Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
SSC Exam

সম্পাদক সমীপেষু: নিয়মিত পরীক্ষা চাই

স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা কেবল একটি পরীক্ষা নয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২১ ০৪:১৮
Share: Save:

স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা কেবল একটি পরীক্ষা নয়, হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত হন। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত আছে এক বৃহৎ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। প্রতি বছর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হলে বিএড কলেজগুলি প্রাণ ফিরে পাবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যে বিএড কলেজগুলি আছে, সেগুলি আজ মৃতপ্রায়। এই কলেজগুলিতে স্থায়ী এবং অস্থায়ী ভাবে বহু শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের অনেকেরই কাজ চলে গিয়েছে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য বহু কোচিং সেন্টার সক্রিয় থাকে এবং সেখানেও স্থায়ী ও অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী নিযুক্ত হন। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য একাধিক বই নির্মাণ করেন। পুস্তক বিক্রেতা এবং প্রকাশক এই পরীক্ষার মাধ্যমে রোজগার করে থাকেন। আজ কলেজ স্ট্রিটের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা ধুঁকছে এবং ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছে। তারাও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ফিরে পাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা নিয়মিত হলে।

সর্বোপরি, পরীক্ষার্থী যুবক-যুবতীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ফিরে আসবে এবং সমাজে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলও ফিরবে। উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

সুমাল্য দাস

কালনা, পূর্ব বর্ধমান

দামের ঝাঁঝ

লকডাউনের সময় থেকেই ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগে সর্ষের তেল ব্যতীত অন্য ভোজ্যতেল, যেমন— রাইসব্র্যান অয়েল, সয়াবিন বা পাম অয়েলের দাম কম ছিল। বর্তমানে পাম অয়েল তো পাওয়াই যায় না, অন্য সস্তা ভোজ্যতেলের দামও সর্ষের তেলের দামের প্রায় সমান, এবং সব ২০০ টাকা কেজি দরের দিকে ছুটছে। অন্যান্য বাজার দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার যেমন উদাসীন ছিল, এই ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। সংবাদমাধ্যমও এ ব্যাপারে সে রকম আলোকপাত করছে না। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের মতো ছাপোষা জনগণের। ৯০০ টাকার গ্যাস কিনে তাতে দু’শো টাকা কেজির তেল ঢেলে রান্না করা সত্যিই দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি পেঁয়াজ খান না। এ বার ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে হয়তো বলবেন তিনি শুধুই সেদ্ধ খাবার খান, তেল ব্যবহার করেন না।

অরূপ মুখোপাধ্যায়

শ্রীরামপুর, হুগলি

ফোনের টাকা

আমার মা কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলের ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বিএসএনএল-এর উপভোক্তা। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিল পেমেন্ট করা হয়। বর্তমানে অসুস্থতার কারণে উনি বেশির ভাগ সময় মুম্বইতে আমার বোনের কাছে থাকেন। এমতাবস্থায় ফোনের ব্যবহার প্রায়শই বন্ধ থাকে। এই কারণে গত নভেম্বর মাসে আমি ফোনের লাইন কেটে দেওয়ার জন্য নিকটবর্তী কালীঘাট এক্সচেঞ্জে যাই, এবং প্রয়োজনীয় যাবতীয় কাগজপত্র জমা করি। ওঁদের কাছে উইথড্রয়াল ফর্ম না থাকায় সেটিও বাইরে থেকে প্রিন্ট করে আনতে হয়। অতঃপর তাঁরা বলেন, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই বাড়িতে চেক চলে যাবে। ফোনের কানেকশনও কেটে দেওয়া হয়। চার মাস কেটে গেলেও কানেকশন নেওয়ার সময়কার জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যায়নি। কালীঘাট এক্সচেঞ্জ থেকে বলা হয়, ওই সব ডকুমেন্ট বালিগঞ্জের টেলিফোন অফিসে জমা দিতে হবে। আগেই এ কথা আমাদের কেন জানানো হয়নি, এ কথা জানতে চাওয়ায় পদস্থ ব্যক্তি বলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয়নি। এই কথার অর্থ আমার অজানা। প্রায় তেইশ বছর ধরে নিয়মিত বিল পেমেন্ট করার পর এক জন সিনিয়র সিটিজ়েনের এই ব্যবহার পাওয়া কি কাম্য?

শিল্পী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা-২০

মাছির আক্রমণ

বর্তমানে পরিবেশ দূষণের কারণে নারকেল গাছ-সহ বিভিন্ন গাছ চরম অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নারকেল গাছের উপরের পাতায় কালো কার্বনের আস্তরণ ও নীচের পাতায় সাদা মাছির সংক্রমণ। এই রোগটি কৃষি দফতর থেকে সাদা মাছির আক্রমণ বলে নামকরণ করা হয়েছে। কৃষি দফতর থেকে কৃষকবন্ধু ও নাগরিকদের বলা হচ্ছে নিম জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করতে। কিন্তু নারকেল গাছ এতটাই উঁচু যে, সেখানে সহজে ওষুধ প্রয়োগ করা যায় না। নারকেল গাছে ওষুধ স্প্রে করতে হলে উন্নত মানের উচ্চ শক্তিসম্পন্ন স্প্রে মেশিন প্রয়োজন। কৃষি দফতর থেকে এই মেশিন আমদানি করে কাজে লাগাতে পারলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। এই বিষয়ে কৃষি দফতরের দৃষ্টি আর্কষণ করতে চাই।

বিধান মণ্ডল

তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর

যেন দুর্গ

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন ছাত্র হিসেবে আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস বন্ধ। প্রথম কয়েক মাস সব কিছু বন্ধ থাকায় আমাদের পুরোটাই মেনে নিতে হয়েছিল, কিন্তু এখন যখন মিটিং, মিছিল, ব্রিগেড, সিনেমা হল, পার্লার, হোটেল, এমনকি স্কুল পর্যন্ত খোলা, আর আমাদের পাশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো এবং সেই উপলক্ষে চটুল নৃত্য পর্যন্ত হচ্ছে, তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটা দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত হয়েছে। ছাত্রদের ন্যূনতম প্রবেশাধিকারও নেই। অথচ, অন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র (যেমন, যাদবপুর) একেবারে ভিন্ন।

রাজর্ষি ধাড়া

সাঁতরাগাছি, হাওড়া

কোভিড স্পেশাল

আজকাল রেলের সব গাড়িই স্পেশাল। সে কোভিড স্পেশালই হোক, বা উৎসব স্পেশাল। এই স্পেশাল ট্রেনগুলিতে কোভিড সুরক্ষার নামে ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের ছাড় তো তুলে দেওয়া হয়েছেই। ভাড়া বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছিল, গাড়িগুলো নাকি সুরক্ষাবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে। এই সুরক্ষার নামে বেডিং ইত্যাদির খরচও বাঁচাচ্ছে রেল।

কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে? সাম্প্রতিক কালে এক রেল ভ্রমণের ক্ষেত্রে দেখলাম, নিশ্চিত টিকিট থাকা সত্ত্বেও রেলের দেওয়া আরএসি টিকিটের যাত্রীদের সঙ্গে দু’জনের সিটে তিন জনের বসার ব্যবস্থা। কোথায় করোনা দূরত্ববিধি? আর কোথায় যাত্রিসুরক্ষা? রেল তো এই ভাবে যাত্রীদের ঠকাচ্ছে। কাগজে, কলমে, বিজ্ঞাপনের প্রচুর ঢক্কানিনাদ থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে কি না, দেখার দায়িত্ব কার? রেলের কি অধিকার আছে বেশি টাকা নেওয়া সত্ত্বেও যাত্রীদের ন্যূনতম সুরক্ষার সঙ্গে এ ভাবে আপস করার?

দিলীপকুমার ভট্টাচার্য

কলকাতা-৫৭

এক্সপ্রেস চাই

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে বকখালি অন্যতম। বকখালিতে পর্যটকদের যাতায়াত প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বকখালি যাওয়ার জন্য শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নামখানা পর্যন্ত লাইনে যাত্রিসংখ্যাও ক্রমবর্ধমান। ফলে বকখালি যাওয়ার জন্য পর্যটকদের নামখানা লোকালে প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত করতে হয়। এমতাবস্থায় পর্যটকদের সুষ্ঠু ভাবে যাতায়াত করার জন্য এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো খুবই জরুরি। মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, অবিলম্বে বকখালি যাওয়ার জন্য এবং যাত্রিস্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির জন্য শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নামখানা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হোক।

শুভশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

বহড়ু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Letters to the editor SSC Exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE