ফাইল চিত্র।
এ বার শব্দ বাজি একেবারেই নয়। কোনও পুজো মণ্ডপে শব্দবাজি ফাটানো হলে আয়োজক ক্লাবের সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করবে পুলিশ। এমনই কড়া অবস্থান নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের কর্তারা জানাচ্ছেন, কত ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দসীমা অনুমোদন যোগ্য সে সব তর্কে না গিয়ে সরাসরি জেলা জুড়ে প্রতিটি থানা এলাকায় শব্দ বাজি ফাটানোর উপরেই নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে।
জেলা সদর সিউড়ি শহরে দুবরাজপুর-সহ ও প্রতিটি এলাকায় পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে শুধু পুজো মণ্ডপগুলিতেই নয় উৎশৃঙ্খল ভাবে কেউ যদি রাস্তায়, বা পাড়ায় শব্দবাজি ফাটায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে যাবে। শব্দবাজির সঙ্গে কঠোরভাবে নজরদারি চালানো হবে ডিজে ব্যবাহারের ক্ষেত্রেও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘পুজোর সময় মণ্ডপে মণ্ডপে এ বিষয়ে নজরদারি চলবেই, সতর্ক করা হয়েছে বড় বড় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা যেন কোনও ভাবেই কালী বিসর্জনের সময় ডিজে ব্যবহার না করেন।’’
শব্দবাজি-ডিজে ছাড়াও আর যে দুটি বিষয়ে নজরদারি ও অভিযান চলবে সেটা হল বেআইনবি মদের কারবার এবং রাস্তাঘাটে মদ্যপদের অভব্য আচরণ ও জুয়া খেলার উপরেও। দুবরাজপুরের মতো শহরে বহুকাল ধরে কালীপুজোয় জুয়ার আসর বসে। লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হয় কালীপুজোর রাতে। এ বার যেন সেটা না হয় সেটাও দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসী বলছেন ভাল উদ্যোগ। কতটা বাস্তবায়িত হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy