যেন কোনও প্রাচীন নগরীর ময়দান! আরিজোনায়। ছবি-লেখক।
আমরা এই মহামারীর খারাপ দিকগুলোই শুধু দেখছি, কিন্তু এর কিছু ভালো দিকও আছে যদি গ্লাস অর্ধেক-ভর্তি এই ভাবনাটা মাথায় রাখি। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা অনেক কম, মানে দুর্ঘটনাও কম হচ্ছে। বাতাসে দূষণ কমেছে, মানে যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাঁদের সাময়িক হলেও একটু রেহাই। সবাই মোটামুটি প্রাণের দায়ে স্বাস্থ্য সচেতন, নিয়মিত শারীরিক কিছু চর্চা করছেন, জীবাণু থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যে যা করা দরকার তা করার চেষ্টা করছেন।
দূরত্ব বজায় রাখার তাগিদে সেটা এখন একটু কমেছে। নিয়ম মানার ব্যাপারটা অনেকের হয়তো ভাল লাগে না, কিন্তু না মানলে সমূহ বিপদ ডেকে আনার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
গুটিকতক লোক দেখা যায় দুরত্ব বজায় রেখে খুব সন্দিহান হয়ে চলাফেরা করছেন। তাই অনেকেই পার্কে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।
সব মিলিয়ে, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, এই অদৃশ্য ভাইরাসের গতিবিধি বোঝার আগে নিজের সাবধানতা, চার পাশের মানুষদের সাবধানতা খুব জরুরি। খালি ভাবুন এর আগে ঘটা সব মহামারীর কথা।
আমরা যারা গুটিবসন্ত (স্মল পক্স) দেখেছি সাতের দশকে, একশো বছর আগে স্প্যানিস ফ্লু-এর পরিসংখ্যান দেখি, এর মধ্যে সার্স, মার্স আরও কত ঝড় মানুষের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে, আজকের শঙ্কার কথা ভাবলে এই টুকু বোঝা যায় যে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যেতে হবে। শরীর-মন দুটোই কী ভাবে সুস্থ রাখা যায়, তার জন্যে বিকল্প ব্যবস্থা আমাদেরকেই নিতে হবে। সরকার কী করল বা না করল, সেই আলোচনা, তর্কবিতর্ক করে ফলাফল কিছু পাওয়া যায় কি না খুব সন্দেহ। আর ওই যে ঈশ্বর বা ঈশ্বরতুল্য কারও উপর ভরসা, নিজের মনের শক্তি, সব কিছু যদি একটা ভারসাম্যে থাকে, বাকিটা তো আপনার-আমার কারও হাতে নেই।
আসুন, আমরা নিয়ম মেনে দুরত্ব বজায় রেখে সকলের জন্যে প্রার্থনা করি, যাতে এই সঙ্কট কিছু দিনের মধ্যেই দূর হয়ে যায়। ‘উই শ্যাল ওভারকাম’!
কোহিনূর কর, অ্যারিজোনা, আমেরিকা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)