Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু

‘হল অব ফ্রিডম স্ট্রাগল’-এ রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবান নথি, স্মারক। ‘গ্যালারি অব হোপ’-এ দর্শনার্থীরা নিজেদের ভাবনার কথা লিখে রাখতে পারছেন।

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

পার্টিশনের জাদুঘর

একটি বিশাল করাত। করাত দিয়ে পাঁচিলটার মধ্যিখান কাটা হচ্ছে। থরে থরে সাজানো আছে দেশ ভাগের সরকারি নথি, স্মারক, ছবি, সংবাদপত্র। অজানা মানুষের একটি পকেট ঘড়ি। খুন হওয়ার পর ঘড়িটি পড়েছিল রাস্তায়। রয়েছে দাঙ্গায় বেঁচে যাওয়া মানুষদের সাক্ষাৎকার। ‘হল অব ফ্রিডম স্ট্রাগল’-এ রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবান নথি, স্মারক। ‘গ্যালারি অব হোপ’-এ দর্শনার্থীরা নিজেদের ভাবনার কথা লিখে রাখতে পারছেন। রয়েছে এক মহাপ্রাণার স্মৃতি কথা (মহিন্দর কাউর) যিনি পঞ্জাবের উদ্বাস্তু মেয়েদের সম্ভ্রম বাঁচিয়ে ভারতের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের বাঁচা-মরার স্মৃতি, যা সময়ের বালিতে চাপা পড়ে যায়নি।

প্রবাসী লর্ড মেঘনাদ দেশাই-এর উদ্যোগে দেশের প্রথম ‘পার্টিশন মিউজিয়াম’ জন্ম নিয়েছে অমৃতসরে, চলতি বছরের অগস্টে (ছবিতে)। পঞ্জাব-বিভাগের দগদগে ঘা (১৯৪৭ সালের ১৭ অগস্ট) নিয়ে সাজানো এই ঐতিহাসিক সংগ্রহশালা। ভাবী প্রজন্মের কাছে বার্তা দিতে চাইছে— ইতিহাস থেকে যেন আমরা শিক্ষা নিই, এমন বীভৎস ঘটনা আর না ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্মের কাছে উদাত্ত আহ্বান— বিভেদ ভুলে, আসুন আমরা সম্প্রীতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ হই।

বাংলা ভাগের বিষণ্ণ অধ্যায় নিয়ে আমরা কলকাতায় এমন একটি সংগ্রহশালা গড়ে তুলতে পারি না? যেখানে দু’বাংলার মানুষ মিলিত হতে পারবেন, আবহ সংগীত ধ্বনিত হবে, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি।’ হিন্দু-মুসলমান মানুষ মিলিত ভাবে সংগ্রহশালাটিকে সমৃদ্ধ করবেন। দুই সম্প্রদায়েরই আত্মত্যাগের কাহিনি খচিত থাকবে।

কল্যাণ চক্রবর্তী

বাগবাজার, চন্দননগর

শীতের ছুটি

রাজ্যের এক জন প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে আবেদন, দরকারে অন্য খাত থেকে ছুটি কমিয়ে, বড়দিনের পর থেকে ক’টা দিন যদি ছুটি দেন খুবই ভাল হয়। উৎসবমুখর মানুষ যখন এই শীতের সময় ছেলেমেয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, আমাদের বছরের শেষ দিন অবধি মিড-ডে মিলের হিসেব নিয়ে পড়ে থাকতে হয়। অথচ বাস্তব অভিজ্ঞতা হল, এই সময় বেশির ভাগ স্কুলেই বাচ্চাকাচ্চা আসতে চায় না।

শতদল দেব

কলকাতা-১১২

সতীপীঠ

৫১ সতীপীঠের অন্যতম হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার অন্তর্গত অট্টহাস সতীপীঠটি। ঈশানী নদীর তীরে অবস্থিত এই পীঠটির চার দিকে প্রায় জঙ্গল হয়ে আছে। এর উলটো দিকে অতি প্রাচীন কেতুগ্রাম শ্মশানঘাট, গীতাভবন এবং বহুলাক্ষী মন্দির। এবং দুটি জায়গার মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হল মাঠের আলপথ। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও এই রাস্তাটির সম্প্রসারণ হয়নি। তাই নিত্যদিন প্রচুর দর্শনার্থীকে কেতুগ্রাম থেকে অট্টহাস পৌঁছতে প্রায় ৬-৭ কিমি ঘুরে, পাঁচুন্দি, নিরোল হয়ে যেতে হয়। মাঠের রাস্তাটি বড় হলে ফি-বছর হাজার হাজার দর্শনার্থীর সুবিধা হয়।

সম্পর্ক মণ্ডল

গঙ্গাটিকুরি, পূর্ব বর্ধমান

চিকেন পক্স

‘চিকেন পক্সে মৃত্যুতে এক নম্বরে রাজ্য’ (১৪-১২) পড়লাম। এটা ঠিক, চিকেন পক্সে রোগীর মৃত্যু প্রায় হয় না। তবে যদি রোগীর প্রতিরোধ-ক্ষমতা খুব কম থাকে, বা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, অপুষ্টিজনিত রোগ থাকে, সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়বে। এ ছাড়া রোগ সম্বন্ধে কিছু ভ্রান্ত ধারণা আছে, যেমন শরীর গরম হয়ে পক্স হয়েছে তাই ঠান্ডা খাবার খাওয়ান। সে সব করলে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস হতে পারে। অনেক সময় মাছ, ডিম, মাংস খেতে দেওয়া হয় না— এতে আবার শরীরের প্রতিরোধ-ক্ষমতা কমে যায়। অনেক সময় হাসপাতালে রোগীকে খুব খারাপ অবস্থায় আনা হয়। তখন আবার সেকেন্ডারি ইনফেকশন হলে, রোগ খারাপ দিকে মোড় নেয়। কাজেই রোগীর মৃত্যু হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।

অর্চনা ভট্টাচার্য

ক্রুকেড লেন, চুঁচুড়া, হুগলি

পিএ

‘বেতন বৈষম্যে ক্ষুব্ধ পিএ মহল’ (১৬-১২) প্রতিবেদনের উত্তরে জানাই, ১৯৯০-এ রাজ্য সচিবালয়ে নিযুক্ত অধিকাংশ শেডিউল ‘এ’ পিএ এখন সচিবালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে অনেকে অবসর গ্রহণ করবেন। এই সরকারের বেতনক্রম ১৯তম পর্যন্ত বাড়ানো সত্যিই অভিনন্দনযোগ্য। কিন্তু একটা কথা বলা দরকার। অধিকাংশ পিএ ১৬ থেকে ১৭তম স্কেলে পৌঁছনোর অনেক আগেই অবসর গ্রহণ করবেন, যা প্রথমে শতকরা ওই স্কেলে ২ ভাগ ও পরে ৫ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। শতকরা অন্তত যদি ৫০ ভাগ ১৬ থেকে ১৭তম স্কেলে উন্নত করা যায়, তা হলে অনেক পিএ উপকৃত হবেন। এবং মনে হয় না সরকারকে এ জন্য খুব একটা আর্থিক ব্যয়ভার বহন করতে হবে। কারণ ১৮ ও ১৯তম স্কেলে মুষ্টিমেয় কয়েক জন পৌঁছনোর অনেক আগেই, বর্তমানে কর্মরত সচিবালয়ের অধিকাংশ পিএ অবসর গ্রহণ করবেন।

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী

অর্থ দফতর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার

দুর্ঘটনা

ইদানীং বীরেন রায় রোড বেহালা চৌরাস্তা থেকে ডাকঘর পর্যন্ত রাস্তার বেশ কিছু জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ। বিশেষ করে ঝাউতলা ও রায়দিঘি মাঝে টার্নিং, সারদা পার্কের ঠিক আগে ভূষণচন্দ্র হসপিটালের কাছে, শকুন্তলা পার্কের দুটো গলি ক্রসিং-এ, এ ছাড়া বকুলতলা ক্রসিং-এ, ঠিকমত স্পিড ব্রেকার বা বাম্প না থাকায়, দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে।

অরুণাভ বাগ

কলকাতা-৬১

ট্রেনে তাস

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নামখানা সেকশনের নিত্যযাত্রী হিসাবে বলি, এখানে ট্রেনের স্বল্পতা, ভিড়, ঠিক সময়ে চলাচল না করা: এগুলো তো আছেই। কিন্তু ইদানীং যাত্রীদের ট্রেনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলছে— নিত্যযাত্রীদের তাস খেলা। এঁরা নিজেদের নির্দিষ্ট কামরার চ্যানেলগুলিতে খেলার আসর বসান, যাত্রীদের অসুবিধার সৃষ্টি করে। চার জন খেলেন, আর সঙ্গীরা অন্য যাত্রীদের চ্যানেলে ঢোকার পথ রোধ করে দাঁড়ান। এঁরা কাউকেই রেয়াত করেন না। বয়স্ক, শিশু, মহিলা— কাউকে না। মাঝে মাঝে মোবাইল-এ অ্যাপ খুলে লুডোও খেলেন। তাতে হুড়োহুড়ি বাড়ে বই কমে না।

সৌম্য বটব্যাল

দক্ষিণ বারাসত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

এয়ারপোর্টে

১৬ ডিসেম্বর ‘এবিপি আনন্দ’-এ কলকাতা বিমানবন্দরে কৌশিক সেনের হেনস্তার ছবি দেখছিলাম। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রতি দিন অসংখ্য মানুষকে এই তোলাবাজির মাশুল গুনতে হয়। আজ কৌশিকবাবুর মতো মানুষ হেনস্তার শিকার হওয়ায়, হইহই হচ্ছে। এই তোলাবাজরা ইচ্ছাকৃত ভাবে বেরনোর গেটে জ্যাম করে রাখে, যাতে কোনও গাড়ি ১০ মিনিটের মধ্যে বেরতে না পারে। কেউ তিন বা চার মিনিটের বেশি বিমানবন্দরে থাকতে না চাইলেও, এই তৈরি করা জ্যামে আটকে (বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত সময়ে) তাঁর বেরতে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। তোলাবাজরা তখন জোর করে টাকা আদায় করছে। বেশির ভাগ লোকই ঝামেলা এড়াতে ভয়ে ১০০ টাকা দিয়ে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলে আজ কৌশিকবাবুর সঙ্গে যা হয়েছে, তাদের সঙ্গেও তা-ই হয়ে থাকে। সামনেই পুলিশ ফাঁড়ি, এই কাণ্ড দিনের পর দিন পুলিশের অজান্তে ঘটছে, বিশ্বাস করা শক্ত।

সঞ্জয় দাস

সল্ট লেক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters To Editor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE