Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
WAGES

মজুরি বকেয়া, তালা ঝুলল অফিসে

পঞ্চায়েতে তালা ঝোলানোর খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ। আসেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাও।

খাতড়ার দহলা পঞ্চায়েতে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

খাতড়ার দহলা পঞ্চায়েতে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
খাতড়া শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০০
Share: Save:

মজুরি না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের বেশ কয়েকজন শ্রমিক। বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার দহলা পঞ্চায়েতের ঘটনা। তবে দ্রুত মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস পেয়ে তালা খুলে দেন তাঁরা।

একশো দিনের কাজ প্রকল্পের বেশ কয়েকজন শ্রমিক বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে তাঁরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢোকার দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। কর্মীদের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ঢুকতে বাধাও দেন বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তিন বছর আগে তাঁরা ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। তার পরে বকেয়া মজুরি চেয়ে পঞ্চায়েতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ ওই শ্রমিকদের।

ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের মধ্যে বরাগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জীব দুলে, সুশান্ত দুলে, শ্রীদাম দুলের দাবি, ‘‘তিন বছর আগে কাজ করেছিলাম। তার পরে মজুরি চেয়ে বারবার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে গিয়েছি। কিন্তু মজুরি দেওয়ার ব্যাপারে তাঁর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি।’’

এ দিকে, দহলা পঞ্চায়েতের প্রধান লীনা লোহারের দাবি, শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রয়েছে, তা তিনি জানতেন না। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন ধরে মজুরি বকেয়া রয়েছে, তা ওই শ্রমিকরা আগে জানাননি। তা ছাড়া, তিন বছর আগে যখন তাঁরা কাজ করেছিলেন, তখন আমি প্রধান ছিলাম না।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার প্রক্রিয়া কোন জায়গায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’’

মজুরি না পাওয়া শ্রমিকদের একাংশ জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে খাতড়ার বরাগাড়ি গ্রাম সংলগ্ন জায়গায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে হাপা ডোবা ও সেচ খাল সংস্কা,রের কাজ হয়েছিল। শ্রমিকদের দাবি সে প্রকল্পে গ্রামের ৩৫-৪০ জন ১২ দিন কাজ করেছিলেন। তাঁদের কেউ কেউ অল্প মজুরি পেয়েছেন। বাকিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মজুরি জমা পড়েনি।

পঞ্চায়েতে তালা ঝোলানোর খবর পেয়ে সেখানে আসে পুলিশ। আসেন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাও। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেন, বকেয়া মজুরি দেওয়ার ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরে সাড়ে ১১ টা নাগাদ তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।

মজুরি না পাওয়া শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই দিনমজুর। কোনও রকমে সংসার চালান তাঁরা। সামনেই মকর পরব। অথচ, উৎসবের মুখে তাঁদের হাতে টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়েই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

দহলা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শক্তিপদ দাস জানান, ‘‘কী কারণে শ্রমিকদের মজুরি এত দিন বকেয়া রয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তাঁরা যাতে দ্রুত বকেয়া পেয়ে যান, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আশ্বাস দেওয়ার পরে, তাঁরা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE