E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: মেলায় সমস্যা

মেলায় কিছু কিছু সামগ্রীর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। এ ক্ষেত্রে সরকারি তরফে দাম নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন ছিল। খাবার দোকান অনেক থাকলেও কিছু দোকানে খাবারের গুণগত মান বেশ খারাপ ছিল।

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ০৪:৩১

—ফাইল চিত্র।

গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কলকাতায় নিউ টাউন ইকো পার্কে আয়োজিত হয় হস্তশিল্প মেলা। জেলার অনেক দূর-দূরান্ত থেকে অনেক ছোট ব্যবসায়ী এখানে আসেন প্রতি বছর। এ বছর মেলায় ঘুরে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হল। যেমন, মেলায় মোবাইল ফোন কোনও কাজ করেনি মোবাইল জ্যামারের কারণে। এর ফলে কেউ হারিয়ে গেলে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে শিশুরা কোনও ভাবে হারিয়ে গেলে বিরাট সমস্যা হচ্ছিল।

এ দিকে জ্যামারের কারণে দোকানদারদের পক্ষে অনলাইন বেচাকেনা করা সম্ভব হচ্ছিল না। নগদ টাকার সমস্যায় অনেক দোকানে ব্যবসা করা যাচ্ছিল না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, একটি দোকানে প্রায় দু’হাজার টাকার জিনিস কিনতে না পেরে এক ক্রেতাকে চলে যেতে হয়। উনি অনলাইনের মাধ্যমে টাকা দিতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি।

মেলায় কিছু কিছু সামগ্রীর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। এ ক্ষেত্রে সরকারি তরফে দাম নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন ছিল। খাবার দোকান অনেক থাকলেও কিছু দোকানে খাবারের গুণগত মান বেশ খারাপ ছিল। এবং দামও ছিল অত্যধিক বেশি। মেলার বাইরেও চোখে পড়েছিল অনেক ছোট দোকানদার, যাঁরা মেলায় জায়গা না পেয়ে বাইরে বসে পড়েন। এঁদের কারণে মাঝেমাঝেই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। পুলিশ এসে সেগুলি তুলে দিলেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছিল।

এক জন ব্যবসায়ী জানালেন, রোজই প্রায় নেতা-নেত্রীদের আনাগোনা লেগেই ছিল। এতে সাধারণ লোকজনের অসুবিধা তো হচ্ছিলই, দোকানের কেনাবেচাও কমে যাচ্ছিল ওই সময়ে। ছোট শহরের মেলাগুলোতেও আজকাল পুলিশ ড্রোনের সাহায্যে নজরদারি করে থাকে। এখানে তেমন কিছুই চোখে পড়েনি। সাধারণ নাগরিক হিসাবে অনুরোধ, পরের বছরের মেলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলির উপরে নজর দেবেন।

ভাস্কর চৌধুরী, কলকাতা-৮১

টাকা পেতে দেরি

কেন্দ্রীয় সরকারের ডাক বিভাগ কর্তৃক গৃহীত জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্প ম্যাচিয়োরিটির পর টাকা তুলতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে বহু গ্রাহককে। এই প্রকল্পে এককালীন ১০ হাজার টাকা জমা রাখলে ১০ বছর পর ২৩,৬৬০ টাকা তোলা যায়। প্রসঙ্গত, বহু মানুষই একাধিক অর্থ লগ্নি সংস্থায়, যেগুলি চিটফান্ড বলে পরিচিত, বেশি অর্থ পাওয়ার আশায় টাকা রেখে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। সেই জন্যই এখন অনেকে নিরাপত্তার কারণে ডাকঘরে তাঁদের টাকা জমা করছেন। কিন্তু সেখানেও তাঁরা তাঁদের দরকারের সময় গচ্ছিত জমানো অর্থ তুলতে পারছেন না। হাওড়া জেলার আমতা, গাজিপুর, পাঁচারুল, মুন্সিরহাট প্রভৃতি সাব পোস্ট অফিসে এ রকম ঘটনার সাক্ষী আমানতকারীরা অভিযোগ করছেন যে টাকা তুলতে চার, পাঁচ, এমনকি ছ’মাস সময় লেগে যাচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই পোস্ট অফিসে গিয়ে শুনতে হচ্ছে আজ লিঙ্ক নেই কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি, কিছুটা সময় লাগবে। অবিলম্বে বিষয়টি সমাধানের জন্য ডাক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মুস্তাক আলি মণ্ডল, আমতা, হাওড়া

বাঁশে হয়রানি

কিছু দিন আগে পর্যন্ত আলিপুরের গোপালনগর মোড়ের ফুটপাত জুড়ে ব্যানার লাগানোর ফলে সাধারণ মানুষকে, যাঁরা প্রতি দিন গোপালনগর মোড় থেকে হেঁটে ট্রেজ়ারি বিল্ডিং, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং, জেলা শাসকের অফিস বা ফৌজদারি আদালতে আসেন, হয়রান হতে হচ্ছিল। পথচারীদের চলাচলের পথে তা বাধা সৃষ্টি করছিল। বর্তমানে ব্যানারগুলি খুলে নেওয়া হলেও অধিকাংশ জায়গায় বাঁশের কাঠামোগুলি থেকে গিয়েছে। রাস্তাটি এমনিতেই অপরিসর। ফলে বাঁশের কারণেও পথচারীদের কম অসুবিধা হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, যথাসম্ভব শীঘ্র ফুটপাতের বাঁশগুলি খুলে নিলে পথচলতি মানুষের চলাচলে সুবিধা হয়।

মানবকুমার সরকার, কলকাতা-২৭

আলাদা বই

আমরা যখন ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজ়িট কিংবা রেকারিং ডিপোজ়িট খুলি, তখন তার জন্য আলাদা বই বা সার্টিফিকেট থাকে। রেকারিং-এর জন্য প্রতি মাসে মাসে আপডেট করা হয়। কিন্তু সুরক্ষা বিমা যোজনা, জীবন-জ্যোতি বিমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনার জন্য কোনও রকম বই প্রদান করা হয় না। ফলে নির্দিষ্ট করে আপডেট করার সুযোগ থাকে না। সেভিংস বইয়ের মধ্যেই বাৎসরিক জমারাশি নথিভুক্ত থাকে। প্রতিনিয়ত লেনদেনের সঙ্গে সঙ্গে বইয়ের ছাপা বাড়তে থাকে। এক সময় সেই বই বদল হয়। এর ফলে তিনটি যোজনার হিসাব আলাদা ভাবে রাখার কোনও উপায় থাকছে না। বই বদলের সঙ্গে এই হিসাব হারিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, সুরক্ষা বিমা যোজনা, জীবন-জ্যোতি বিমা যোজনা ও অটল পেনশন যোজনার জন্য পৃথক বই প্রদান করা হোক, যাতে বাৎসরিক জমারাশি নির্দিষ্ট ভাবে নথিভুক্ত থাকতে পারে। এবং কোনও আকস্মিক প্রয়োজন হলে যেন একাধিক বই হাতড়াতে না হয়।

মঞ্জুশ্রী মণ্ডল, রামনগর, হুগলি

বৈষম্য কেন

সরকারি কর্মীরা ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম’-এর সুযোগসুবিধা বহু আগে থেকে পেয়ে থাকেন। সম্প্রতি, পঞ্চায়েতের সব স্তরের কর্মী সরকারি ঘোষণায় এর আওতাভুক্ত হলেন। কিন্তু বাদ থেকে গেলেন স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী-বৃন্দ। তাঁদের জন্য ‘স্বাস্থ্য সাথী’ বরাদ্দ। ‘স্বাস্থ্য সাথী’ নিয়ে অভিযোগ কম নয়। তা ছাড়া, সর্বসাধারণ যেখানে বিনামূল্যে ‘স্বাস্থ্য সাথী’-র সুবিধা পান, সেখানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ৫০০ টাকার ‘মেডিক্যাল অ্যালাওয়েন্স’ ছাড়তে হয়। অথচ, ওই একই টাকা ছেড়ে দিয়ে ‘হেলথ স্কিম’-এর সার্বিক সুবিধা পান সরকারি কর্মীরা। হেলথ স্কিম ও স্বাস্থ্য সাথী-র মধ্যে বিস্তর তফাত আছে। সুতরাং, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এই বঞ্চনার নিরসন চাই। তাঁদেরও ‘হেলথ স্কিম’-এর অন্তর্ভুক্ত করা হোক।

প্রণব মাটিয়া, পাথর প্রতিমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

ট্র্যাফিক সিগন্যাল

যাদবপুর থানা থেকে আনোয়ার শাহ কানেক্টরের দিকে জীবনানন্দ সেতুর পূর্ব দিকের মুখে কোনও ট্র্যাফিক সিগন্যাল নেই। অথচ এই স্থানটি বাস এবং অটো রুটের স্বীকৃত স্টপ, সেলিমপুর। বহু মানুষ এই পথে যাতায়াত করেন এবং এই স্টপে ওঠানামা করে থাকেন। বাইপাস কানেক্টরের এই অতি ব্যস্ত স্টপের দুই পাশের পাড়াগুলি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে কালেভদ্রে, পুজো-পার্বণের সময় এক জন ট্র্যাফিক পুলিশের দেখা মেলে, যিনি পথচারীদের রাস্তা পারাপারে সাহায্য করেন। বাকি সময়ে তাঁদের প্রাণ হাতে করে রাস্তা পার হতে হয়। অবিলম্বে এখানে একটি ট্র্যাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হোক।

নন্দিনী সেনগুপ্ত, কলকাতা-৩১

খবর পাইনি

গত বছর জুলাইয়ের শেষে আমার ল্যান্ডলাইন ফোনটি বারাসত টেলিফোন এক্সচেঞ্জে সমস্ত কার্যপ্রণালী সম্পন্ন করে জমা করি এবং সিকিয়োরিটির টাকা ফেরতের জন্য আবেদন করি। কিন্তু এখনও কোনও খবর পাইনি। টেলিফোন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অমিতাভ দাশ, কলকাতা-১২৬

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kolkata

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy