিবারের এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিশ্বদেব ওরফে কাজল দীক্ষিতের (৪২) দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর স্ত্রী নয়ন দীক্ষিত ও দুই মেয়ে কোয়েল ও দোয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, পরে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়নের চোট গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। কোয়েল ও দোয়েল বাঁকুড়া মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন। তারা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে বলেই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েদের কুপিয়ে আত্মঘাতী হতে পারেন কাজল। পুলিশ সূত্রে খবর, নয়ন ও তাঁর দুই মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। যদিও এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বড়জোড়া থানা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কাজল মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী নয়নের বয়স বছর তিরিশ। দম্পতির তিন মেয়ে। বড় মেয়ে কোয়েলের বয়স বছর তেরো। আর ছ’বছরের যমজ মেয়ে দোয়েল ও পায়েল। কোয়েল ও দোয়েল বাবা-মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই থাকে। পায়েল থাকে মামাবাড়িতে। স্থানীয় গ্রামসংসদ সদস্য শিবশঙ্কর লোহার বলেন, “কাজল নেশা করে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করত। তবে কোনও দিনই আমাদের কোনও সমস্যার কথা বলেনি।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে এক পড়শি ওই বাড়িতে ফুল তুলতে গিয়েছিলেন। তিনি কুয়োয় কাজলের গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। বাড়িতে নয়ন ও দুই মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। পড়শিদের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ যায়। জখমদের উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন কাজল। নেশা করে সেই নিয়ে প্রায়ই বিবাদ বাধত দু’জনের। পড়শিদের একাংশের অবশ্য দাবি, শনিবার রাতে ওই বাড়ি থেকে কোনও গোলমালের আওয়াজ শোনা যায়নি। কাজলের ভাই উজ্জ্বল দীক্ষিত পরিবার নিয়ে দুর্গাপুরে থাকেন। ঘটনার কথা শুনেই তিনি মালিয়াড়ায় আসেন। এ দিন ফোনে উজ্জ্বলবাবু বলেন, “সকালেই ঘটনা শুনে দ্রুত চলে এসেছি। কী ভাবে এমনটা ঘটনা হল, বুঝতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barjora Suicide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE