Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

লুটের কিনারা, দাবি পুলিশের

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবির বাড়িতে হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিলে বাবি এবং তাঁর স্বামী নরেন কান্দুকে মারধর করে তারা। নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং বেশ কিছু অলঙ্কার লুট করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আহত দম্পতির চিকিৎসা হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

গ্রেফতার হওয়া দু’জন। পুলিশের দাবি, এই গয়নাগুলি উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের থেকে। নিজস্ব চিত্র

গ্রেফতার হওয়া দু’জন। পুলিশের দাবি, এই গয়নাগুলি উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের থেকে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৮
Share: Save:

ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বাবি কান্দুর বাড়িতে হামলা এবং লুটের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের সূত্র ধরে মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ঘটনায় যুক্ত ননীগোপাল কুমার এবং দীনেশ পরামানিককে কোটশিলা থানার মাঝিডি গ্রাম থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা অপরাধ স্বীকার করেছে বলে দাবি পুলিশের। বুধবার তাদের পুরুলিয়া আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাবির বাড়িতে হানা দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। বাধা দিলে বাবি এবং তাঁর স্বামী নরেন কান্দুকে মারধর করে তারা। নগদ কয়েক হাজার টাকা এবং বেশ কিছু অলঙ্কার লুট করে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আহত দম্পতির চিকিৎসা হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কাউন্সিলরের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থেকে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেই ফুটেজ দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মাঝিডি গ্রামে হানা দিয়ে ননীগোপাল এবং দীনেশকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের থেকে লুট হওয়া একজোড়া কানের দুল একটি চেন এবং দু’টি ধারাল ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কাউন্সিলরের বাড়ির উপর নজর রাখছিল দুষ্কৃতীরা। এলাকার রেইকিও করেছিল একাধিকবার তারা। তবে কাউন্সিলরের বাড়ির সামনের রাস্তায় লাগানো ক্লোজট সার্কিট ক্যামেরার কথা তারা জানত না। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এর আগেও দীনেশকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। নিষিদ্ধ ‘কাফ সিরাপ’ পাচারের কাজেও সে যুক্ত ছিল বলে পুলিশরে দাবি। তা ছাড়া ঝালদা এবং কোটশিলা থানায় চুরি, ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ রয়েছে দীনেশের বিরুদ্ধে।

ধৃতদের আদালতে তোলার সময় তাদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জাননো হয়নি। কারণ হিসাবে পুলিশ জানিয়েছে, আগে ওই দু’জনের টি আই প্যারেড হবে। তারপর প্রয়োজন হলে ওদের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন জানাব। ঝালদার এসডিপিও সুমন্ত কবিরাজ জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা তাদের কয়েকজন সঙ্গীর নাম জানিয়েছে। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালচ্ছে।

এদিকে নরেন দাবি করেছেন, শুধু লুটের জন্য ওই দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাদের হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কারা সেই পরিকল্পনা করেছিল, তা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশের উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে তাদের বার করবে।’’ পুলিশ অবশ্য এ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Arrest Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE