Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

তারাপীঠে হেলিপ্যাড তৈরি শেষের মুখে

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারাপীঠে আসার কথা। তার আগে রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষক খামারের জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে।

প্রস্তুতি:  রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষক খামারে। নিজস্ব চিত্র

প্রস্তুতি: রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষক খামারে। নিজস্ব চিত্র

অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৭
Share: Save:

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারাপীঠে আসার কথা। তার আগে রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষক খামারের জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী কবে আসছেন বা আসলেও নবনির্মিত হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামবে কিনা, এখনও পুলিশ-প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট ভাবে সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু যদি মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার রামপুরহাটে নামে, সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে আগাম হেলিপ্যাড তৈরীর কাজ শেষ করতে চাইছে প্রশাসন।

ব্লক কৃষি খামারের ভিতরে, যেখানে তারাপীঠ হেলিপ্যাড তৈরির কাজ চলছে, রবিবার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা গেল, হেলিপ্যাডের রেলিং তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। রেলিংয়ে এ নীল-সাদা রঙের পোঁচ। হেলিপ্যাড যাওয়ার রাস্তার ধারে সিমেন্টের পিলার দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ চলছে। কৃষি খামারে ঢোকার মুখে ভিআইপি-দের জন্য প্রতীক্ষালয় নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ওই প্রতীক্ষাশালায় একটি বড় হলঘর এবং একটি ছোট ঘর তৈরি করা হবে। শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকবে। তবে ওই প্রতীক্ষাশালা সাধারণের ব্যবহারের জন্য নয়।

মূলত তারাপীঠে পুজো দিতে আসা বা তারাপীঠ দর্শনার্থীদের জন্য কলকাতা-তারাপীঠ হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করার জন্য তারাপীঠ থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে রামপুরহাট-দুমকা সড়কের ধারে রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষি খামারের ভিতরে তারাপীঠ হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। হেলিপ্যাডে নেমে গাড়িতে রামপুরহাট শহরের নিশ্চিন্তিপুর এলাকা হয়ে ছ ফুঁকো থেকে সানঘাটা সেতু বাইপাস ধরে জাতীয় সড়কে উঠে মনসুবা মোড় থেকে তারাপীঠ যেতে হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে তারাপীঠের কাছে চিলার মাঠে তারাপীঠ হেলিপ্যাড তৈরির জন্য জায়গা দেখা হয়। সেই মতো পরীক্ষামূলক ভাবে দু-এক বার কপ্টারও নামে। কিন্তু চিলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বিদ্যুৎবাহী তার এবং খুঁটি সরানো নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও খেলার মাঠ নষ্ট করে হেলিপ্যাড নির্মাণে স্থানীয় মানুষজনের একাংশ আপত্তি তোলেন। শেষ পর্যন্ত চিলার মাঠে হেলিপ্যাড তৈরি করার পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসতে হয় সরকারকে।

পরবর্তীতে তারাপীঠ ঢোকার আগে বন দফতরের জায়গা হেলিপ্যাড তৈরির জন্য দেখা হয়। সেখানেও মাটি ভরাট করে হেলিপ্যাড তৈরিতে সমস্যা দেখা দেওয়ায় শেষে রামপুরহাট ১ ব্লক কৃষি খামারের জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। মোট ৩৬০ বর্গ মিটার জায়গা নেওয়া হয়। তার মধ্যে ২১ মিটার লম্বা এবং ২১ মিটার চওড়া জায়গা নিয়ে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। পূর্ত দফতরের জেলার মুখ্য নির্বাহী বাস্তুকার প্রদীপ পাল জানান, প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়। হেলিপ্যাড তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনকে হেলিপ্যাড হস্তান্তর করা হবে বলে পূর্ত দফতর সূত্রের খবর। তবে কবে থেকে হেলিপ্যাড চালু হবে, সে ব্যপারে এখনও নির্দিষ্ট কিছু জানা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Helipad Rampurhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE