বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে মৃণাল ঘোষের যে চিঠিটি (‘তাঁর আধুনিকতা’, ২৩-৯) প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে কয়েকটি কথা।
১) রাজা রবি বর্মা (১৮৪৮-১৯০৬) তৎকালীন ইউরোপীয় নিয়োক্লাসিকাল চিত্ররীতির আদর্শ ও করণকৌশলকে অনুসরণ করে ভারতীয় বিষয় নিয়ে ছবি আঁকেন। কোনও ভাবেই তিনি আধুনিক চিত্র-আন্দোলন— যা ক্লাসিকাল ও প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পরীতির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকে, তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। আধুনিক চিত্র-আন্দোলনে পিসারো, গগ্যাঁ প্রমুখ শিল্পী ছবির পটভূমি ফর্ম ও স্পেস নিয়ে যে বিকল্প আদর্শের নির্মাণশৈলী গড়ে তোলেন, বিনোদবিহারী-রামকিঙ্কর জুটি সেই আধুনিকতার অনুসারী।
এই আধুনিক আদর্শকেও ভেঙে যখন বিমূর্ত চিত্রকল্প নিয়ে পল ক্লি, ক্যান্ডিনস্কি এক নব-আন্দোলন শুরু করেন, তার সঙ্গে রবীন্দ্রচিত্রচর্চার সময়কাল ও মানসিকতার অনেক সাযুজ্য ছিল, যদিও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কোনও বিশেষ ছকে বাঁধা যায় না। তবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই যুগসন্ধিক্ষণে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের চিত্ররীতিকে মেলাতে চেয়ে নিজস্ব ঘরানার সৃষ্টি করেন, যা মননে ছিল ঐতিহ্যবাদী এবং এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতপার্থক্য আমাদের অজানা নয়। তাই আধুনিকতার নির্দিষ্ট আদর্শ ও শিল্পরীতি বিনোদবিহারী-রামকিঙ্কর জুটি প্রথম সচেতন ভাবে অনুসরণ করেন।
২) বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ‘স্লোগান’ধর্মী, প্রচারমুখী ছবির দায়িত্ব নিতে সর্বতো ভাবে অস্বীকার করেন। যে সময়ে তিনি শান্তিনিকেতনে মুরালের কাজ করছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গে চরম বামপন্থী আন্দোলন তুঙ্গে। আমিও সে ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঁকে প্রশ্ন করি, সামাজিক দায়কে কি তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন? তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘তোমরা যে নিপীড়িত মানুষের ছবি আঁকছ, তা কি শ্রমজীবী, নিপীড়িত মানুষেরা আপন করে নিচ্ছে? আমার ছবি মুরাল দেখে কিন্তু পথচলতি, গ্রামের মানুষ, সাঁওতাল যুবকযুবতী বলে, আমাদের আঁকছিস?’’ সমাজ ও প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়াকেই উনি সামাজিক দায়বদ্ধতা মনে করতেন।
সব শেষে আবার জানাই, হিন্দি ভবনের সাধুসন্তদের ছবি নিয়ে যে কাজ তিনি করেন, সেখানে স্পেসের ব্যবহার, নির্মাণশৈলী, রঙের সংযোজন— সব কিছুতেই আধুনিক ইউরোপীয় শিল্পরীতি, বিশেষত সেজানের রীতির এক প্রচ্ছন্ন প্রভাব আছে। এ কাজ না রোমান্টিক, না পৌরাণিক ভাবালুতায় আচ্ছন্ন।
দেবাশিস ভট্টাচার্য
কলকাতা-৩৪
প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনার অন্তর্গত প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য রক্ষার একটি প্রশংসার্হ পদক্ষেপ। কিন্তু জানতে পারলাম, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বিপিএল তালিকাভুক্ত রেশন কার্ডধারীরা কেবলমাত্র আয়ুষ্মান ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন। আবার এই প্রকল্প রূপায়ণের সমস্ত দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্য সরকারের উপর। অর্থাৎ স্থানীয় প্রশাসন ঠিক করে দেবে, কারা আয়ুষ্মান ভারতে সুযোগ পাবে। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গে নেতাদের বদান্যতায়, দোতলা পাকা বাড়ির মালিকও হন বিপিএল রেশন কার্ডধারী। এক মায়ের পেটের ভাই— দুই ভাইয়ের অর্থনৈতিক অবস্থা একই রকম, অথচ এক ভাই বিপিএল কার্ডধারী, অন্য জন এপিএল কার্ডধারী। অনেক সময়, কোনও নাগরিক শুধু স্থানীয় নেতার ব্যক্তিগত অপছন্দের শিকার হওয়ায়, বিপিএল কার্ডের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, এপিএল কার্ড পেয়ে যান। তাই আয়ুষ্মান ভারতের রূপকারদের উদ্দেশে নিবেদন— এপিএল মানে সবাই বড়লোক নন। তাঁরা যেন আয়ুষ্মান ভারতে সদস্য হতে পারেন, তা বিবেচনা করুন।
অনন্ত মণ্ডল
বৃন্দাবনপুর, বাঁকুড়া
পথকুকুর
আমি কেষ্টপুর অঞ্চলের নজরুল পার্কের বাসিন্দা। আমার বসত ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে পথকুকুরের সংখ্যা বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে নিরাপদে পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সন্ধে ও একটু বেশি রাতে পথে বেরোনো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়াও পথের যত্রতত্র কুকুরের মলমূত্রে পরিবেশ ভয়াবহ রকমের দূষিত হয়ে পড়েছে। সর্বত্র কুকুরের বিষ্ঠা। সেগুলি যানবাহনের চাকায় মানুষের পায়ে পায়ে চার দিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
সুব্রত দেবরায়
কলকাতা-৫৯
আড়াই গুণ
‘নতুন ভারত বটে’ (১৭-৯) শীর্ষক সম্পাদকীয়তে অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীদের সম্পর্কে যা বলা হয়েছে, তা ঠিক। অঙ্গনওয়াড়ি ও আশা কর্মীরা কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের কর্মী এবং সপ্তম বেতন কমিশনে ন্যূনতম বেতন ১৮০০০ টাকা এবং তা দেশের সকল রাজ্যে একই রকম হওয়া উচিত। পুদুচেরিতে সর্বাধিক বেতন ১৯৮৪০ টাকা এবং তা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা দিয়েছে। দেশের অন্য রাজ্যে ওই গোত্রের কর্মীদেরও একই হারে বেতন হওয়া উচিত। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে সরকারি কর্মীদের বেতন আড়াই গুণ বাড়ানোর ব্যাপারে বলি, এর মানে কোনও কর্মীর বেতন মাসিক মোট আয় (গ্রস পে)-এর আড়াই গুণ নয়। যেমন এক কর্মীর বেতন (গ্রস পে) ৪০,০০০ থাকলে সপ্তম বেতন কমিশনে তাঁর বেতন (গ্রস পে) ১,০০,০০০ নয়। তাঁর বেতন (গ্রস পে) ৪৫০০০-এর বেশি নয়। সরকারি কর্মীদের বেতন আড়াই গুণ বাড়ার গল্পটার মাসুল গুনতে হয় বাজারে গেলেই।
তুলসী বিশ্বাস
আসানসোল
গাড়িতে লেখা
আমি এক জন অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ নাগরিক। বেশ কিছু দিন যাবৎ দেখছি রাস্তায় চলছে বিভিন্ন গাড়ি, যাতে লেখা: এক্স সার্ভিসম্যান, পুলিশ, বিএসএফ, এমএলএ, এমপি, মিউনিসিপাল চেয়ারম্যান, হেড মিস্ট্রেস ইত্যাদি। এই সব লেখা গাড়ি দেখলে আমরা কী করব? প্রণাম করব?
বিমল সেন
কলকাতা-১২৯
সরাসরি বাস
হুগলি জেলার ধনেখালি ব্লকের অধীনে দশঘড়া একটি উল্লেখযোগ্য জনপদ। সংলগ্ন ১৪-১৫টি গ্রামের মানুষদের হেঁটে বা সাইকেলে দশঘড়া আসতে হয়। সেখান থেকে বাসে বা ট্রেকারে বাদুড়ঝোলা অবস্থায় ১২-১৪ কিমি দূরের তারকেশ্বর, ধনেখালি হল্ট বা গুড়াপ স্টেশনে যেতে হয় হাওড়াগামী ট্রেন ধরে কলকাতা যাওয়ার জন্য। দশঘড়া থেকে সরাসরি কলকাতা যাওয়ার বাস থাকলে, সুবিধা হত।
স্বপন কুমার মিত্র
দিঘীড়া, হুগলি
ট্রান্সফর্মার
তেলিনীপাড়া ভদ্রেশ্বর উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে দ্বিতল শ্রেণি কক্ষের লাগোয়া মাত্র দুই মিটার ব্যবধানে সিইএসসি-র একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ট্রান্সফর্মার লাগানো আছে। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে গত ১৩-০৯-২০১৮ তারিখে বিদ্যালয় চলাকালীন বিদ্যালয় ভবনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবল থেকে রেহাই পেয়েছে এবং ছাত্রছাত্রীরাও আতঙ্কে পঠনপাঠন ঠিক মতন করতে পারছে না। ট্রান্সফর্মারটি নিরাপদ কোনও জায়গায় স্থানান্তরিত করার জন্য সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে
আবেদন জানাচ্ছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy