আলোয়: পবন কল্যাণ। রুপোলি পর্দার পর এখন রাজনীতির অঙ্গনেও গুরুত্বপূর্ণ তিনি
হাওয়া যে দিকে, ‘পবন’ও সেই দিকে
অন্ধ্রপ্রদেশ রাজনীতিতে চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে শুধু জগনই নন, আরও এক জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ। তিনি পবন কল্যাণ, চিত্রতারকা চিরঞ্জীবীর ভাই। তেলুগু ছবির জনপ্রিয় নায়ক। চিরঞ্জীবী কংগ্রেসে চলে গেলে পবন কল্যাণ কংগ্রেস-বিরোধী মঞ্চ নির্মাণ করেন, নাম দেন ‘জন সেনা’। ধনী কৃষক জাতি কপু গোষ্ঠীর নেতা তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশে কপু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্ক খুব শক্তিশালী। এখন প্রশ্ন একটাই, জগন এবং টিডিপি-র মধ্যে কার ভোট তিনি কাটবেন? ভোটের পর কি তিনি টিডিপি-র দিকে যাবেন, না কি বিজেপি-তে? দিল্লিতে গুজব, পবন কল্যাণ সে দিকেই যাবেন, সংখ্যা যে দিকে থাকবে!
অশোক মিত্র স্মরণ
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব-এ ২৬ মে সন্ধ্যায় অশোক মিত্রের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হল। তাঁর মৃত্যুর পর শোকসভায় কোন কোন রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া হতে পারে, প্রাজ্ঞ, রসিক মানুষটি তার তালিকা লিখে রেখে গিয়েছিলেন। তাঁর সেই পছন্দ অনুযায়ীই গান হল। হল আলোচনাও। প্রাক্তন মুখ্যসচিব অর্ধেন্দু সেনের পরিচালনায় আর্থ-ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ, পঞ্চায়েত রাজ, অপারেশন বর্গা, সাহিত্য নানান বিষয়ে অশোক মিত্রের অবদান নিয়ে কথা বললেন বিশিষ্ট অধ্যাপক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, প্রাক্তন আমলারা। রাজধানীর গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করে বিভিন্ন পেশার খ্যাতনামা ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করল, অশোক মিত্র বিস্মৃতিতে হারিয়ে যাননি।
নিমিত্ত মাত্র?
পীযূষ গয়াল কেন্দ্রে অর্থমন্ত্রী হলেও নর্থ ব্লকে অরুণ জেটলির কোনও কর্মীকেই সরালেন না। কারণ পীযূষ জানেন, এই কাজটি অস্থায়ী। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে দেওয়া হয়েছে, অরুণ সুস্থ হয়ে ফিরে এলেই আবার তিনি অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব নেবেন। পীযূষ রেল থেকে কয়লা সব মন্ত্রক চালাচ্ছেন নিজের কর্মীদের নিয়ে। নর্থ ব্লকে তিনি যেন রামানুজ ভরত, সামনে খড়ম রেখে কাজ করছেন! দিল্লিতে গুঞ্জন, অরুণের অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী পীযূষের মাধ্যমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে
কিছু সিদ্ধান্ত জরুরি!
দিদিই পারেন
এক জন মুঙ্গেরের জেলাশাসক, অন্য জন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের মহকুমা শাসক। আনন্দ শর্মা ও শেরিং ভুটিয়া— দু’জনেই ২০১৩-র আইএএস। তখনই প্রেম, এখন স্বামী-স্ত্রী! নবদম্পতির এক জন বিহারে, অন্য জন বাংলায়। শেরিং আবেদন করেছেন, তাঁকে বাংলা থেকে বিহার ক্যাডারে বদলে দেওয়া হোক। কিন্তু সেই ফাইল সরছে না। ও দিকে আনন্দ শর্মা আবার বিহারে এসেছেন অসম ক্যাডার থেকে বদলি হয়ে, তাই এখন ক্যাডার বদলানোর সুযোগ নেই। শেরিং আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন, দিদিই পারেন নবদম্পতিকে ‘কাছে’ আনতে!
বঙ্গসন্তান
সুদক্ষ: অতনু চক্রবর্তী
সঞ্জয় মিত্র প্রতিরক্ষা সচিব হওয়ার পর অনেক দিন দিল্লির প্রধান দফতরগুলিতে কোনও বাঙালি সচিব ছিলেন না। এ বার নর্থ ব্লকে অর্থ মন্ত্রকে বিনিয়োগ সচিব হলেন অতনু চক্রবর্তী। কলকাতার বাঙালি কিন্তু গুজরাত ক্যাডারের অফিসার। নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ, ’৮৫-র ব্যাচের অতনু গুজরাতে একদা শিল্প সচিব ছিলেন। নিজে হাতে ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’ সংগঠিত করতেন! মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাঁকে দিল্লিতে হাইড্রোকার্বন বিভাগের ডিজি করেন। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই বিভাগ থেকে মোদী তাঁকে সরাতে চাইছিলেন না। এ জন্যই দেরি। অতনু লো প্রোফাইল মানুষ। কলকাতায় যান, কেউ জানতেও পারে না। সম্প্রতি শাশুড়ির মৃত্যুতে কলকাতায় গেলেন, কিন্তু রাজ্য সরকার বা পুরসভার কোনও ভিআইপি’র সাহায্য নেননি। কাজ শেষে দিল্লি ফিরে এসেছেন চুপচাপ।
কবে কাটবে
অমাবস্যা ১৩ জুন। অমিত শাহ-সহ বহু বিজেপি নেতাই মনে করছেন, অমাবস্যা কেটে গেলে খারাপ সময়ও কেটে যাবে। এখন একটা প্রতিকূল পরিস্থিতি চলছে। গুজরাত নির্বাচন, গোরক্ষপুর, ফুলপুর হয়ে কর্নাটক বা কৈরানা, দুর্দশা চলছেই। অমিত খুব জ্যোতিষ মানেন, ইয়েদুরাপ্পার জ্যোতিষ-নির্ভরতাও বিখ্যাত ছিল। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, অমাবস্যা কাটবে সে তো ভাল কথা, কংগ্রেসেরও ভাল হবে, শুধু বিজেপির কেন?
জয়ন্ত ঘোষাল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy