বৃষ্টির মধ্যে সভার পথে। লাগদা গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
বিভিন্ন রুটের বাস ভাড়া করে জেলা বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা গেলেন অমিত শাহের সভায়। বৃহস্পতিবার পথে বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা। পুরুলিয়ায় ৪৮টি রুটে ২০০-র কিছু বেশি বাস চলাচল করে। জেলার বাস মালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘সভার জন্য ঠিক কত বাস ভা়ড়া করা হয়েছে তার নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও এ দিন অর্ধেক বাস রুটে নেমেছিল।’’
এ দিন সভা শুরুর আগে থেকে ভাঙার পরেও বেশ কিছুক্ষণ যানজট হয় পুরুলিয়া শহরে। শিমুলিয়ার যে মাঠে সভা হয়েছিল, তার কাছে কোথাও গাড়ি পার্ক করার জায়গা নেই। জেলা, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা এবং ঝাড়খণ্ড থেকে বাস এবং ছোট গাড়ি ভাড়া করে এসেছিলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। পুরুলিয়া শহরে ঢোকার মূল চার-পাঁচটি রাস্তার পাশেই সেগুলি দাঁড় করিয়ে তাঁরা সভার মাঠে যান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর জেরে শহরে ঢোকার মূল রাস্তাগুলি এ দিন কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে যে বাসগুলি বেরিয়েছিল, সেগুলি বিকেলে ফিরে যানজটের জন্য স্ট্যান্ডে ঢুকতে পারেনি। বিকেলে স্ট্যান্ড থেকে বাস বেরোতেও পারেনি।
রাজনৈতিক দলের বড় সভা হলেই রুটের বাস তুলে নেওয়ার ছবিটা চেনা। সেটাই ফিরে এসেছিল এ দিন। আদ্রা, বলরামপুর, জয়পুর, ঝালদা প্রভৃতি এলাকায় রেল যোগাযোগ থাকলেও দক্ষিণ পুরুলিয়ার বরাবাজার, বান্দোয়ান, পুঞ্চা, মানবাজার প্রভৃতি এলাকায় রেল যোগাযোগ নেই। সরকারি বাস চলাচলও ওই সব রুটে কম। ছোট গাড়িও বিশেষ চলে না। ফলে বৃহস্পতিবার এই সব এলাকার বাসিন্দাদের বাস না পেয়ে নাকাল হতে হয়েছে। কাছাকাছি এলাকার মধ্যে যাত্রীরা গাদাগাদি করে অটোয় চড়ে যাতায়াত করেছেন। অভিযোগ, কিছু কিছু অটোচালক সুযোগ বুঝে দ্বিগুণ ভাড়া হেঁকেছেন। দক্ষিণ পুরুলিয়ার সব থেকে বড় বাসস্ট্যান্ড মানবাজারে। এ দিন দুপুরে গিয়ে দেখা যায় সুনসান স্ট্যান্ডে বাঁকুড়াগামী দু’টি মাত্র বাস রয়েছে। পুরুলিয়াগামী একটি বাসও নেই।
রঘুনাথপুর মহকুমা সদরের বাসস্ট্যান্ডও সকাল থেকে খাঁখাঁ করছিল। চোরপাহাড়ির বাসিন্দা বিশাল মুখোপাধ্যায় জানান, জরুরি কাজে তাঁর বাঁকুড়া যাওয়ার কথা ছিল। দুপুরে বেরিয়ে বাস পাননি। অগত্যা মোটরসাইকেল নিয়ে পাড়ি দিতে হয়েছে। জয়চণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ বাউড়ি পুরুলিয়া যাওয়ার জন্য বাস ধরতে এসেছিলেন। পাননি। অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ওই স্ট্যান্ড থেকে রোজ ৫০টি বাস যাতায়াত করে। সূত্রের খবর, তার মধ্যে ৩৮টি বাস এ দিন ভাড়া হয়ে বিজেপির কর্মসূচিতে পুরুলিয়া গিয়েছিল। একই অবস্থা জেলার প্রায় সর্বত্রই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy