কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় একটা হোর্ডিং দেখা গিয়েছে সম্প্রতি, বিশ্বজননীর চক্ষুদান করছেন বঙ্গজননী। দুর্গাপ্রতিমার চোখ আঁকছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ রাজ্যের জমি এখন অনুপ্রেরিত। সেই প্রেরণার নানান লক্ষ্ণণ এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে এবং স্বাভাবিকভাবেই তা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করেই। এ ক্ষেত্রে প্রশ্নটা যখন প্রতিযোগিতার, যে প্রতিযোগিতার পথ বড়ই পিচ্ছিল এবং তৈলাক্ত। এবং কে না জানে, তৈলাক্ত বাঁশে বাঁদর দু-কদম ওঠে, তো তিন কদম নেমেও যায়। তবু সেই পথেই বিস্তর আনাগোনা এখন। এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রাঙ্গনজুড়ে সেই ভজন-বন্দন-কীর্তনেরই প্রতিযোগিতা। অতএব, দুর্গার ভজনা-বন্দনাকে বেশ দেখনদারি (হোক না ঈষৎ দৃষ্টিকটু) করতে পারলে বেশ খানিকটা লম্বা রেসের প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুধুমাত্র দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর বন্দনাকে যে পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা, তাতে বোধ হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সন্তুষ্ট হবেন না।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে নদিয়া জেলার একটি পুজো। সেখানে একটি পুজোর প্রাঙ্গন জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানান মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিভিন্ন মূর্তি রূপেই। সেলফি জোনও তৈরি করা হয়েছে ওই মূর্তির সামনে। তবে, মানুষ যাতে ভুল না বোঝেন, তাই বলে রাখা ভাল, ওই মণ্ডপে সপরিবার দুর্গা প্রতিমাও রয়েছে বটে। যখন আপামর বাঙালি সম্বৎসরের দুঃখবেদনা ভুলে, রাজনৈতিক আকচাআকচিকে এক পাশে সরিয়ে রেখে, কষ্টযন্ত্রণাকে কুলুঙ্গিতে তুলে রেখে দুর্গাপূজার উৎসবে মেতে ওঠেন, ঠিক তখনই সংকীর্ণ এই তৈলমর্দনের পাঠ অর্বাচীনের কাছে একটু দৃষ্টিকটূ ঠেকে বই কি।
আরও পড়ুন: দেবীর সঙ্গে দিদির মূর্তি, আছেন পার্থও! সেলফি পাঠালে জুটবে পুরস্কার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও প্রকৃতির থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাই বলেন। এই ধরনের পুজোর উদ্যোক্তারা কি এবার আকাশের থেকে উদার হওয়া এবং তৃণের চেয়েও বিনম্র হওয়ার শিক্ষা নেবেন?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy