মনোনয়নের জন্য আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা পুরুলিয়ায় জেলাশাসকের অফিসে। —নিজস্ব চিত্র।
হাতে নগদ ৫০০ টাকা। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আড়াই হাজার টাকা। এই পুঁজি নিয়ে লোকসভা ভোটে লড়ছেন পুরুলিয়া আসনের এসইউসি প্রার্থী রঙ্গলাল কুমার।
মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেলাশাসক কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র পেশ করেছেন রঙ্গলাল। কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হলফনামায় এই তথ্য তিনি জানিয়েছেন। এসইউসি প্রার্থী জানিয়েছেন, জমি, বাড়ি, গাড়ি— কিছুই তাঁর নেই। থাকেন দলীয় কার্যালয়ে।
এদিন বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার তিন কেন্দ্রের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর্ব শুরু হয়েছে। এসইউসির বাঁকুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী তন্ময় মণ্ডল ও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অজিত বাউরি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। পুরুলিয়া কেন্দ্রে ‘আমরা বাঙালি’র প্রার্থী লক্ষ্মীকান্ত মাহাতো-ও এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
পুরুলিয়া শহরের নীলকুঠিডাঙ্গার এসইউসি কার্যালয় থেকে দলের রঙ্গলালকে সঙ্গে নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকেরা মিছিল করে জেলাশাসকের কার্যালয়ে আসেন। সেখানে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এসইউসির জেলা কমিটির সদস্য সৌরভ ঘোষ বলেন ‘‘আমাদের প্রার্থী আক্ষরিক অর্থেই দরিদ্র মানুষের প্রতিনিধি। তাঁর হাতে রয়েছে নগদ শ-পাঁচেক টাকা। ভোটে দাঁড়াবে বলে একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তাঁর নামে। সেখানে জমা হাজার দুয়েক টাকা।’’ আড়শার বিড়ি শ্রমিক পরিবারের সন্তান রঙ্গলাল। তিনি আড়শায় সেচ এবং শিক্ষার দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পরিচিত মুখ। বিড়ি শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি যুক্ত। ভোটের লড়াই সম্পর্কে জানতে চাইলে রঙ্গলাল বলেন, ‘‘আমরা বামকর্মী হিসেবে মানুষের কাছে মানুষের কথা বলব। তারপর মানুষই ঠিক করবেন সব কিছু।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে শান্তিপূর্ণ রাখতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের দফতর টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। দফতরে ঢোকার মূল দরজায় রয়েছে কড়া পুলিশি প্রহরা। মাচানতলার ডিআইবি অফিস মোড় থেকে তামলিবাঁধ যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। মোটরবাইক ও সাইকেল আরোহীরা অবশ্য ওই রাস্তায় যাতায়াত করছেন। জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “জরুরি পরিষেবার গাড়ি আটকানো হবে না। ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা যাতে না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। নিরাপত্তার স্বার্থেই অন্য গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “কাজের জন্য আসা সাধারণ মানুষের দফতরে ঢুকতে কোনও রকম অসুবিধা যাতে না হয় তা দেখতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক মিছিল দফতরের একশো মিটার দূরে আটকে দেওয়া হবে।”
মনোনয়ন পর্বে অশান্তি এড়াতে পুরুলিয়া জেলাশাসকের অফিস চত্বরও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। মূল গেটে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy