Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কাল থেকেই ডাক্তারবাবুর নামে দেওয়াল লিখতে নামব

এ বারও পুরুলিয়ার টিকিট পেলেন ‘ডাক্তারবাবু’।

টিভিতে-চোখ: পুরুলিয়ার রাঁচী রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নেতাকর্মীরা। ছবি: সুজিত মাহাতো

টিভিতে-চোখ: পুরুলিয়ার রাঁচী রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসে নেতাকর্মীরা। ছবি: সুজিত মাহাতো

প্রশান্ত পাল
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪০
Share: Save:

এ বারও পুরুলিয়ার টিকিট পেলেন ‘ডাক্তারবাবু’।

রাজ্যের কোন কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে কে লোকসভা ভোটে লড়বেন, সে কথা মঙ্গলবার কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছেন। পুরুলিয়ার তৃণমূল সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো এ দিন সকালেই কলকাতা রওনা হয়ে গিয়েছিলেন। কে টিকিট পাবে-না-পাবে তা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই শাসকদলের অন্দর সরগরম ছিল। কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা। শেষ পর্যন্ত টিকিট পেলেন গতবারের সাংসদই।

পুরুলিয়া শহরে তৃণমূলের তিনটি অফিস। মূল পার্টি অফিস বিটি সরকার রোডে। সেটি এ দিন তালাবন্ধ ছিল। বাইরে বসেছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। দেওয়ালের ও-পারেই যুব তৃণমূলের অফিস। সেটি আবার মৃগাঙ্কবাবুর পৈতৃক বাড়ি। এখন নিজে অন্য জায়গায় থাকেন। সেই অফিসেও তালা। বাইরেও সুনসান। দলের পুরুলিয়া যুব সভাপতি সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘‘ক’দিন বাদেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করতে আসার কথা। তার প্রস্তুতি চলছে। ছুটে বেড়াচ্ছি। এই সময়ে মাঠে নেমে কাজ করাটাই আসল।’’ দেওয়াল লেখার কাজ এগিয়ে রাখছেন, জানান শহর তৃণমূলের সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডলও।

রাঁচী রোডের ধারে তৃণমূলের একটি অফিস রয়েছে। সেখানে দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো-সহ অনেকেই বসেন। শান্তিরামবাবু নিজে এ দিন কলকাতায়। অন্য দিন সেখানে থিকথিকে ভিড় থাকে। এ দিন দেখা গেল, হাতে গোনা লোক। ছিলেন দলের জেলা সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতো। এসেছে মুড়ি, চপ আর বোঁদে। রথীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘জেলা সভাপতির সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকের আগে-পরে কথা হয়েছে। আগেই আঁচ পেয়েছিলাম। নেত্রীর মুখ থেকে ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলাম।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ওই অফিসেই ছিলেন শিবরাম কালিন্দী। এ বারে ভোটে জিতে পুরুলিয়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হয়েছেন তিনি। বললেন, ‘‘আমি তো পেশাদার দেওয়াল লিখিয়ে। কাল থেকেই রঙ-তুলি নিয়ে নেমে পড়ব ডাক্তারবাবুর নামে দেওয়াল লিখতে।’’ এ দিকে তখন ঘনঘন বাজছে রথীন্দ্রনাথবাবুর ফোন। সবাই জানতে চাইছেন, কে পুরুলিয়ার টিকিট পেলেন? অনেতেই জানতে চাইছেন, বাঁকুড়ার টিকিট পেলেন কে? কেন পেলেন না মুনমুন সেন? রথীনবাবু শুধু কার কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে সেটাই বলছিলেন। উৎসাহী নেতা-কর্মীদের অন্য যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে ফোনে একটাই কথা বলে যান— ‘‘সেটা তো বলতে পারব না।’’

মৃগাঙ্কবাবু নিজে ফোনে জানান, ফিরেই ‘চেনা ময়দানে’ কোমর বেঁধে নামবেন। বলেন, ‘‘ফিরে আগে পুজো দেব। জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রচারের কাজটা দ্রুত শুরু করে দিতে হবে।’’ মৃগাঙ্কবাবুর বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে কে দাঁড়াচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। আর বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘পুরুলিয়াবাসী পাঁচ বছরে দেখছেন মৃগাঙ্কবাবু কী করেছেন। উনিও জানেন, নিজে কী করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Politics Lok Sabha Election 2019 Purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE