Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: আমাদের মেরি কম

পরিচয় হয়েছিল তাঁর অসাধারণ মনের সঙ্গে, কী অমায়িক! কত কথা হয়েছিল আমাদের, তাঁর মুখে ছিল সারা ক্ষণ এক মিষ্টি হাসি। ছবি তুলতে চাই বলতেই এক কথায় রাজি। অটোগ্রাফও দিলেন। প্রথমেই আঁকলেন বক্সিং গ্লাভস, তার পর সই।

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০

এই নিয়ে ছ’বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আমাদের সোনার মেয়ে মেরি কম! গর্বিত আমরা, আনন্দিত আমরা। এই বিশ্ববিখ্যাত নন্দিনীকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার, যাচ্ছিলাম তাঁরই রাজ্য মণিপুরে। আকাশপথে দেখা আমার সঙ্গে মেরি কমের।

পরিচয় হয়েছিল তাঁর অসাধারণ মনের সঙ্গে, কী অমায়িক! কত কথা হয়েছিল আমাদের, তাঁর মুখে ছিল সারা ক্ষণ এক মিষ্টি হাসি। ছবি তুলতে চাই বলতেই এক কথায় রাজি। অটোগ্রাফও দিলেন। প্রথমেই আঁকলেন বক্সিং গ্লাভস, তার পর সই। এয়ারপোর্টে নামার আগে হাত নেড়েছিলেন, দৃপ্ত পায়ে যখন নেমে যাচ্ছেন, তখন ভাবলাম কতটা অধ্যবসায়, ইচ্ছে, পরিশ্রম তৈরি করেছে অমন সোনার নন্দিনীকে!

সুপর্ণা ঘোষ

কলকাতা-৩২

নীতির প্রশ্ন

‘পুজোয় মদ বিক্রিতে সর্বকালীন রেকর্ড’ (৭-১১) শীর্ষক প্রতিবেদনটির মধ্য দিয়ে বর্তমান নীতিনির্ধারকদের দেউলিয়া মনোভাবের ছবিটি ফুটে উঠেছে। যে কোনও উন্নয়নের কাজে অর্থের নিশ্চয়ই প্রয়োজন আছে। আর এই অর্থ আসে বিভিন্ন রাজস্ব খাতে আয় থেকে। আপাতদৃষ্টিতে দিশি মদ, বিলিতি মদ, বিয়ার বিক্রি বাবদ রাজস্ব আয় রেকর্ড পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিশ্চয়ই আত্মপ্রসাদের কারণ আছে। কিন্তু নীতির প্রশ্ন হল, এই মদটা বিক্রি করা হচ্ছে কাদের জন্য?

নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষ কিনছেন এবং খাচ্ছেন। পরিমিত মদ খাওয়াটা হয়তো চিকিৎসাশাস্ত্রের মতে খারাপ কিছু নয়, তবে যত্রতত্র লিকার শপ-এর মাধ্যমে ঢালাও মদ খাওয়ার উৎসাহ যে যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে চারিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা কি খুব ভাল ব্যাপার? এখন প্যান্ডেলে, রকে, ক্লাবের আড্ডায় যে ভাবে যুবসমাজের বেশির ভাগ অংশই কোনও একটা উৎসব উপলক্ষে আকণ্ঠ মদ্যপান করে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে, সে ছবিটা কি স্পষ্ট নয় আবগারি দফতর বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে?

শুধু তা-ই নয়, যে ঢালাও মদ খাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে গ্রাম ও শহরের বহু গরিব মহিলা তাঁদের বীরপুরুষ স্বামীদের কিংবা সন্তানদের বিরুদ্ধে অহরহ প্রতিবাদের বাতাবরণ গড়ে তুলছেন এবং নেশাগ্রস্ত স্বামীদেবতা ও সন্তানদের সংসারের সুস্থ স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন— এই প্রবল মদ বিক্রির ঢালাও অনুমতি কি তাঁদের সেই আন্দোলনের পথে অন্তরায় হবে না?

প্রদীপ কুমার দাস

শ্রীরামপুর, হুগলি

আর সমাজটা...

মদ বিক্রির রেভিনিউ আদায়ে সরকার খুশি থাকলেও, আশঙ্কা বেড়েছে এ রাজ্যের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির। দেশি মদের নেশায় পরিবারের কর্তা মাতাল হলে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি যে ভাবে ধ্বংসের পথে যায়, তার নিদর্শন আমাদের দেশে অপ্রতুল নয়। এর সঙ্গেই লেগে থাকে পারিবারিক অশান্তি, মারামারি, এমনকী খুনোখুনি পর্যন্ত। আবার সংগ্রামপুরে বিষমদ-কাণ্ডের স্মৃতিও আমরা ভুলে যাইনি। তা হলে সমাজটাকে আমরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছি?

কেন রাজ্য সরকার রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে তরুণ যুবক-যুবতীদের হাতে নেশার দ্রব্য তুলে দেবে? অথচ আমাদের পড়শি রাজ্য বিহারে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আমরা কেন মদ-খৈনি-গুটখা সবই খোলা বাজারে সাজিয়ে মানুষকে নেশায় প্ররোচিত করব?

ছন্দা দাস সরকার

কলকাতা-১০৩

উন্নয়ন মানে

৩ নভেম্বর শিয়ালদহ-ডায়মন্ড হারবার রেলশাখার মধ্যবর্তী ধামুয়া স্টেশনে নেমে আমড়াতলা গিয়েছিলাম। যেতে যেতে দেখলাম রাস্তার ধারে দু’টি বিদেশি মদের অন-শপ দোকান হয়েছে, যার কাছাকাছি স্কুলও আছে। উন্নয়ন মানে রাস্তাঘাট, আলো, পরিস্রুত পানীয় জল ও সাধারণ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি মানুষের কাছে সুলভে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু গ্রামের এই উন্নয়নের সঙ্গে মদের দোকানের কোনও সম্পর্ক আছে কি? শহরের আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে চাওয়ার এই প্রবণতা, গ্রামকে গ্রামকেন্দ্রিক আধুনিকতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে না কি?

হয়তো সরকারি নিয়ম মেনেই এই দোকানগুলো অনুমতি পেয়েছে। কথায় কথায় গাড়ির কয়েক জন সহযাত্রীর থেকে জানা গেল, ওই রাস্তার ধারে আলিদা নামে একটি জায়গায় আরও একটি মদের দোকান হতে চলেছে, যার ৩০ মিটারের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ বিদ্যালয় আছে। এটাও কি সরকারি নিয়মে হতে চলেছে? সেই নিয়মে তার পারিপার্শ্বিক কুফলের কথা হয়তো লেখা নেই। তাই আইনে বাধা থাকে না। সাধারণ মানুষের বাধা তখন কোনও বাধা হয় না।

আবগারি থেকে রেকর্ড মাত্রায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে সরকার আরও কয়েক হাজার মদের দোকানের ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। স্থানীয় শাসকপোষিত মানুষজন বাধা দেওয়ার সাহস পায় না, বা অন্য কোনও হিসেবের অঙ্কে সেই সাহসের কথা ভুলে থাকে। কারণ রাজস্বের আদায়েই রাস্তাঘাট, আলো-সহ নানা বাহ্যিক উন্নয়ন হয়েছে ও হচ্ছে।

এমন অবস্থা চলতে থাকলে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী ও রূপশ্রী প্রকল্পে আসা মানুষগুলো এই সমাজে সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন নিয়ে বাঁচতে পারবে তো?

নরেন্দ্রনাথ কুলে

কলকাতা-৩৪

গ্যাসের দাম

২০১৭ সালের অগস্ট মাসের রান্নার গ্যাসের একটা পুরনো রসিদ হঠাৎই হাতে এল। দেখি, ভর্তুকিহীন গ্যাসের দাম লেখা আছে ৫৫২ টাকা ৫০ পয়সা। আর এখন, ২০১৮ সালের নভেম্বরে গ্যাসের দাম লাগছে ৯৮০ টাকারও বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাঁরা গ্যাসে ভর্তুকি ছেড়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেই আছেন, তাঁদের এখন আঙুল কামড়ানোর অবস্থা। তা ছাড়াও নিম্নবিত্ত পরিবারের যাঁদের উজ্জ্বলা যোজনায় বিনামূল্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের অবস্থাও সসেমিরা। তাঁদের পক্ষে এককালীন এতগুলো টাকা জোগাড় করা সত্যিই কষ্টসাধ্য। ভর্তুকি তো পরে পাওয়া যাবে ব্যঙ্কের মাধ্যমে। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকে কাঠকয়লার যুগে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। দূষণমুক্ত স্বচ্ছ ভারতের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। চতুর্দিকে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে এটাও একটা অচ্ছে দিনের নমুনা।

দেবীদাস অধিকারী

চান্দা, পশ্চিম বর্ধমান

জনজাতি

এই কাগজে প্রকাশিত খবরগুলিতে ‘জনজাতি’ বলতে নিশ্চয়ই primitive tribe বোঝানো হয়েছে। মানুষের মধ্যে মঙ্গোলয়েড, অস্ট্রিক, নর্ডিক, নেগ্রিটো ইত্যাদি ভাগগুলো জানতাম। তার আবার প্রজাতি? গণ=Homo প্রজাতি=sapiens, পৃথিবীর সকল মানুষ এই প্রজাতির অন্তর্গত। কোনও মানবগোষ্ঠীকে আলাদা প্রজাতি বলে উল্লেখ করা অসম্মানের নিদর্শন।

বাসুদেব হালদার

শরৎপল্লি, রানাঘাট

প্রতিবেদকের উত্তর: প্রজাতি বলতে আমরা ফাইলাম, সাব-ফাইলাম ইত্যাদি বোঝাতে চাইনি। আন্দামান-নিকোবরে কত ধরনের জনজাতি রয়েছে, তা বোঝাতে চেয়েছি। যেমন মূলত দু’ধরনের জনজাতি। নেগ্রিটো ও মঙ্গোলয়েড। দুই ধরনের জনজাতির মধ্যেও আবার নানা গোষ্ঠী রয়েছে। তা বোঝানোর জন্য প্রজাতি লেখা হয়েছে। কাউকে অসম্মান করার উদ্দেশ্য ছিল না।

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Boxer Mary Kom
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy