অতিথি: বিশ্বভারতীতে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সফরের দিনই উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে পোস্টার পড়ল বিশ্বভারতীতে। শুক্রবার তাতে ছড়াল চাঞ্চল্য। তবে বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, কে বা কারা ওই সব পোস্টার লাগিয়েছেন তা শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে , শুক্রবার উত্তরায়ণের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত নবসাজে সাজানো ‘শ্যামলী’ বাড়ির উদ্বোধন করেন উপরাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মোড়া ছিল শান্তিনিকেতন। কিন্তু শুক্রবার সকালেই বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের সামনে একাধিক জায়গায় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা যায়। সে সব পোস্টারে উপরাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানানো হলেও উপাচার্যের অপসারণের দাবি লেখা ছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইংরেজিতে সে সব পোস্টারে লেখা ছিল— ‘স্বৈরাচারী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে অপসারণ করতে হবে।’
বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ জানিয়েছেন, এর আগে ভর্তির টাকা বৃদ্ধির প্রতিবাদে উপাচার্যের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। কিন্তু তাতেও তাঁকে অপসারণের দাবি ওঠেনি।
এ নিয়ে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পোস্টারগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সে সবে কারও নাম ছিল না। এ নিয়ে এখনই আর কিছু বলা যাবে না।’’
উপরাষ্ট্রপতির সফরের আগে বিশ্বভারতী চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার নজর এড়িয়ে কী ভাবে পোস্টারগুলি লাগানো হল, সেই প্রশ্নে কর্মসচিব বলেন, ‘‘মাত্র ২-৩টি পোস্টার পড়েছে। রাতের অন্ধকারে যদি কেউ সে সব লাগিয়ে দিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়েই তা ঠেকানো যাবে না।’’
বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘কে বা কারা বিশ্বভারতী চত্বরে ওই পোস্টারগুলি দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy