Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশকে সময় বেঁধে বিতর্কে নেতা

তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ২১ জুলাইকে সামনে রেখে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কোমা পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে মোটরবাইক মিছিল করেন কর্মী, সমর্থকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০০:৩৭
Share: Save:

সাত দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন তৃণমূলের সিউড়ি ২ ব্লকের সভাপতি নুরুল ইসলাম। জেলা পুলিশ এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি। পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘‘না শুনে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’’ এলাকার বিজেপি নেতারা অবশ্য একে নাটক হিসেবেই দেখছেন। পুলিশকে ব্যবহার করে দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে ওই নেতা এমন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ জেলা বিজেপি নেতৃত্বের।

তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার সকালে ২১ জুলাইকে সামনে রেখে সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কোমা পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে মোটরবাইক মিছিল করেন কর্মী, সমর্থকেরা। সেখানেই নুরুলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘পুলিশকে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিতে চাই দুষ্কৃতীদের থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সাত দিনের মধ্যে উদ্ধার করতে হবে। থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’ পরে প্রশ্নের উত্তরে তিনি দাবি করেন, ওই দুষ্কৃতীদের মদত দিচ্ছে বিজেপি।
তাতে এলাকা অশান্ত হচ্ছে। তাই পুলিশের কাছে শান্তি ফেরানোর আর্জি রাখা হয়েছে।

ঘটনা হল, কিছু দিন আগেই কোমা পঞ্চায়েতের কিছু সদস্য দলবদলে বিজেপিতে যোগ দেন। তার পরে দ্রুত ফের তৃণমূলেই ফিরে আসেন। তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষেরই অভিযোগ ছিল, ভয় দেখিয়ে বাধ্য করেই ওই দলবদল করানো হয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েতের উপরে কর্তৃত্ব রাখতে দুই শিবিরই পরস্পরের বিরুদ্ধে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে এলাকা অশান্ত করার অভিযোগ তুলেছে। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতির এ দিনের মন্তব্যের সঙ্গে ওই ঘটনার যোগ দেখছেন বিজেপি নেতারা। মণ্ডল সভাপতি পবন বাগদির কথায়, ‘‘পুলিশকে চাপে রেখে দলের কর্মীদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করাতেই ওই মন্তব্য করা হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশ তো তৃণমূলকে সাহায্যই করছে।’’ পক্ষপাতের অভিযোগ মানেনি পুলিশ।

এ দিন হাজারখানেক মোটরবাইক পুরন্দরপুর থেকে শুরু করে কোমা পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন গ্রাম ঘোরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অধিকাংশ মোটরবাইক চালকের মাথায় ছিল না কোনও হেলমেট। সেটা ঠিক হয়নি বলে মেনেছেন তৃণমূল নেতারা। এক নেতার কথায়, ‘‘হেলমেট রাখা সকলেরই উচিত ছিল। ট্রাফিক
নিয়ম সকলেরই জানা আছে। এটা মানা উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Suri Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE