Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: বড় মাপের মানুষ

এ বার মোবাইলে ফোন করলাম, জানতে চাইলাম, উনিই কবি নীরেন্দ্রনাথ কি না। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, বলছি।’’ সমস্যাটা বললাম, তার পর আমার মতে ওঁর কবিতাটার ব্যাখ্যা ওঁকে শোনালাম।

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share: Save:

আমি একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। দু’বছর আগের কথা। আমার মেয়ে তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। আমি সন্ধ্যায় নিয়ম করে তাকে বাংলা পড়াতে বসি। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতাটি ছিল তাদের পাঠ্য। কবিতাটির যে ব্যাখ্যা সে স্কুল থেকে শিখে এসেছিল, তা আমার মনের মতো হয়নি। ভয়ে ভয়ে তখন কবির ল্যান্ডলাইনে একটা ফোন করেই বসলাম। লাইনে গন্ডগোল, ভাল করে কারও কথা বোঝাই যাচ্ছে না। কবি বললেন, ‘‘আমার মোবাইল নম্বরটা বলছি, লিখে নিয়ে, ওটায় ফোন করুন।’’ এ বার মোবাইলে ফোন করলাম, জানতে চাইলাম, উনিই কবি নীরেন্দ্রনাথ কি না। বললেন, ‘‘হ্যাঁ, বলছি।’’ সমস্যাটা বললাম, তার পর আমার মতে ওঁর কবিতাটার ব্যাখ্যা ওঁকে শোনালাম। ধৈর্য ধরে পুরোটা শুনলেন, তার পরে বললেন, ‘‘হ্যাঁ মা, একদম ঠিক। হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক তা-ই। তোমার ব্যাখ্যাই মেয়েকে শিখিয়ো।’’ এর পর একটা বিশেষ লাইনের ব্যাখ্যা ওঁর মুখ থেকে শুনতে চাইলাম। উনি প্রাঞ্জল ভাষায় আমাকে তা বুঝিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘শুধু আমার কবিতা নয়, তোমার অন্য কবিতা বুঝতে যদি কোথাও অসুবিধে হয়, ফোন করে জেনে নিয়ো।’’ বুঝলাম, এক জন বড় কবি হতে গেলে যে বড় মাপের মানুষ হতে হয়, তার জ্বলন্ত উদাহরণ উনি।

অরুন্ধতী রায় বাগচী

ডানকুনি, হুগলি

ট্যাক্সির দাদাগিরি

মুকুন্দপুরে পর পর কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে প্রতি দিন বহু দেশি-বিদেশি রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালের কাছে তিন রাস্তার মোড়ে অনেক ট্যাক্সি লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে চলে না সরকারি কোনও বিধি-নিয়ম। চলে ট্যাক্সি ইউনিয়নের দাদাদের প্রবর্তিত স্থানীয় নিয়ম। আমার সঙ্গী এক জন বয়স্ক ব্যক্তির অপারেশন করার পর ক্যাথিটার-ব্যাগ নিয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এসে গাড়ির খোঁজ করতে, ‘দাদারা’ অযাচিত ভাবে কথা বলতে এগিয়ে এল। তারা মুকুন্দপুর হাসপাতাল থেকে গড়িয়া, প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ যেতে দাবি করে ২০০ টাকা। অথচ আসল ভাড়া ১০০ টাকারও কম। দাদারা বলে, এখানে সরকারি নিয়মে ট্যাক্সি চলে না। তাদের কথাই শেষ কথা। এর পর একটি রানিং ট্যাক্সি ধরে মৃত্যুপথযাত্রী ওই রোগীকে নিয়ে উঠলেও, কোনও মানবিকতার তোয়াক্কা না করে তাঁকে ট্যাক্সি থেকে নেমে যেতে বাধ্য করে ওই স্থানীয় ট্যাক্সি ইউনিয়নের দাদারা। ওই অবস্থাতে বাধ্য হয়ে তাঁদের ধার্য করা টাকা মেনেই রোগীকে নিয়ে আসতে হয়। নিকটবর্তী অঞ্চলের রোগীরা ছাড়াও বহু দেশি-বিদেশি রোগীও চিকিৎসা করাতে এখানে আসেন। তাঁদের বেশির ভাগই এই দাদাদের হাতের শিকার হতে হয়।

গৌতম বিশ্বাস

কলকাতা-৮৪

বাঁধানো পাড়

বেশ কিছু বছর যাবৎ লক্ষ করা যাচ্ছে, গ্রামের দিকে পুকুর পাড়, খাল বা নালার ধারগুলির মাটি ক্ষয় আটকাতে, সরকারি অর্থব্যয়ে MGNREGS প্রকল্পের মাধ্যমে, পঞ্চায়েত থেকে টালি দিয়ে বা ঝামা পাথর দিয়ে বাঁধিয়ে দেওয়া হচ্ছে পাকাপোক্ত ভাবে। এই কাজ পরিবেশের পক্ষে বিপজ্জনক। কারণ সাধারণত জল ও মাটির সংযোজক অঞ্চলে জৈববৈচিত্র অনেক বেশি হয়। যার কারণে পুকুর, খাল, নালা ও ডোবার পাড়গুলিতে নানা ধরনের অণুজীব, যেমন কেঁচো, নানা পতঙ্গ, ব্যাঙ, সাপ, নানা উইচিংড়া ও নানান প্রজাতির উদ্ভিদ, যেমন নল, গিমা শাক, শুষনি, চিকনি প্রভৃতি থাকে। পাড়গুলিকে বাঁধিয়ে দিলে, পুকুরের বাস্তুতন্ত্র-সহ পরিবেশের অনেকটা ক্ষতি, অণুজীবেরা বাসস্থানের সঙ্কটে পড়ে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাবে। জৈববৈচিত্র আইন ২০০২ মোতাবেক জৈববৈচিত্র বিষয়টি দেখবার জন্য জাতীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তর হয়ে স্থানীয় প্রশাসন পর্যন্ত জৈববৈচিত্র ব্যবস্থাপক কমিটি বিষয়টি দেখভাল করার কথা।

কার্তিক আদক

চাঁইপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

একটি স্ল্যাব

মেদিনীপুর শহরের ১৪নং ওয়ার্ডে ভোলাময়রা চকের নিকটে তিলিপাড়া রাস্তা থেকে পাটনাবাজারে সদর রাস্তায় আসার জন্য একটি গলিপথ আছে, যেটি মণ্ডল গলি নামে পরিচিত। তিলিপাড়া রাস্তা থেকে মণ্ডল গলিতে প্রবেশের মুখে একটি ১২-১৫ ইঞ্চি মতো চওড়া নালা আছে। নালার উপর কোনও স্ল্যাব না থাকার কারণে এটি ডিঙিয়ে পেরোতে হয়। অনেকে নালা ডিঙাতে পারলেও, ছোটরা এবং অসমর্থ বৃদ্ধবৃদ্ধারা পারেন না। অনেকে আবার নালার মাঝেও পা পিছলে পড়ে যান। ভোলাময়রা চকে ট্রাফিক জ্যাম থাকলে বহু পথচারী,

সাইকেল আরোহী ও বাইক আরোহীকে এই পথটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু নালায় স্ল্যাব না থাকায় তাঁরা বিফলমনোরথ হয়ে ফিরে যান। সবচেয়ে বেশি এই গলিপথটি দরকার পড়ে সকাল ১০টার সময় স্কুল ও অফিস টাইমে। একটি মাত্র ছোট স্ল্যাব বসালেও সত্বর সমাধান হয়।

শ্যামা পাল

তিলিপাড়া, মেদিনীপুর

ছিনে জোঁক

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ছিনে জোঁকের কবলে। লক্ষ লক্ষ ছিনে জোঁক তাদের ছানাপোনা নিয়ে বাড়ির উঠান, পুকুর পাড়, বাগানের খাস জমিতে সংসার পেতে বসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে চণ্ডীপুর, সুলতানপুর, পাটনা গড়গ্রাম, বাজকুল, নাজির বাজার, ঝিনুক খালি, হেঁড়িয়া, কালিনগর ইত্যাদি এলাকা জুড়ে ছিনে জোঁকের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গরু, বাছুর, ছাগল থেকে মানুষ পর্যন্ত কাউকেই তারা রেহাই দিচ্ছে না।

হিমাংশু শেখর জানা

কলকাতা-১০৯

ঘোলা জল

আমরা ১০১ নং ওয়ার্ডের কেন্দুয়া মেন রোডের বাসিন্দা। টিউবওয়েল থেকে সব সময় ঘোলা লাল জল পড়ে, তা ফটকিরি দিয়ে পান করি।

টি কে দাস

কলকাতা-৮৪

মণ্ডপের জন্য

আমরা যোধপুর পার্কের ৯৫ পল্লি ক্লাব সংলগ্ন পশ্চিম দিকের রহিম ওস্তাগর রোডের বাসিন্দা। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর তিন মাস আগে থেকে পুজো শেষ হওয়ার আরও দু’মাস পর্যন্ত রাস্তাকে এমন ভাবে বন্ধ করে পুজো মণ্ডপ বানানো এবং খোলা হয়, যাতে প্রতি বছরের প্রায় ছ’মাস অত্যাবশ্যক পরিষেবা তো দূরের কথা, প্রতি দিনের জঞ্জাল সাফাইয়ের হাতে টানা গাড়িকেও ঘুরে আসতে হয় অনেকটা।

মৃত্যুঞ্জয় পুরকাইত

কলকাতা-৪৫

পাঠাগার

মগরা সাধারণ পাঠাগার ৮০ বছরের বেশি পুরনো। এটি একটি টাউন লাইব্রেরি। নিয়ম অনুযায়ী এখানে চারটি পদ থাকার কথা— গ্রন্থাগারিক, সহ-গ্রন্থাগারিক, বুক বাইন্ডার ও দারোয়ান কাম নাইট গার্ড। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আছেন শুধু সহ-গ্রন্থাগারিক ও বুক বাইন্ডার। বর্তমানে বুক বাইন্ডার অবসর নেওয়ার ফলে পদটি শূন্য। আছেন শুধু সহ-গ্রন্থাগারিক। তিনি আবার জেলার একটি গ্রন্থাগারে লাইব্রেরিয়ান না থাকায়, সেখানে সপ্তাহে দু’দিন কাজ করেন। এখন তাই বাধ্য হয়ে আমাদের লাইব্রেরি সপ্তাহে দু’দিন বন্ধ থাকছে। এই অচলাবস্থা চলবে?

পীযূষ দত্ত

মগরা, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE