Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তেতে উঠল পাত্রসায়র, পড়ল বোমা, চলল ‘গুলি’

বিজেপির দাবি, শনিবার বিকেলে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু বাচ্চা ছেলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার করে। তার পরেই পুলিশ বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডল সভাপতি তমাল গুঁইকে ‘মারধর’ করে তুলে নিয়ে যায়।

গুলির খোল দেখাচ্ছেন এক বিজেপি নেতা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

গুলির খোল দেখাচ্ছেন এক বিজেপি নেতা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাত্রসায়র ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০১:১২
Share: Save:

এলাকায় রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল সবে শেষ হয়েছে। কিছু ক্ষণের মধ্যে বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে তেতে উঠল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র। ভাটপাড়ার মতো সেখানেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে । পড়ল বোমা।

বিজেপির দাবি, শনিবার বিকেলে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু বাচ্চা ছেলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিৎকার করে। তার পরেই পুলিশ বিজেপির পাত্রসায়র ২ মণ্ডল সভাপতি তমাল গুঁইকে ‘মারধর’ করে তুলে নিয়ে যায়। তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ বিনা প্ররোচনায় এক স্কুল ছাত্র-সহ আমাদের দলের তিন কর্মীকে গুলি করেছে।’’ সংবাদমাধ্যমকে দু’টি গুলির খোল দেখান বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অমরনাথ শাখা। যদিও বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওয়ের দাবি, ‘‘বিজেপি কর্মীরা বোমাবাজি করছিলেন। পুলিশ তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়েছে। গুলি চালায়নি।’’

শুভেন্দুরও দাবি, তাঁর সামনে কেউ ‘জয় শ্রীরাম’ বলেনি। তিনি বলেন, ‘‘কাঁকরডাঙায় বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করে আমাদের কর্মীদের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করে। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে গেলে ওরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। পরে পুলিশ সব সামাল দেয়।’’

এলাকায় হারানো জমি ফিরে পেতে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দুর নেতৃত্বে এ দিন পাত্রসায়র বাসস্ট্যান্ড থেকে হলুদবনি মোড় পর্যন্ত ‘জনসংযোগ যাত্রা’ করে তৃণমূল। মিছিল শেষ হওয়ার কিছু পরেই সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে, কাঁকরডাঙা মোড়ে তৃণমূল কর্মীদের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছতে সংঘর্ষ বাধে। আশপাশের গ্রাম থেকে প্রচুর বিজেপি কর্মী সেখানে জড়ো হন। আতঙ্কে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।

সংঘর্ষে আহতেরা হলেন সৌমেন বাউড়ি, তাপস বাউড়ি ও টুলুপ্রসাদ খাঁ। কৃষ্ণনগর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া সৌমেনের পেটে ক্ষত রয়েছে। গাড়িচালক তাপসের ডান কাঁধে এবং আনাজ ব্যবসায়ী টুলুর গলায় চোট লেগেছে। রাতে তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁদের পরিস্থিতি স্থিতিশীল।

বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের অভিযোগ, ‘‘ওঁদের মিছিলের সময় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে তৃণমূলের নেতারা খেপে যান। তাঁদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের কর্মীদের উপরে গুলি চালিয়েছে। রাজ্য সরকার পুলিশকে দিয়ে বিরোধীদের দমনের চেষ্টা করছে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা আমাদের গাড়ি আটকে হামলার মতলবে ছিল। পুলিশ তাতে বাধা দিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Police Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE