এখন বিয়ের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আমি উলুবেড়িয়া মহকুমার অন্তর্গত বাউড়িয়া/পাঁচলা এলাকায় বাস করি। বিবাহ রেজিস্ট্রেশনের জন্য নোটিস দেওয়ার সময় ১০০ টাকা, পরে রেজিস্ট্রারের অফিসটাইমে রেজিস্ট্রারের অফিসে এসে রেজিস্ট্রি করাতে ৪০০ টাকা লাগে। আবার অফিসটাইমের আগে বা পরে রেজিস্ট্রেশন করালে ২০০ টাকা দিতে হয়। রেজিস্ট্রারের অফিসের বাইরে কোথাও রেজিস্ট্রি করালে আরও ৪০০ টাকা লাগে। অর্থাৎ মোট ১০০+৪০০+৪০০=৯০০ টাকা। আর অফিসটাইমের বাইরে রেজিস্ট্রি হলে আরও ২০০ টাকা অর্থাৎ ১১০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বর্তমান রেজিস্ট্রারদের কথায়, দুটো মালার দাম তো ৫০০ টাকা, আমরা বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রি করালে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লাগবে। এবং সেই ভাবেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাই আমার অনুরোধ, পুরসভা বা পঞ্চায়েতে যেমন এখন বার্থ/ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, ঠিক সেই ভাবে পঞ্চায়েতে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা যদি হয়, তবে সাধারণ কন্যাদায়গ্রস্ত পিতামাতাদের অহেতুক টাকা দিতে হয় না।
সুপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
রঘুদেবপুর, হাওড়া
প্লাস্টিক পুড়ছে
আমি দমদম-ডানকুনি ট্রেনের নিত্যযাত্রী। বিগত কয়েক মাস লক্ষ করছি যে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে যে চারটি পুরসভার (দমদম, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর ও কামারহাটি) ধাপা রয়েছে, তাতে আগুন লাগানো হয়। এর ফলে পলিপ্যাক ও অন্যান্য প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ার ফলে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ও চোখ নাক জ্বালা, ধোঁয়া সহ্য করতে হচ্ছে।
বাপী ঘোষ
কলকাতা-৮০
অনলাইন কেন
2 কেন্দ্রীয় সরকারি বিভিন্ন পদের জন্য কম্বাইন্ড হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল (সিএইচএসএল)-২০১৮ পরীক্ষা বিজ্ঞাপিত হবে আগামী ০৫-০৩-১৯ এবং পরীক্ষা আগামী জুন মাসে। এই পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত মান ১২ ক্লাস পাশ রাখা হয়েছে। তিনটি স্তরে এই পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে দু’টি স্তর অনলাইন, অর্থাৎ কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের ১২ ক্লাস পাশ সব ছেলেমেয়ে কম্পিউটার জানে না। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা হয় না, সব ছেলেমেয়ে কম্পিউটার শেখার সুযোগ পায় না। ঠিক এই কারণেই ভারতের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী এই চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। এই অনলাইন পরীক্ষার সিদ্ধান্তটি বৈষম্যমূলক। আগের মতোই লিখিত পরীক্ষা হোক।
আশিস কুমার বিশ্বাস
কলকাতা-৯০
টাকা তুলতে
2 ‘ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন’-এর মাধ্যমে বিদেশের টাকা তোলার জন্যে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আমি যাদবপুর পোস্ট অফিসে যাই। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী মাথা নিচু করে কী একটা কাজ করতে করতে বলে দিলেন হবে না, সফটওয়্যার ঠিক নেই। কবে নাগাদ ঠিক হবে জিগ্যেস করতে বলে দিলেন, বলতে পারব না। বেরিয়ে আসার মুখে এক যুবক কর্মীকে জিগ্যেস করে জানতে পারলাম, টালিগঞ্জ হেড পোস্ট অফিসে টাকা তোলা যাবে। টালিগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিলা জিগ্যেস করলেন, কে টাকা পাঠিয়েছে? আমি বললাম বন্ধু, ইউরোপের। শোনামাত্র বলে দিলেন আমাদের সফটওয়্যার কাজ করছে না। আমাকে তড়িঘড়ি বিদায় করার জন্যে বলে দিলেন, লর্ডস-এর মোড়ে টমাস কুক-চলে যান, পেয়ে যাবেন। টমাস কুকের অফিসে গিয়েই আমার প্রাপ্য টাকা পেলাম। ওঁরা বললেন, যখন দরকার চলে আসবেন, কোনও অসুবিধে হবে না। আমি আশি ছুঁই ছুঁই অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী, এখনও বামপন্থী আন্দোলনে বিশ্বাসী, ‘প্রাইভেটাইজ়েশন’-এর বিরুদ্ধে গলা ফাটাই। হা হতোস্মি!
তরুণকুমার ঘটক
কলকাতা-৭৫
ক্রেতাসুরক্ষা
আনন্দবাজার পত্রিকায় ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের বিষয়ে বেরোনো একটি খবর আমার খারিজ হয়ে যাওয়া একটা মামলাকে জীবন্ত করতে সাহায্য করেছে। আমি ২০১৫-র ২৮ ডিসেম্বর আসানসোলের একটি অভিজাত দোকান থেকে একটি তিন পাল্লার আলমারি কিনে প্রতারিত হয়ে ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে যাই। আইন আদালত সম্বন্ধে ন্যূনতম জ্ঞান না থাকার জন্য আমি বর্ধমান জেলার (বর্ধমান তখনও ভাগ হয়নি) ক্রেতাসুরক্ষা মুক্ত মঞ্চের কর্ম নির্বাহক সম্পাদকের ঠিক করে দেওয়া আইনজীবীর সাহায্য নিই, আগাম পারিশ্রমিক দিয়ে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ আমাদের উপস্থিতিতে আমার আইনজীবীর এক জন সহকারীর মাধ্যমে কেসটি ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে ওঠে এবং বিচার্য হিসেবে গৃহীত হয়। মাননীয় বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আমরা আমাদের আইনজীবীকে জিজ্ঞাসা করি, এর পর আমাদের কী করণীয়। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের এখন আর আসতে হবে না। আমরা দরকার মতো জানাব।’’ দ্বিতীয় বার শুনানির পর থেকে আমাদের আইনজীবীর ব্যবহার আস্তে আস্তে সন্দেহজনক হয়ে পড়ে। ফোন করলে ফোন ধরতেন না, কখনও কখনও ফোন ধরলেও দায়সারা উত্তর দিয়ে এড়িয়ে যেতেন। গত জুন মাসে ফোন করে বিষয়টি সম্বন্ধে জানার জন্য চাপ দিই। তখন আমাদের বলা হয়, আইনের ব্যাপার তাড়াহুড়ো করে হয় না, ধৈর্য ধরতে হয়। আমরা বিশ্বাস করেই বসেছিলাম, কিন্তু টনক নড়ল আপনাদের প্রকাশিত সংবাদে।
এর পরে আমরা কয়েক বারের চেষ্টায় আইনজীবীকে ধরি কিন্তু নির্দ্বিধায় তিনি জানান আমাদের কেস ডিসমিস হয়ে গিয়েছে, কোনও উদ্ভট কারণে। আমরা এই ঘটনা ক্রেতাসুরক্ষা মুক্ত মঞ্চের সম্পাদককে জানালে, তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং আমি দ্বিতীয় বার প্রতারিত হই। এর পর আমি নিজে অনেক চেষ্টা করে উচ্চ আদালতে মামলাটি ফের শুরু করি। এবং ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার নিষ্পত্তি হয়।
আমার এই যাত্রাপথে আমি এইটুকু অনুধাবন করতে পেরেছি যে, ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে গিয়ে বিচার পাওয়া সাধারণ নাগরিকদের পক্ষে খুব সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। সব থেকে অসুবিধা উপযুক্ত আইনজীবী জোগাড় করা (আমাকে প্রতারিত করা আইনজীবী বর্ধমান ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে বর্তমানে নিয়মিত মামলা পরিচালনা করছেন)। তবে আমি কৃতজ্ঞ মহামান্য আদালতের কাছে, কারণ এখানে আমি কোনও অসহযোগিতা পাইনি এবং ন্যায্য বিচার পেয়েছি।
তাপসী নিয়োগী
আসানসোল
কত বার হবে
জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এক বার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। উদ্বোধন করে গিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরও এক বার ওই সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হবে। উদ্বোধন করবেন কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। এ রকম দু’বার উদ্বোধন আমরা এর আগেও দেখেছি। কংসাবতী নদীর উপর তৈরি হওয়া দ্বিতীয় ব্রিজটি প্রথমে উদ্বোধন করেছিলেন রেল বিভাগের মন্ত্রী। দ্বিতীয় বার সেই একই ব্রিজের উদ্বোধন করেন মাননীয় এম পি শিশির অধিকারী।
সঞ্জয় চৌধুরী
খড়্গপুর
রেশনে পেয়ে
গ্রামাঞ্চলে কিছু পরিবার রেশন কার্ডে অত্যন্ত কম দামে চাল, আটা বা গম, কেরোসিন প্রভৃতি পেয়ে থাকে। বেশ কিছু ব্যক্তি ও পরিবার এই কম দামে পাওয়া জিনিস বেশি দামে ফড়েদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতি দিন বেশ কিছু ফড়ে সাইকেলে করে গ্রামে টহল দেয় ও খোঁজ নেয়, এগুলি বিক্রি আছে কি না।
নিমাই চাঁদ দত্ত
অকালপৌষ, পূর্ব বর্ধমান
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy