ছবি: সংগৃহীত
প্রধান-সহ দুই নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় মানবাজার ১ ব্লকের ভালুবাসা পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল তৃণমূল। শনিবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে মানবাজার ১ ব্লকের ভালুবাসা পঞ্চায়েতের এক সদস্য-সহ নির্দল প্রধান মীরা মাহাতো তৃণমূলে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা তৃণমূলের জেলা সভাপতি গুরুপদ টুডু বলেন, ‘‘আগে বাম ও নির্দলের জোটে এই পঞ্চায়েত চলছিল। শনিবার প্রধান-সহ দুই সদস্য আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল।’’ ভালুবাসা পঞ্চায়েতের মোট সদস্য ১১ জন। ২০১৮-র নির্বাচনে বাম ও নির্দলের তিন জন করে মোট ছয় সদস্য জোট বেঁধে পঞ্চায়েত দখল করেন। তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের মধ্যে এক জন পরে মারা যান। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই দলবদলে ওই পঞ্চায়েতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেল।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের আইন অনুযায়ী, আড়াই বছরের আগে অনাস্থা আনা যায় না। তবে এক্ষেত্রে অনাস্থার প্রয়োজন নেই বলে দাবি করে তৃণমূলের মানবাজার ১ ব্লক সভাপতি দেবেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, ‘‘নির্দল সদস্য মীরা মাহাতো প্রধান ছিলেন। তিনিই প্রধান থাকবেন। দলবদল হওয়ায় বাম-নির্দলের জোটের বোর্ড তৃণমূলের বোর্ডে পরিণত হয়েছে। নিয়ম মাফিক বিডিওকে দলবদলের কথা আমরা জানিয়ে দেব।’’
ব্লক সভাপতির পদ ফিরে পাওয়া দেবেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে দলেরই ভালুবাসা অঞ্চল কমিটির একাংশ কিছু দিন আগে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে অভিযোগ তুলেছিলেন, গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনি গোঁজ প্রার্থী দিয়ে ওই পঞ্চায়েত বিরোধী ও নির্দল জোটের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যদিও দেবেন্দ্রনাথবাবু সেই অভিযোগ মানেননি। এ দিন তিনি দাবি করেন, ‘‘দলে বিক্ষুব্ধ বলে কিছু নেই। ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।’’
তবে দেবেন্দ্রনাথবাবুর দলে পদপ্রাপ্তির সঙ্গে এই দলবদলের যোগ রয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা মানবাজারের বাসিন্দা প্রদীপ চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘ওঁরা আগে থেকেই তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের জেরে ওই পঞ্চায়েত বাম-নির্দল জোটের হয়েছিল। তবে এই দলবদলে আমাদের ক্ষতি হবে না। তৃণমূল যে ক্ষমতালোভী আরও এক বার প্রমাণিত হয়ে গেল।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘মীরাদেবী কিছু দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দলবদল হয়েছে।’’ দলবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা মানবাজারের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে যোগ দিতেই তাঁরা তৃণমূলে এসেছেন।’’এর ফলে মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ধানাড়া ও মানবাজার এই দু’টি পঞ্চায়েত এখন বিরোধীদের দখলে রইল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy