Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Internet

ব্যবহার করছি, না কি অপব্যবহার? আগে যেন নিজেকে প্রশ্ন করি

সোশ্যাল নেটওয়ার্কের যেমন অজস্র সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। লিখেছেন মোহিত রণদীপ

মোহিত রণদীপ
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৯:০৬
Share: Save:

ভারতে প্রথম কম্পিউটার বসেছিল কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই)-এ, ১৯৫৬ সালে। সেই সময় তার মূল্য ছিল ১০ লক্ষ টাকা। দশ ফুট লম্বা, সাত ফুট চওড়া আর ছ’ ফুট উঁচু সেই কম্পিউটারে গণনার বাইরে তেমন কিছু করা যেত না। আর আজ, সেই কম্পিউটার ছোট হতে হতে হাতের মুঠোয়! শুধু গণনা নয়, কম্পিউটার নির্ভর তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব আজ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আক্ষরিক অর্থেই হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। মুহূর্তে আমরা বিশ্বের একেবারে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারি কথা।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক বা সামাজিক গণমাধ্যমের পথ চলার শুরু। সেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অরকুট থেকে শুরু হয়ে টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ, ইনস্টাগ্রামে আজ জুড়ে দিয়েছে সারা পৃথিবীকেই!

ইন্টারনেট-নির্ভর সোশ্যাল নেটওয়ার্কের উপযোগিতা কিংবা সদ্ব্যবহারের উদাহরণ মুঠো মুঠো! বহু হারিয়ে যাওয়া বন্ধুকে খুঁজে নিতে, সমমনস্ক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের সেতু গড়ে তুলতে; পারিবারিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-রাষ্ট্রীয় হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে; একাকিত্ব-নিঃসঙ্গতা দূর করতে; অজানা অনেক কিছু জানতে; ব্যক্তিমানুষের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যকে বহু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে; বিভিন্ন বিষয়ে বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনাকে উন্মুক্ত করে দিতে— সামাজিক গণমাধ্যম বা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক এমন বহু ক্ষেত্রেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, এ কথা অস্বীকারের কোনও উপায় নেই!

অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের সাহায্যে আমরা নিরাময়ের পথ খুঁজি। এটাকে সদ্ব্যবহার বলতে পারি। কিন্তু, যখন আমরা নিজের ইচ্ছে মতো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ খেতে শুরু করি— তখন তা অপব্যবহারের চেহারা নেয়...

গত বছর যৌন হেনস্থার বিরুদ্ধে ‘#মিটু’ আন্দোলন, কিংবা ধর্মের নামে হিংসার বিরুদ্ধে ‘নট ইন মাই নেম’ প্রতিবাদের এক অন্য ধারা নিয়ে এল আমাদের দেশে। বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিপীড়ণের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে বা বিপদগ্রস্ত কারও সাহায্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে আসতে, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক অনন্য ভূমিকা নিয়েছে।

যে কোনও জিনিসেরই যেমন সদ্ব্যবহার আছে, তেমনি অপব্যবহারও আছে। ওষুধ যেমন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের সাহায্যে আমরা নিরাময়ের পথ খুঁজি। এটাকে সদ্ব্যবহার বলতে পারি। কিন্তু, যখন আমরা নিজের ইচ্ছে মতো, অনেক সময় প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ওষুধ খেতে শুরু করি— তখন তা অপব্যবহারের চেহারা নেয়। এই অপব্যবহারের কারণে ক্ষতিকর পরিণতির মুখোমুখিও হই আমরা অনেকেই!

কম্পিউটার/ মুঠো ফোন/ সোশ্যাল নেটওয়ার্কেরও যেমন অজস্র সদ্ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে, তেমনি আছে অপব্যবহারেরও প্রবণতা, যা একসময় আসক্তি (নেশা) কিংবা অতিরিক্ত নির্ভরতায় পরিণতি পায়।

খুব ঘন ঘন ছবি দেওয়ার ফলে কমতে থাকে লাইকের সংখ্যা। মাঝে মাঝেই নোটিফিকেশন দেখতে থাকে বনলতা। বাড়তে থাকে তার হতাশা! এর পর এক দিন, হাইওয়েতে এক বন্ধুর সঙ্গে চলন্ত ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়...

সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন মহলেই ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে কম্পিউটার/ মুঠো ফোন/ সোশ্যাল নেটওয়ার্কের প্রয়োজন-অতিরিক্ত ব্যবহার কিংবা অপব্যবহার নিয়ে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক নির্ভরতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। একেবারে শৈশবেই এখন মুঠোফোন বা ট্যাব-এ হাতেখড়ি হয়ে যায় দুগ্ধপোষ্য শিশুদেরও। কৈশোরে পা দিতে না দিতেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কে প্রোফাইল তৈরি হয়ে যায়। দুনিয়াজোড়া ‘বন্ধুত্বের’ পাতা ফাঁদে অনায়াসে পা রাখে সদ্য কিশোর-কিশোরী! সারল্য আর অনভিজ্ঞতা নিজেদের অজান্তেই অনেক সময় তাদের অজানা বিপদের মুখে এনে দাঁড় করিয়ে দেয়! বহু ক্ষেত্রেই ফেক বা মিথ্যা দিয়ে বানানো আকর্ষক প্রোফাইলের টান ডেকে আনছে বিপদ। কখনও রোম্যান্টিক প্রেমের হাতছানি, কখনও সেক্স চ্যাটের উত্তেজক উষ্ণতা, কখনও পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ জগৎ কৈশোরকে করে তোলে নানা ভাবে বিপন্ন। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের এই সব প্রলোভনে পা দিয়ে ঘর ছাড়া কিশোরী— নারী পাচার চক্রের কবলে পড়েছে এমন ঘটনা অজস্র। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে গড়ে ওঠা অন্তরঙ্গতার ছবি-বার্তালাপ পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেল করার উপকরণে পরিবর্তিত হওয়ার দৃষ্টান্তও অজস্র। এই ভয়ঙ্করের হাতছানি শুধু কিশোর-কিশোরী নয়, সব বয়সের পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রেই কমবেশি প্রযোজ্য। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই ছড়িয়ে পড়েছিল ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি কিংবা মোমো গেম চ্যালেঞ্জের মতো মারণ খেলা! এই মারণ খেলা দুটোতে অনেক শিশু-কিশোর-তরুণের প্রাণ গেছে অকালেই!

সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভারচুয়াল বন্ধুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেলেও বাস্তবে বন্ধুর সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময়ও ক্রমশ কমতে থাকে। প্রায় সমস্ত সময় চলে যায় হাতের মুঠোয় ধরে থাকা ফোনে কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে! ক্রমশ একা হতে থাকা, বাস্তবের কাছের মানুষদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকা! অনেক সময় দেখা যায়, শিশুকিশোর থেকে বৃদ্ধ প্রায় সকলেই একসঙ্গে এক জায়গায় বসেও ব্যস্ত নিজের নিজের মুঠো ফোন/ ট্যাব/ কম্পিউটার নিয়ে! পরিবার হোক কিংবা বন্ধুদের একসঙ্গে কোথাও যাওয়া, সর্বত্রই এই ছবি দেখে থাকি আমরা! একে অপরের সঙ্গে নয়, সবাই ব্যস্ত হয়তো ভারচুয়াল বন্ধুর সঙ্গে আলাপে। একসঙ্গে অনেকে থেকেও, সবাই এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা! এই বিচ্ছিন্নতার পরিণতি ভবিষ্যতই বলবে! তবে পরিবারে কিংবা বন্ধুত্বের ক্ষেত্রেও সোশ্যাল নেটওয়ার্ক-নির্ভরতার কারণে অন্যদের মনে ‘অবহেলিত’ হওয়ার অনুভূতি ক্রমশ গুরুতর আকার নিচ্ছে, যা পারস্পরিক সম্পর্ককে প্রবল ভাবে প্রভাবিত করে চলেছে।

মাদকের উপর নির্ভরতার দুটো দিক থাকে। একটি শারীরবৃত্তীয়, অন্যটি মানসিক। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে যে নির্ভরতা তৈরি হয়, সেই নির্ভরতায় শারীরবৃত্তীয় নির্ভরতা হয়তো তেমন থাকে না, কিন্তু মাদকে মানসিক নির্ভরতার যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, তার সবগুলোই থাকে সোশ্যালনেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরতায়...

আমার কাছে আসা সমস্যা নিয়ে কয়েকটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। সায়ন (নাম পরিবর্তিত) মাধ্যমিকে খুব ভাল রেজাল্ট করার পর ওর বাবা কিনে দিয়েছিলেন একটা স্মার্টফোন। সেই ফোন কিনে দেওয়ার স্বপক্ষে বেশ কিছু যুক্তিও ছিল। বিভিন্ন কোচিং-এ পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের সহায়ক ভূমিকা অনেক! কিন্তু, কিছু দিন পরে সেই ফোনে ইন্টারনেট সংযোগের সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুক-হোয়াটস্অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গেল। খুলল নতুন অ্যাকাউন্ট। এর পর তার বেশির ভাগ সময় কাটতে লাগল স্মার্টফোনেই। পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ কমতে থাকল। ফেসবুক-এর ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এখন তার হাজারখানেক বন্ধু, কিন্তু বাস্তব জীবনে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার সময় কোথায় তার!

সায়ন ইলেভেনের অ্যানুয়াল পরীক্ষায় ফিজিক্স আর ম্যাথামেটিক্সে পাশই করতে পারল না শেষ পর্যন্ত।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিজের এবং নিজের তোলা ফটোগ্রাফ, কবিতা, বয়ান, মিম, পোস্ট করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যকে তুলে ধরে স্বীকৃতি পাওয়া যায় ‘লাইক’ চিহ্ন, নানা ধরনের ইমোজি কিংবা বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে। প্রথম প্রথম স্বীকৃতির বহর বেশি থাকে, সেই সময় ঘন ঘন পোস্ট দেওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে। আত্মপ্রতীতি যাদের নিচের দিকে, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু, এত ঘন ঘন পোস্ট দেওয়ার ফলে ক্রমশ অন্যদের দিক থেকে সাড়া কমতে শুরু করে! তখন অনেক সময় গুরুত্ব পেতে কেউ কেউ বিপজ্জনক/ ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সেলফি বা নিজস্বী তোলার নেশায় পড়ে। যা কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হয়েছে, কেড়ে নিয়েছে জীবন। এ ক্ষেত্রে যথার্থ আত্মপ্রতীতির অভাব একটি বড় কারণ।

বছর উনিশের কলেজ-পড়ুয়া বনলতার (নাম পরিবর্তিত) সাজগোজের প্রতি, ছবি তোলার প্রতি, ফেসবুক-এ নিজস্বী আপলোড করার প্রতি ঝোঁক ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রচুর লাইক আর কমেন্টস ওকে আরও উৎসাহিত করতে থাকে। তার পর এক সময় ধীরে ধীরে ওর মন পড়াশোনা থেকে উবে যেতে থাকে। ওর প্রতিটি ছবিতে ছ’শো থেকে আটশো লাইক!

কিন্তু, খুব ঘন ঘন ছবি দেওয়ার ফলে কমতে থাকে লাইকের সংখ্যা। মাঝে মাঝেই নোটিফিকেশন দেখতে থাকে বনলতা। বাড়তে থাকে তার হতাশা! এর পর এক দিন, হাইওয়েতে এক বন্ধুর সঙ্গে চলন্ত ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি বা নিজস্বী তুলতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়, মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসে বলা যায়।

মাদক দ্রব্যের উপর যে ধরনের নির্ভরতা তৈরি হয়, সেই নির্ভরতার দুটো দিক থাকে। একটি শারীরবৃত্তীয়, অন্যটি মানসিক। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে যে নির্ভরতা তৈরি হয়, সেই নির্ভরতায় শারীরবৃত্তীয় নির্ভরতা হয়তো তেমন থাকে না, কিন্তু মাদক-নির্ভরতায় মানসিক নির্ভরতার যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, তার সবগুলোই থাকে সোশ্যালনেটওয়ার্কের নির্ভরতায়।

যেমন— সর্ব ক্ষণ মন জুড়ে থাকা; ক্রমশ ব্যবহারের মাত্রা বাড়তে থাকা; ব্যবহারের স্বপক্ষে নানা ওজর বা অজুহাত দেওয়া; নিয়ন্ত্রণ হারানো; জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে (যেমন পড়াশোনা, পেশাগত ক্ষেত্র, সম্পর্ক, সামাজিক মেলামেশায়) নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করা; অস্বীকারের প্রবণতা (যেমন ‘আমি তো এইমাত্র হাতে নিলাম’ কিংবা ‘কতক্ষণ আর নেটে থাকি’!); মেজাজের পরিবর্তন (সাময়িক ভাললাগার অনুভূতি তৈরি হলেও ধৈর্যের অভাব, বিরক্তি, রাগ ক্রমশ বাড়তে থাকে); বেপরোয়া মনোভাব (‘বেশ করব’!); প্রতিকূল মানসিক পরিস্থিতিতে পড়লেই আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরা নেশার জিনিসটাকেই...

বানানো, মিথ্যা, বিকৃত পোস্ট বা বয়ান যা ফেক নিউজ বা পোস্ট ট্রুথ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে বর্তমানে, এই ধরনের পোস্টে বিভ্রান্ত হয়ে বহু নেটিজেন শেয়ার করেছেন অন্যদের সঙ্গে এমন উদাহরণ অগণিত। ফেক নিউজ বা পোস্ট ট্রুথ-কে সত্য হিসাবে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের দেশ ভারত কোথাও বাকি নেই! ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে নরেন্দ্র মোদী... অভিযোগের তির বিশিষ্ট এই রাষ্ট্রপ্রধানদের দিকেও। এ দেশে শাসকদলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল পোস্ট ট্রুথ নির্মাণে অভিযুক্ত বহু দিন ধরেই! পোস্ট ট্রুথ ইতিহাসকে বিকৃত করা, ধর্মীয় উত্তেজনা/ প্ররোচনা/ বিভাজন ছড়িয়ে দিতে গুরুতর ভূমিকা নিয়েছে বহু ক্ষেত্রেই। এমনই বানানো একটি মিম দাঙ্গার আবহ তৈরি করেছে সাম্প্রতিককালে আমাদের রাজ্যের বাদুড়িয়া ও বসিরহাট অঞ্চলে।

আমাদের নিজেদেরই এই প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়ানো আজ জরুরি, আমরা সত্যিই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক প্রয়োজনে ব্যবহার করছি, না অপব্যবহার! এই প্রশ্নের উত্তর যিনি ব্যবহার করছেন, তিনিই সব থেকে ভাল দিতে পারবেন!

(লেখক মনোসমাজকর্মী)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE