Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

আক্রান্তদের নাম প্রকাশ্যে, কড়া প্রশাসন

হুগলির মাহেশের পরে, এ বার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার করোনা-আক্রান্তদের নাম-পরিচয়ের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ০৯:৫৬
Share: Save:

হুগলির মাহেশের পরে, এ বার বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকার করোনা-আক্রান্তদের নাম-পরিচয়ের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টের সই করা করোনা-আক্রান্তদের নামের ওই তালিকা প্রকাশ্যে আসায় উদ্বিগ্ন অনেকে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের অবশ্য আশ্বাস, যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, তাঁরা বা তাঁদের পরিবার যাতে সমস্যায় না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি, এ ধরনের তথ্য-ফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপের কথাও
ভাবছে তারা। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শঙ্কর নস্কর বলেন, “করোনা-আক্রান্তদের তথ্য বাইরে প্রকাশ হওয়াটা কাম্য নয়। কোথা থেকে এ সব ছড়াচ্ছে, খতিয়ে দেখছি। যাঁরা আক্রান্ত তাঁদের বা তাঁদের পরিবারের উপরে প্রশাসনের নজর রয়েছে। কোথাও সমস্যা হলে হস্তক্ষেপ করা হবে।” বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওয়ের বক্তব্য, ‘‘সরকারি তথ্য ফাঁস সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে সাইবার সেল তদন্ত করবে।’’

সপ্তাহখানেক আগে বিষ্ণুপুর শহরের এক মিষ্টির ব্যবসায়ী করোনা-আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে সেফ হাউসে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আত্মীয়দেরও সে কথা জানাননি। অথচ, সেফ হাউসে ঢোকার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই অনেকে ফোন করে তাঁর খবর নিতে শুরু করেন। ওই ব্যবসায়ীর ক্ষোভ, “একে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তায় রয়েছি, তার উপরে একের পরে এক ফোনে সকলেই জানাচ্ছেন, সরকারি তালিকায় আমার নাম-মোবাইল নম্বর সবই দেওয়া রয়েছে। এ খবর বাইরে বেরোল কী করে?’’

একই পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া জেলার সাত করোনা-আক্রান্ত। মেজিয়ার এক ব্যবসায়ী বলেন, “করোনা-আক্রান্ত হিসেবে আমার নাম, মোবাইল নম্বর, ঠিকানা লেখা সরকারি তালিকা হোয়াটসঅ্যাপে মানুষের মোবাইলে ঘুরছে। ভয় হচ্ছে, আমার আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়ানোয় পরিবার না সমস্যায় পড়ে!’’

কী ভাবে ছড়াল তালিকা?

প্রশাসন সূত্রের দাবি, আক্রান্তদের এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিছু জনপ্রতিনিধিকে ওই তালিকা দেওয়া হয়। পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের মধ্যেও তালিকা আদানপ্রদান হয়। তালিকা তৈরির দায়িত্বে থাকা ডিটিপি অপারেটরদের কাছেও আক্রান্তদের পরিচয় থাকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই স্তরগুলির এক বা একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে তালিকা বাইরে বেরিয়ে
যেতে পারে।

বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সরেন বলেন, “করোনা-আক্রান্তদের তথ্য গোপনীয় বিষয়। ভবিষ্যতে বাইরে প্রকাশ করা ঠেকাতে যা করণীয়, করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 Viral
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE