আন্দোলন: অনশনে গবেষক ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্বভারতীতে। নিজস্ব চিত্র
নন নেট ফেলোশিপের বকেয়া ফেরত-সহ কয়েকটি দাবিতে এ বার আন্দোলন শুরু করলেন বিশ্বভারতীতে গবেষণারত পড়ুয়ারা। শনিবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ছাউনি টাঙিয়ে অনশনে বসলেন শ’খানেক পড়ুয়া। বিভিন্ন দাবি লেখা পোস্টার হাতে স্লোগান দেন তাঁরা। অনশনে শামিল পড়ুয়ারা জানান, এ দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এ দিন সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অনশনরত পড়ুয়ারা জানান, এর পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বকেয়া মেটানোর জন্য দীপাবলী পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। অনশনে শামিল চন্দন লাহা, শিবানন্দ রায়, অপর্ণা দাস জানান, নন নেট ফেলোশিপের বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফে জানানো হয়, ফেলোশিপ বন্ধ করা হয়নি। বিশ্বভারতীকে সেই খাতে টাকাও দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন দায়িত্বে থাকাকালীন আন্দোলন শুরু হয়। তিনি ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ২০১৬-১৭ সালে প্রাপ্য ফেলোশিপের টাকার এক-তৃতীয়াংশ দেওয়া হয় ২০১৮ সালে।
কিন্তু ২০১৬-১৭ সালের বাকি বকেয়া এখনও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। পুজোর ছুটির আগেই ওই বকেয়া দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা। ২০১৮ সাল থেকে গবেষণারত পড়ুয়াদের কেন ফেলোশিপ দেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে এমফিল ও পিএইচডি শুরু করা ছাত্রছাত্রীদের একটি ফর্মে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, তাঁদের কেউ ফেলোশিপের দাবি করতে পারবেন না। তা বাতিল করার দাবিও তোলা হয়েছে।
ওই পড়ুয়ারা জানান, এর আগে নন নেট ফেলোশিপের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিতে ১ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়েছিল। তাতে লাভ না হওয়ায় এ বার অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গবেষণারত পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘এ বিষয়ে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানানো হয়েছে। কমিশনের তরফে এখনও কোনও টাকা পাঠানো হয়নি। তাই বকেয়া ফেলোশিপ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’’ তিনি জানান, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে গবেষণারত পড়ুয়া, ছাত্র প্রতিনিধি এবং বিশ্বভারতীর অফিশিয়াল
ওয়েবসাইটে নোটিস দিয়ে তা জানানোও হয়েছে। টাকা পেলেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy