শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের এক সপ্তাহ আগে আজ, সোমবার বাঁকুড়ায় আসছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। প্রশাসন ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দেওয়া খবর অনুযায়ী, আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি তিন দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলায় থাকার কথা। তার মধ্যে ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি কর্মী বৈঠক করবেন জানিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। দল সূত্রে খবর, সেই বৈঠকের প্রস্তুতি দেখতেই শুভেন্দু আগেভাগে জেলায় আসছেন। একই সঙ্গে তাঁর দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়েও আলোচনায় বসার কথা।
কয়েক সপ্তাহ আগে জেলায় বৈঠক করতে এসে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, লোকসভা ভোটের ‘ক্ষতি’ অনেকটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। তবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সমস্যা মেটাতে জেলায় এসে ফের তিনি বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা জানান, শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকে দলের ব্লক সভাপতিদের অনেকেই পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। তখনই শুভেন্দু আলাদা ভাবে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক এ বারের বৈঠকে তৃণমূলের হাতে থাকা জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সব সদস্যদের ডাকা হয়েছে। থাকবেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের নেতারাও। বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে।
লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পরে বাঁকুড়া জেলাকে দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের শাখা সংগঠনগুলিকেও দু’টি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করা হয়। তবে সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্য নেতৃত্ব এক বৈঠকে ফের বাঁকুড়ায় দু’টি সাংগঠনিক জেলাকে মিশিয়ে দেন। জেলা সভাপতি করা হয় শুভাশিস বটব্যালকে।
শাখা সংগঠনগুলি নিয়ে অবশ্য কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই রদবদলের পরে দলীয় পর্যবেক্ষকের সোমবারের বৈঠকে নতুন করে শাখা সংগঠনগুলিকে কোনও বার্তা দেওয়া হয় কি না তা নিয়ে কৌতূহলী দলের কর্মীরা। শুভাশিসবাবু বলেন, “দলের সাংগঠনিক নীতি কী হবে সেটা রাজ্য নেতৃত্বই ঠিক করে। আমাদের কাজ জেলায় সংগঠন মজবুত করা। এ ক্ষেত্রে শুভেন্দু বৈঠকে দলকে যে কৌশল নিতে বলবে, আমরা তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy