Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: রেশন অভিযোগ

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

২৭ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে সারা রাজ্যে চালু হয়েছে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ‘খাদ্যসাথী’। এই প্রকল্পে গণবণ্টন ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য, গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়া। এর জন্য সারা রাজ্যব্যাপী খোলা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের রেশন দোকান, যেখান থেকে ডিজিটাল রেশন কার্ড দিয়ে সস্তায় কেনা যায় রেশনের খাদ্যসামগ্রী বা খাদ্যশস্য।

প্রশ্ন হল, প্রকৃত গরিব মানুষেরা আদৌ ন্যায্য মূল্যে সরকারি এই সব রেশনিং সুবিধা পাচ্ছেন কি? না কি যাঁরা গরিব নন, তাঁরাই গরিবদের জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্যে ভাগিদার হয়ে চলেছেন?

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে তিনটি ক্যাটেগরি। অন্নপূর্ণা অন্ত্যোদয় যোজনা (এএওয়াই), বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পরিবার (এসপিএইচএইচ), অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত পরিবার (পিএইচএইচ)। চাল, গম, আটা, চিনির জন্য এঁদের মাসিক বরাদ্দ নির্দিষ্ট প্যাকেজ। আর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-১ (আরকেএসওয়াই-১)-এ চাল ও গম ২ টাকা প্রতি কেজি এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা-২ (আরকেএসওয়াই-২)-এ চাল ১৩ টাকা প্রতি কেজি ও গম ৯ টাকা প্রতি কেজিতে জনগণ কিনতে পারেন। এ ছাড়া আছে বিশেষ প্যাকেজ যা নির্দিষ্ট স্থানে প্রযোজ্য।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক এলাকায় বিষ্ণুবার-১ গ্রাম পঞ্চায়েত ও অন্যান্য স্থানে এই ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে অভিযোগ মারাত্মক। প্রকৃত গরিব মানুষ, যাঁদের দিনান্তে রোজগার ১০০-২০০ টাকা ও যাঁরা দিনমজুর, তাঁরা রেশনে চাল, গম কিনছেন ১৩ টাকা, ৯টাকা কেজি দরে এবং যেটুকু পাচ্ছেন তা অপর্যাপ্ত। আর অন্য দিকে সমাজের ‘এগিয়ে থাকা’ মানুষজন, যাঁরা কিনা ডাক্তার, স্কুল শিক্ষক, সরকারি চাকরিজীবী, যাঁদের মাসিক বেতন ৩০,০০০ টাকার আশেপাশে, তাঁরা চাল, গম পাচ্ছেন ২ টাকা কেজি দরে (আরকেএসওয়াই-১, পিএইচএইচ, এএওয়াই, এসপিএইচএইচ ক্যাটেগরিতে) আর যা পাচ্ছেন তা অফুরন্ত!

তবে কি গরিব মানুষেরা ডিজিটাল কার্ডের জন্য ঠিকঠাক ফর্ম পূরণ করেননি, আর সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন আবেদনপত্রে ‘গরিব’ বলে নিজেদের দাবি করেছেন? নাকি তাঁদের ‘গরিব’ সাজিয়ে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা খাদ্যসাথীকে কালিমালিপ্ত করে পুরো রেশনিং সিস্টেমটাকেই দুর্নীতির আখড়া বানিয়ে দিয়েছেন কিছু ব্যক্তি?

সুদীপ্ত মণ্ডল, সুজাতা মাইতি মণ্ডল

তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর

একটি নম্বর

বাসে ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চাই। কলকাতা এবং শহরতলির সরকারি-বেসরকারি নানা বাসে নিত্যযাত্রী হিসাবে দেখেছি, রেষারেষি ছাড়াও, বাসে ভাড়ার তালিকা না থাকা, নির্দিষ্ট স্টপে বাস না থামা, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে যাত্রী নামানো, ভাঙাচোরা কাঠামো নিয়ে বিপজ্জনক বাসের যাত্রিবহন ইত্যাদি এখন নিয়মিত ঘটনা। যাত্রীদের নিরাপত্তা যাতে আরও সুদৃঢ় করতে, প্রত্যেক বাসের মধ্যে পরিবহণ দফতর বা ট্র্যাফিক পুলিশের একটি বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ বা হেল্পলাইন নম্বর লিখে দেওয়া বাধ্যতামূলক হোক।

আনন্দ বক্সি

কলকাতা-৮৪

রড বড্ড উঁচু

‘বাসের পাঁচালি’ (১২-৩) চিঠিতে পত্রলেখক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেননি। দাঁড়িয়ে বাসযাত্রা করার সময় ধরে দাঁড়ানোর জন্য যে ‘রড’ আছে, তা মহিলাদের গড় উচ্চতার অনেকটাই ওপরে। অনেকেই অত উঁচুতে হাত পান না। এবং ঝাঁকুনির সময় অনেককেই সহযাত্রীদের ধরে নিজেকে সামলাতে হয় এবং কেউ কেউ পড়েও যান।

অপূর্ব কুমার মিত্র

কলকাতা-৬৭

স্বর্ণময়ী খাল

হাওড়ার ৩৮ ও ৩৯ ওয়ার্ডে প্রবাহিত স্বর্ণময়ী খাল দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে প্রায় মজে গিয়েছে। ফলত জমে থাকা জল মশার আঁতুড়ঘরে পর্যবসিত। আশেপাশের বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, কারণ বহু দিন জমে থাকা আবর্জনার দূষণ ও জমে থাকা জলের মশা। আগে যত বার এই খালটির সংস্কারের কাজ হয়েছে, এক বার ছাড়া প্রতি বারই দায়সারা ভাবে খালের আবর্জনা দু’পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই খালটির সঙ্গে গঙ্গার যোগ আছে এবং এতে জোয়ার ভাটা খেলার কথা। কিন্তু তা আজ আর হয় না। পুরসভার বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ফলে স্থানীয় কাউন্সিলর কোনও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারছেন না। পুরসভার অধুনা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, খালটির শীঘ্রই সংস্কার নিশ্চিত করুন এবং মশার লার্ভা নাশক রাসায়নিক এলাকায় প্রয়োগ করুন।

অমিতাভ চক্রবর্তী

হাওড়া

রাস্তা বন্ধ

গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন আনন্দপুরী অঞ্চলে পয়ঃপ্রণালী ও রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখা হচ্ছে, কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই। এর ফলে বাসিন্দাদের, বিশেষত যাঁদের বাড়িতে অসুস্থ মানুষ আছেন বা যাঁদের বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান আছে, তাঁদের বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যে কর্মীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা তো দূরস্থান, উপরন্তু দুর্ব্যবহার করতেই অভ্যস্ত।

ধূর্জটি সেন

ধনিয়াপাড়া, ব্যারাকপুর

প্রশ্নপত্র

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ গত ১৮ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তি (মেমো নং ডিএস (এসিএ)/৬৮/এস ৯০) জারি করে বলেছে, এখন থেকে স্কুলগুলিকে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেকটি সামেটিভ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে স্কুলের নাম ছাপাতে হবে (‘স্কুলেই প্রশ্ন তৈরির নির্দেশ...’, ২০-৩)। পশ্চিমবঙ্গে বহু স্কুল আছে যারা নিজেরা প্রশ্নপত্র ছাপাতে পারে না আর্থিক সঙ্কটের জন্য। তারা বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি বা প্রকাশনা সংস্থার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত স্বল্প মূল্যে প্রশ্নপত্র কিনে আনে। সেই প্রশ্নের মান যে খুব খারাপ তা নয়। প্রথম সামেটিভ যে হেতু এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হয়, তাই বহু স্কুল বিভিন্ন সংস্থায় প্রশ্নপত্রের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ স্কুলগুলিকে যেমন বিপদের মুখে ঠেলে দিল, তেমনই বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাগুলিকেও আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দিল। এ প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি বলেছেন, ‘‘প্রশ্ন তৈরি করতে স্কুলগুলোর কোনও সমস্যা হবে না।’’ সমস্যা হবে না, উনি বুঝলেন কী করে? যে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, সেই সব স্কুলের কোনও সমস্যা হবে না, কিন্তু যেখানে শিক্ষার্থী কম, তাদের তো সমস্যায় পড়তেই হবে। প্রশ্নপত্র ছাপানোর টাকা আসবে কোথা থেকে? সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তো ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যায় না। ওই টাকায় স্কুলের যাবতীয় খরচ চালানোর পর এমন কিছু থাকে না, যা দিয়ে প্রশ্নপত্র ছাপানো যায়।

রতন চক্রবর্তী

উত্তর হাবরা, উত্তর ২৪ পরগনা

মৃত মাছ

লকগেটের পাইপলাইনে নিয়মিত ভাবে গঙ্গার জোয়ারের জল ঢুকলে এবং বেরোলে জলাশয়ের জল দূষিত হয় না। বটানিকালের লকগেট অকেজো হয়ে আছে দীর্ঘ দিন। আদালত লকগেট সারানোর নির্দেশ দিলেও, আজ পর্যন্ত তা মানা হয়নি। বটানিকালের জলাশয়ের জল তাই দূষিত এবং মৃত মাছেদের দেখা যায়।

বিশ্বরঞ্জন সরকার

হাওড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Government Rationing System
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE