Advertisement
০২ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

দেশবিদেশের অসংখ্য মানুষ ভিআইপি রোড দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন। অবিলম্বে এর সমাধান প্রয়োজন নিজেদের সম্মান বজায় রাখার সঙ্গে পরিবেশ-দূষণ থেকে রক্ষা পেতে।

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

ভিআইপি ধাপার মাঠ

না, ওপরের ছবিটি ধাপার মাঠের নয়। এটা জোড়ামন্দির থেকে তেঘরিয়া যাওয়ার পশ্চিম দিকের সার্ভিস রোড। মাননীয় মন্ত্রী আর বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদের এলাকায় বাস করেও আমরা শতাধিক মানুষ এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোজ প্রাতর্ভ্রমণে বেরোই। দেশবিদেশের অসংখ্য মানুষ ভিআইপি রোড দিয়ে রোজ যাতায়াত করেন। অবিলম্বে এর সমাধান প্রয়োজন নিজেদের সম্মান বজায় রাখার সঙ্গে পরিবেশ-দূষণ থেকে রক্ষা পেতে।

সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী দেশবন্ধুনগর, বাগুইআটি

দাদাগিরি

অনেকের মুখে শোনা যাচ্ছে, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার বিভিন্ন শাখার কাজকর্ম ও পরিষেবায় এখন গ্রাহকরা তিতিবিরক্ত। কর্মীসংখ্যা হ্রাসের কারণে কি না জানি না, বেশ কিছু কর্মচারীর তিরিক্ষি মেজাজে অনেকেরই উপলব্ধি, যেন ওঁরা মানুষকে দয়াদাক্ষিণ্য করতে বসেছেন। ওঁদের কেউ কেউ বোঝাতে চান, অনেক সাহায্য করছি, বেশি বকাবেন না। গ্রাহকরাও ধরে নিয়েছেন, ওঁদের দাদাগিরি সহ্য করাটাই বোধ হয় ভবিতব্য। সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের কারও কারও কথাবার্তায় মিষ্টতা নেই। মুখের দিকে তাকিয়ে উত্তর দিতেও কষ্ট। অর্ধেক কথা যেন শুনতেই পান না। তা ছাড়া অকারণে নিত্যনতুন ফরমান লেগে আছে— আজ এটা আনুন, কাল ওটা আনুন। আধার কার্ডের কপি বা যে কোনও চিঠি, এমনকী অভিযোগপত্র নিয়ে গেলেও রিসিভ করার বালাই নেই— সবেতেই বিরক্তির মনোভাব।

প্রসঙ্গত, গত ২ মে হাওড়ার একটি এসবিআই এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম। মেশিন অপারেট হল, টাকা বের হল না। মুহূর্তে মোবাইলে ডেবিট মেসেজ। এবং একটু পরেই ক্রেডিট মেসেজ। নিশ্চিন্ত হয়ে ওই দিন টাকা না তুলে বাড়ি ফিরলাম। পরের দিন ৩ মে জগাছা, হাওড়ার অন্য একটি এসবিআই এটিএম কাউন্টারে ওই সম অঙ্কের টাকা তুললাম। আশ্চর্য, মেসেজে দু’দিনের দ্বিগুণ টাকা ডেবিট হয়ে গেল। ৫ মে অভিযোগ পত্র নিয়ে ব্যাংকে গেলাম। ব্যাংক আধিকারিকের বিরক্তি— আজ এসেছেন কেন? বাহাত্তর ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর আসবেন। ‘আমার অত সময় নেই’— জানিয়ে ওঁকে চিঠিটি রিসিভ করতে বাধ্য করলাম। ৮ মে হেল্পলাইনেও অভিযোগ জানালাম। কোনও অজ্ঞাত কারণে আমার অভিযোগ ‘রিজেকটেড’ হল। অগত্যা ১২ মে রিমাইন্ডার জমা দিলাম ব্যাংকের চিফ ম্যানেজারের কাছে। উনি ‘কিছু দিন অপেক্ষা করুন’ ছাড়া কোনও সদুত্তর দিলেন না। আবার ১৫ মে ব্যাংকে গেলাম। চিফ ম্যানেজারের সেই একই কথা ‘আরও কিছু দিন অপেক্ষা করুন। তা ছাড়া বিষয়টা তো দেখছেন অমুকবাবু। ওঁর কাছে যান’। তাঁর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, ‘এখনই কিছু করার নেই, ক’দিন পরে আসুন।’ অবশেষে ১৮ মে রাতে মেসেজ বলল: ক্লেম অ্যাকসেপটেড।

কিছু প্রশ্ন। ২ মে ব্যাংকের এটিএম মেশিন আমায় টাকা দিল না। সে দিনই সেই টাকা ডেবিটের পর ক্রেডিট হয়েছে বলা সত্ত্বেও কী ভাবে পরের দিন আবার তা ডেবিট হয়ে গেল? ৯ মে আমার অভিযোগ কেন ‘রিজেকটেড’ হল? আবার ১৮ মে (ন’দিন পর) কী ভাবেই বা আমার অভিযোগ ‘অ্যাকসেপটেড’ হল? এই ধরনের দুরবস্থা যদি অন্যান্যদের ক্ষেত্রেও চলতে থাকে, তবে একেবারে সাধারণ ও অসচেতন গ্রাহক যাঁরা, তাঁরা কেমন করে লোপাট হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করবেন? সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাংক কর্মচারীদের ব্যবহার কবে ভদ্রস্থ ও সুন্দর হবে?

শক্তিশঙ্কর সামন্ত ধাড়সা, হাওড়া

হিন্দু বলেই কি

বিশ্বজিৎ রায় তাঁর ‘কী তার দর্প’ (১৪-৫) শীর্ষক রচনায় হিন্দুত্বের আস্ফালন-দর্প প্রসঙ্গে অহেতুক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ‘বাহুবলী ২’ সিনেমায় শুধু হিন্দু অতীতের প্রতি অন্ধমোহ দেখলেন। কোনও ভাল দিক তাঁর চোখে পড়ল না? এবং প্রসঙ্গত বঙ্কিমচন্দ্র এবং শরদিন্দুর সাহিত্যকৃতিকেও হিন্দু জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার করলেন? সমস্যা হল, আমরা যখন কোনও সাহিত্য বা কোনও সংরূপের আলোচনা করি, তখন যদি আমরা যাবতীয় প্রাদেশিকতা-আঞ্চলিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে না পারি তা হলে সমালোচনাও হয়ে পড়ে আংশিকতা দোষে দুষ্ট। আজ কেন বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ বা ‘বাহুবলী’-কে ভারতীয় বোধ দিয়ে বিচার করব না? কেন বাঙালি শুধুমাত্র বাংলা সিনেমা নিয়ে অক্ষম গর্ব পোষণ করবে? কেন দক্ষিণের সিনেমার প্রতি আমরা আকৃষ্ট হব না? এ সিনেমায় কোনও ভাবেই ‘হিন্দুর বাহুবল’ দেখানোর প্রয়াস সচেতন ভাবে নেই। তবুও সমালোচক কী কৌশলে অমরেন্দ্র-বীরেন্দ্র-র পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গও আনলেন!

ভারতীয় এই ঐতিহ্য ও পরম্পরাকে স্বীকৃতি ও সম্মান জানাতে আপত্তি কোথায়? এই রকমই তো ছিল আমাদের ভারতবর্ষ। এ নিয়ে আমাদের দর্প ও গর্ব দুই-ই থাকা প্রয়োজন। যুগপ্রবাহিত-পতাকাশোভিত ক্ষমতার যে দর্প ও আস্ফালন আমরা রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মধ্যে প্রায়শই লক্ষ করছি, অমরেন্দ্র বাহুবলীদের দর্প ও বাহুবলকে তার সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে মুশকিল। এ আমাদের ইতিহাসের উজ্জ্বল উদ্ধার। বঙ্কিমচন্দ্রই তো মন্তব্য করেছিলেন ‘বাঙ্গালার ইতিহাস’ নিবন্ধে— ‘ইতিহাসবিহীন জাতির দুঃখ অসীম।’ আমার মনে হয়, সিনেমার রাজা যদি অহিন্দু কেউ হতেন, তা হলে নিশ্চয়ই আশঙ্কা হত না, আপত্তিও থাকত না। রাজা হিন্দু ও রাজ্য হিন্দু-অধ্যুষিত হওয়াতেই যত গণ্ডগোল!

ফাল্গুনী ভট্টাচার্য বোলপুর, বীরভূম

বাংলা মাধ্যম

একটা প্রশ্ন প্রতি মুহূর্তে আমাকে ভীষণ ক্লান্ত ও বিভ্রান্ত করে— মেয়েকে কোন মাধ্যমে পড়াব? সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবরা যখন তাঁদের বাচ্চাদের ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তখন আমি এক জন স্কুলশিক্ষক হিসাবে বাংলা মাধ্যম স্কুলের উপরেই ভরসা রেখে মেয়েকে ভর্তি করেছি সেখানেই। বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির প্রতি অভিভাবকদের বিরূপ মনোভাবের যথার্থ কারণ বোধ হয় আছেও। বার বার যখন এই কথাটা শুনি যে, কেন দিচ্ছ মেয়েকে বাংলা মাধ্যমে? তখন কোনও উত্তর দিতে সাহস পাই না। উচ্চবিত্ত থেকে একেবারে নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষেরও প্রথম পছন্দ ইংরেজি মাধ্যম। আমাদের মতো অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে এই স্কুলগুলির সিলেবাস ও পরিকাঠামো গড়ে তোলা হোক।

বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ম স্কুলে ভর্তি না করে ভুল করলাম কি না জানি না, কিন্তু এটুকু আশা তো করতেই পারি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়ে অবশ্যই ঠিক দিশা খুঁজে পাবে এবং আমরাও বলতে পারব, বাংলা মাধ্যম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সর্বভারতীয় স্তরে পিছিয়ে নেই।

অমৃতাভ দে কৃষ্ণনগর, নদিয়া

হবে ‘শিবজি’

মহারাষ্ট্রের এই মহানায়কের নাম বাংলায় ‘শিবাজি’ লেখা হয়। মরাঠিতে এর ঠিক বানান ‘শিবজি’। হিন্দিতেও তাই লেখা হয়। মহারাষ্ট্রে তাঁর স্মৃতিসৌধে ইংরেজিতে Shivji লেখা থাকে।

উদয় বসু পুণে

পাতাল-পথ

তেঘরিয়া-রঘুনাথপুর এলাকায় বাস করি। মাসকয়েক আগে এখানে যে সাবওয়ে নির্মিত হয়েছে, তা আজ ব্যবহারের অযোগ্য। নোংরায় ঢেকে গেছে এ পাশ ও পাশ। অথচ কাছেই বাগুইআটি সাবওয়ে অনেকটাই পরিচ্ছন্ন।

বিপ্লব বিশ্বাস কলকাতা-৫৯

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE