Advertisement
E-Paper

দিল্লি ডায়েরি

মুকুল রায়ের সঙ্গে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগে পর্যন্ত দিল্লিতে তৃণমূলের ঠিকানা ছিল ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউ। ২০০৯ সালে লোকসভায় তৃণমূলের একগুচ্ছ নতুন সাংসদ তাঁদের প্রথম বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন এই বাংলোর সবুজ লনে।

প্রেমাংশু চৌধুরী ও অগ্নি রায়

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:২৪

বাড়ির পাশে... এক পড়শি বসত করে

মুকুল রায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগে পর্যন্ত দিল্লিতে তৃণমূলের ঠিকানা ছিল ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউ। ২০০৯ সালে লোকসভায় তৃণমূলের একগুচ্ছ নতুন সাংসদ তাঁদের প্রথম বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন এই বাংলোর সবুজ লনে। কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির ঠিকানাও ছিল এই ১৮১-ই। মুকুলের সঙ্গে সংঘাতপর্বের পরে কয়েক গজ দূরের ১৮৩-তে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলোতে চলে যান মমতা। মুকুলের বাড়ির দেওয়ালে আগে শোভা পেত তৃণমূল নেত্রীর বিরাট ছবি। তা বদলে যায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের তৈলচিত্রে। গুঞ্জন, এই ১৮১ নাকি ছাড়তে চলেছেন মুকুল রায়। চিত্তরঞ্জন পার্কে বাড়ি দেখার কাজ চলছে। বাংলো ছাড়ার দু’টি কারণ প্রকাশ্যে এসেছে। মুকুল এখন আর সাংসদ নন, ফলে নিজের পকেট থেকে বিপুল ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আর পাশেই তৃণমূলের ‘লম্ফঝম্পে’ নাকি কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। পাশের বাড়ি থেকে সারা ক্ষণ সিসিটিভি তাক করা থাকে ১৮১-র দিকে, এই অভিযোগও করা হচ্ছে মুকুল শিবির থেকে!

বাসাবদল: ১৮১ সাউথ অ্যাভিনিউ থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছবি

শুভেচ্ছাই যথেষ্ট

সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ক্রাউডফান্ডিং’ করে চাঁদা তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সিপিআই-এর পল্লব সেনগুপ্ত। ভোটের খরচের জন্য অর্থসাহায্য চেয়ে বসিরহাটের প্রার্থী ফেসবুকে আবেদন করেছিলেন। এত দিন সিপিআই-এর বিদেশ শাখার দায়িত্বে থাকা পল্লবের বন্ধু বিশ্ব জুড়ে। তাঁদের প্রশ্ন, কোন মুদ্রায় টাকা পাঠানো যাবে। প্যালেস্তাইনের বন্ধুরা তাঁর হয়ে বসিরহাটে প্রচারও করতে রাজি। ভারতের নির্বাচনে বিদেশি অর্থসাহায্য নেওয়া চলে না। বিদেশিদের প্রচারেও নামানো চলে না। যে কারণে বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস বিপদে পড়েছেন। পল্লববাবু তাই আবেদন সংশোধন করে জানিয়েছেন, বিদেশি বন্ধুদের অর্থসাহায্য প্রয়োজন নেই। শুভেচ্ছাই যথেষ্ট।

নড়েচড়ে

ফিরদৌস, গাজি নুরের মতো বাংলাদেশি অভিনেতাদের তৃণমূলের হয়ে প্রচার এবং পরে দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তৃণমূল বলছে, প্রচারে বিদেশিরা আসতে পারেন না, এমন কোনও আইন নেই। বিজেপি বলছে, এটা ভিসা শর্তের বিরোধী। সঙ্গে টিপ্পনী, বাংলাদেশি ভোটারে কুলোচ্ছে না বলে মমতার প্রয়োজন হচ্ছে সে দেশের অভিনেতাদেরও! চাপানউতোরের আড়ালে মেঘ ঘনাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী ক্ষোভ জানিয়েছেন। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব শাহিদুল হক এই সময় নিজস্ব কাজে দিল্লিতে ছিলেন, ঘনিষ্ঠ শিবিরে অসন্তোষ জানিয়েছেন তিনিও। অগ্নিগর্ভ প্রতিবেশী-বলয়ে ভারতের কাছে বাংলাদেশই একমাত্র রাষ্ট্র যার সঙ্গে সম্পর্ক মধুর। ফিরদৌস-কাণ্ড তাতে চোনা না ফেলে, তাই নড়েচড়ে বসছে বিদেশমন্ত্রক।

সাফ জবাব

রাজনীতির জমিতে তিনি ‘খামোশ’ বলছেন না কাউকেই। পটনা সাহিব থেকে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন শত্রুঘ্ন সিন্হা। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছেন। কিন্তু লখনউতে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা রাজনাথ সিংহের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির হয়ে স্ত্রী পুনম সিন্হার হয়েও মাঠে নামতে দেখা গেল তাঁকে। কংগ্রেস শিবিরে শোরগোল, কারণ একা রাজনাথ নন, সেখানে লড়ছেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রমোদ কৃষ্ণনও। প্রমোদ আপত্তি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছে, নিজে কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে শক্রঘ্ন কী করে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে সায় দিলেন? শত্রুঘ্নের সাফ জবাব: পরিবারকে সমর্থন করা আমার দায়িত্ব। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেও (তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস লড়ছে পশ্চিমবঙ্গে) তাঁর অগাধ আস্থা, আগে জানিয়েছেন। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মমতাই সেরা বিরোধী নেতা! প্রবীণ অভিনেতা-নেতার বহু রূপ দেখে গুঞ্জন দিল্লিতেও।

সটান: শত্রুঘ্ন সিন্হা

শব্দ-খেলা

‘ইনস্ট্যান্ট ফুড’ ‘কনস্ট্যান্ট ডিজ়িজ়’-এর উৎস। কারও সূর্য নমস্কারে আপত্তি থাকলে তিনি চন্দ্র নমস্কার করতে পারেন। শব্দ নিয়ে খেলায় জুড়ি নেই বেঙ্কাইয়া নায়ডুর। লোকসভা ভোটে তাঁকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না, কারণ তিনি এখন উপরাষ্ট্রপতি। তা বলে শব্দ নিয়ে খেলা বন্ধ হয়নি। বাড়িতে উগাড়ি-র নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিল্লির বন্ধুদের। ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। অন্ধ্রের খাবারের পাশে আসল আকর্ষণ বেঙ্কাইয়া-বচন।

Delhi Diaries
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy