Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
general-election-2019/west-bengal

জেলায় ঢুকল আধা-সেনা

বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘ছয় কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি বাঁকুড়া শহরে থাকবে। দু’টি কোম্পানি যাবে বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায়।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৯ ০০:৩৪
Share: Save:

জেলার সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসছেন বিরোধীরা। সব বুথে মিলবে কি না, এখনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি নির্বাচনের কাছ থেকে। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হতেই মঙ্গলবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ঢুকল কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন প্রথম দফায় ছয় কোম্পানি সিআরপি জওয়ান এসেছে। বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে বিকনা ক্ষিরোদপ্রসাদ স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে জওয়ানদের রাখা হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় পুরুলিয়া জেলায় ঢোকে তিন কোম্পানি আধা-সেনা। ঝড়-বৃষ্টির জন্য তাদের জেলায় ঢুকতে কিছুটা দেরি হয়। আপাতত তাদের পুরুলিয়া শহরের জে কে কলেজে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পুলিশের একটি সূত্রে খবর, আজ, বুধবার বাহিনীকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।

বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘ছয় কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি বাঁকুড়া শহরে থাকবে। দু’টি কোম্পানি যাবে বিষ্ণুপুর মহকুমা এলাকায়। একটি কোম্পানি থাকবে খাতড়া শহরে। বাকি দুই কোম্পানিকে জঙ্গলমহলে পাঠানো হবে। তাঁরা বারিকুল থানায় সেরেঙ্গসকড়া ও ঝিলিমিলি ক্যাম্পে থাকবে।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, জওয়ানদের আজ, বুধবারই জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তাঁদের যাতে শিবিরে বসিয়ে না রেখে স্পর্শকাতর এলাকায় ভোটারদের ভরসা জোগাতে রুটমার্চ করানো হয়, সেই দাবি তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি থেকে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র অভিযোগ করেন, ‘‘ইতিপূর্বে ভোটের সন্ত্রাস দেখে মানুষজন ভয়ে রয়েছেন। তাই তাঁদের ভয় কাটাতে কমিশন আগে থেকেই আধাসেনা পাঠিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি করছি, আধাসেনাদের বসিয়ে না রেখে ওই সব এলাকায় বেশি করে টহল দেওয়ানো দরকার। তাতে দুষ্কৃতীরা যেমন ভয়ে থাকবে, তেমনই আমজনতা ভরসা পাবেন।’’

পুরুলিয়ার বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল কিছু এলাকায়। কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, মানুষ যেন গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।’’

অন্যদিকে, বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনী আসুক, সমস্যা নেই। কিন্তু জওয়ানদের অনেকেই ইতিপূর্বে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন বলে শুনেছি। অনেক জায়গায় বিজেপিকে ভোট দিতেও তাঁরা প্রচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এই জেলায় যাতে তেমন না হয়, সে দিকে নির্বাচন কমিশনকে নজর রাখতে হবে।’’

বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘জওয়ানেরা নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছনোর পরেই এলাকায় রুটমার্চ শুরু করবে। নির্বাচন নির্বিঘ্নে করতে সবরকম আয়োজন করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE