Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
লুকোছাপার নালিশ বিজেপির

স্কুল-ভোটেও ‘দ্বন্দ্ব’ তৃণমূলে

তবে বিজেপির ঝালদা শহর মণ্ডলের সভাপতি মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একটা নোটিস পর্যন্ত কোথাও দেওয়া হয়নি।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ০১:০২
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। অথচ ঝালদা শহরের হিন্দি হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজেপির তরফে প্রার্থী না দেওয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আজ, রবিবার ওই স্কুলের নির্বাচন।

তবে বিজেপির ঝালদা শহর মণ্ডলের সভাপতি মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘আমাদের পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। একটা নোটিস পর্যন্ত কোথাও দেওয়া হয়নি। আমাদের জয় নিশ্চিত বুঝে, ঠেকিয়ে রাখতে চুপিসারে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল।’’ যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি স্কুল কৰ্তৃপক্ষের। স্কুলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়েই নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তা দেখে অনেকেই প্রার্থী দিয়েছেন।

বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচনে না থাকলেও ওই স্কুল-ভোটকে ঘিরে উত্তেজনা কমেনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ঝালদা শহরে শাসকদল তৃণমূলের কোন্দল এই নির্বাচনকে ঘিরে আরও এক বার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বিষয়টিকে নিয়ে রীতিমতো সরগরম ঝালদা শহর।

ঝালদা শহর তৃণমূলের আহ্বায়ক দেবাশিস সেনের অভিযোগ, ‘‘স্কুল-ভোটে দলীয় প্রার্থীদের হারাতে প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল ছ’টির মধ্যে পাঁচটি আসনে গোঁজ প্রার্থী দিয়েছেন। দলের উপরমহলে সব জানানো হয়েছে। এরপর জেলা নেতৃত্বই বিচার করে দেখবেন সুরেশবাবু ঠিক না ভুল কাজ করেছেন।’’

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সুরেশবাবু। উল্টে শহর তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সুরেশবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমি এখনও ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। অথচ নির্বাচনের ব্যাপারে দলের কেউ আমার সঙ্গে ন্যূনতম আলোচনাটুকু করার প্রয়োজন বোধ করেননি। গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আমার নামে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা একেবারে ভিত্তিহীন।’’

সামনেই পুরনির্বাচন। তার আগে শহরের বুকে এই নির্বাচন যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি ঝালদার রাজনীতির ওঠাপড়ার নিয়মিত পর্যবেক্ষকদের। ঝালদার পুরপ্রধান তৃণমূলের প্রদীপ কর্মকারের অভিযোগ, ‘‘প্রাক্তন পুরপ্রধান গোঁজ দিয়ে নিজের দলকেই হারাতে চাইছেন। তবে তাঁর এই স্বপ্ন কখনই পূরণ হবে না। ঝালদা শহরের মানুষ নির্বাচনে তাঁকে যোগ্য জবাব দেবেন।’’

কংগ্রেস অবশ্য ছ’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। গত পুরভোটে এই শহরে অধিকাংশ ওয়ার্ড কংগ্রেসের দখলে গিয়েছিল। তাই কংগ্রেস স্কুল ভোটে কী ফল করে, তা জানতেও অনেকে অপেক্ষায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Inner Clash School Vote Jhalda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE