বিশ্বভারতীতে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ হল বিশ্বভারতীতে। সোমবার এই দাবিতে সমবেত হন বিশ্বভারতীর কর্মীসভা, অধ্যাপকসভা এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা। সকলেরই দাবি, আর অস্থায়ী নয়। এ বার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হোক। অধ্যাপকসভার সম্পাদক গৌতম সাহা জানান, স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে। এ দিন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীকেও।
গত দু’বছর ধরে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ-প্রশ্নে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর কখনও জানিয়েছেন, সাত-দশ দিনেই নতুন উপাচার্য ঠিক করে ফেলা হবে। আবার কখনও বলেছেন, ‘‘এক সপ্তাহ পরে বিশ্বভারতীর জন্য ভাল খবর রয়েছে।’’ কিন্তু, দু’বছর পেরোলেও কোনও স্থায়ী উপাচার্য ঠিক করে উঠতে পারেনি কেন্দ্র। সুশান্ত দত্তগুপ্তের অপসারণ-পর্বের পরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত অবসর নেন ২৭ জানুয়ারি। এক সপ্তাহের অচলাবস্থার পর ৩ ফেব্রুয়ারি, শনিবার থেকে ফের অস্থায়ী উপাচার্য দিয়েই চলছে যাবতীয় কাজ। এ বার অবশ্য দায়িত্বে এসেছেন বিশ্বভারতীর প্রবীণতম ডিরেক্টর সবুজকলি সেন। প্রশ্নটা অবশ্য ঘুরছেই। বিশ্বভারতীর নানা মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে তা নিয়ে নানা জল্পনা।
এই প্রেক্ষিতেই এ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ। অধ্যাপকসভা ও কর্মীসভার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদীকে যে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে, তাতে বিভিন্ন সময়ে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু স্থায়ী উপাচার্য নয়। এই মুহূর্তে বিশ্বভারতীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। শীঘ্রই এই পদগুলিতেও স্থায়ী আধিকারিক নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। এই একই স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতিকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy