বর্ষাকাল মানেই সর্পদংশনের ঘটনা বাড়বে। পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে প্রতি বছর সাপের কামড়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটি লক্ষাধিক। আসলে এ দেশে এখনও বহু মানুষ সর্পদংশনের পর ডাক্তারদের তুলনায় ওঝা, গুণিনের উপর বেশি ভরসা রাখেন। ফলে রোগীর গুরুত্বপূর্ণ প্রথম কয়েক ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় নষ্ট হয়ে যায়। সমীক্ষা অনুযায়ী সাপে কাটা রোগীদের মধ্যে মাত্র ২২% সরকারি হাসপাতালে আসেন। এর প্রধান কারণ সচেতনতার অভাব। বিভিন্ন বিজ্ঞান সংগঠন এবং যুক্তিবাদী সমিতির একটা লাগাতার সচেতনতার প্রচার আছে। সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে AVS মজুত রাখা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ কুসংস্কারের দাগ লেগে রয়েছে গ্রামেগঞ্জে। অনেকে ঝাড়ফুঁকে সময় নষ্ট করে তার পর রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে, সেখানে মৃত্যু হলে বলছেন, সাপেকাটা রোগী বাঁচানোর ক্ষমতা বা ব্যবস্থা হাসপাতালের নেই। মনে রাখতে হবে, চমকপ্রদ ফল পাওয়া গিয়েছে মাদক (পোস্ত) চাষের ক্ষেত্রে, সরকারের নির্দেশে যে, গ্রামের কোথাও অবৈধ পোস্ত চাষ হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকেই ধরা হবে, যদি না তিনি আগে থেকে খবর দেন। একই ভাবে, সাপে-কাটা রোগীকে প্রথমেই হাসপাতালে না নিয়ে এসে, ওঝা বা গুণিনের কাছে নিয়ে গেলে, রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
অনাবিল সেনগুপ্ত, ছোটনীলপুর, বর্ধমান-৩
বাম্প
জাতীয় হাইওয়ে ছাড়া অন্য রাস্তা নির্মাণের সময় স্থানীয় অধিবাসীদের অনুরোধ অথবা নির্দেশ মেনে বাম্প তৈরি করা হচ্ছে। বাম্পের উচ্চতা, বিস্তৃতি এক এক জায়গায় এক এক রকম। দু’টির মধ্যে দূরত্বেরও কোনও ঠিকঠিকানা নেই। কংক্রিটের রাস্তায় বাম্প অপেক্ষাকৃত বেশি বিপজ্জনক। কয়েক হাত অন্তর খাড়া এই বাধা ধীর গতিতে পেরোতে গেলেও অনেক সময় যানের ক্ষতি হচ্ছে। রাতে সব গলিঘুঁজিতে উজ্জ্বল আলো থাকে না। নিকট দূরত্ব থেকেও হদিস করা যায় না বাম্পের অবস্থান। সে জন্য ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। একটু বে-খেয়াল হলেই কোমরে চোট অনিবার্য। অথচ মূলত যে বেপরোয়া বাইক-আরোহীদের গতিতে রাশ টানতে এই নিরোধক, তারা এ সবের বিশেষ তোয়াক্কা করে না। বাম্প নির্মাণে ন্যূনতম পারস্পরিক দূরত্ব, উচ্চতা ইত্যাদি বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট বিধি আছে কি? কম আলোতেও চোখে পড়ে, বাম্পগুলিতে এমন রং করা যায় না?
বিশ্বনাথ পাকড়াশি, শ্রীরামপুর-৩, হুগলি
জানলা ঢাকা
ডব্লিউবিটিসি-র ভলভো বাসে বারাসাত-দুর্গাপুর যাতায়াত করতে হয়। বাইরের কাচের উপর বিশ্ববাংলা-বিজ়নেস সামিটের পুরনো লম্বা ফ্লেক্স আঁটা থাকায়, যাত্রীরা বাইরের দৃশ্য কিচ্ছু দেখতে পান না। ড্রাইভার, কনডাক্টরদের বলে লাভ হয়নি। সঙ্গে জোরে ভিডিয়ো চলায়, ক্লান্তি আরও বেড়ে যায়।
বিপ্লব চন্দ বর্মন, কলকাতা-১২৪
ফুটপাতবাসী
কলকাতা শহরের ফুটপাতে আমরা যারা নিয়মিত চলাফেরা করি, খুব সহজেই টের পাই ফুটপাতবাসীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো কলকাতা পুরসভাও এই সংখ্যা গুনতে গিয়ে বুঝতে পেরেছে, ফুটপাতবাসীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এবং অনুপ্রেরণায় রাজ্য জুড়ে ‘উন্নয়ন যজ্ঞ’-এর যে ছবি তুলে ধরা হচ্ছে, এই এক খণ্ড ছবি কি তাকে বিদ্রুপ করছে না? এঁদের নিয়ে কি কিছু ভাবছেন রাজ্যের ‘উন্নয়নের প্রধান কান্ডারি’? নিশ্চয়ই ভাবছেন। গত সাত দশক ধরে এঁদের নিয়ে যে ভাবনা চলে এসেছে, তার হয়তো নতুন কোনও সংস্করণ রূপায়িত হবে। ভোটের আগে এঁদের কিছু পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। কিছু দান-খয়রাতি করে তার মস্ত প্রচার হবে। ‘ফুটপাতশ্রী’ বলে নতুন কিছু প্রকল্পও হয়তো ঘোষিত হয়ে যাবে। কিন্তু কেন হাজার হাজার মানুষের এই দুর্দশা, তার মূল কারণ অনুসন্ধান এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করার কাজটা অত্যন্ত সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া হবে।
গৌরীশঙ্কর দাস, সাঁজোয়াল, খড়্গপুর
পার্শ্বশিক্ষক
চার মাসের তফাতে একই ভাতা দুই বার বৃদ্ধি ঘোষণা করে বর্তমান সরকার কী বার্তা দিল সেটা পার্শ্বশিক্ষকগণ খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন। ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হল যখন ৫% ইনক্রিমেন্টটাও বন্ধ করে দেওয়া হল। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্প শুরু করেছে। তার অধীনস্থ পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন যথাক্রমে ৩৩০০০/২৫০০০ অাপার প্রাইমারি ও প্রাইমারির। কেন্দ্র-রাজ্য ৬০:৪০ অনুপাতে। অন্য রাজ্যগুলি এই প্রস্তাব মেনে নিলেও পশ্চিমবঙ্গ তা মানল না। এই অর্থনৈতিক ও মানসিক শোষণ পার্শ্বশিক্ষকদের ক্রমশ মৃত্যুর পথে ঠেলে দিচ্ছে।
আশিস চক্রবর্তী, ই-মেল মারফত
পোস্ট অফিস
পোস্ট অফিসে খাম পোস্টকার্ড স্ট্যাম্প এখনও পাওয়া যায় এবং যে হেতু ডাকব্যবস্থা এখনও রয়ে গিয়েছে, মাঝেমধ্যে শখ করেই এক-আধ জনকে চিঠি লিখে পোস্ট করি। কিন্তু অধিকাংশ সময়ই চিঠিগুলি পৌঁছয় না। পরীক্ষামূলক ভাবে ওই একই ঠিকানায় প্রাইভেট কুরিয়ার মারফত পাঠিয়ে দেখেছি, চিঠি যথাসময়েই পৌঁছেছে।
শতদল দেব, কলকাতা-১১২
চৌরাস্তা
বেহালা চৌরাস্তা বিগত ৩-৪ বছর মেট্রো রেলের কব্জায়। আড়াই কিমি দূরে শকুন্তলা পার্ক যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগছে। বৃষ্টির জলে গোটা রাস্তার অবস্থাও শোচনীয়। অথচ রাস্তার দু’পাশে একের পর এক নতুন আবাসন প্রকল্প শুরু হচ্ছে বা শেষ হয়েছে। প্রশাসন তো বটেই, আবাসন প্রকল্প তৈরির কোম্পানি কর্তৃপক্ষরাও একটু নজর দিন, না হলে আপনাদের ফ্ল্যাটগুলি বিক্রি হবে না। সরশুনা কলেজ, গ্রিনফিল্ড সিটি এই রাস্তায়। সব মানুষ দিনের অনেকটা সময় রাস্তায় ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে।
দেবাশিস রায়, শকুন্তলা পার্ক
ভাত-রুটি
কলকাতার বুকে বেশ কিছু কলেজের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে কেবল মাত্র ফাস্টফুড-এর দোকান ছাড়া, ভাত রুটি পাওয়া যায় এ রকম খাবারের দোকানের বড়ই অভাব। প্রতি বছরই বাইরে থেকে বহু ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় আসেন। তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে খাবারের সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়ায়। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্বল্পব্যয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়।
দেবশ্রী দেবশর্মা, শ্যামনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
গ্রন্থাগার
হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় সরকার অনুমোদিত ন’টি গ্রামীণ গ্রন্থাগার আছে। তার মধ্যে পাঁচটি দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্ধ। সেগুলিতে অসংখ্য বই, পত্রপত্রিকা, স্থানীয় দুষ্প্রাপ্য নথিপত্র ও কম্পিউটার-সহ দামি আসবাবপত্র নষ্ট হতে চলেছে। বাকি চারটি গ্রন্থাগারে এক জন করে কর্মী অাছেন। সেই কর্মী ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিলেও গ্রন্থাগার বন্ধ থাকে।
নিমাই আদক, সোনাতলা, হাওড়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ই-মেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ই-মেলে পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy