Advertisement
১১ মে ২০২৪

সম্পাদক সমীপেষু: তে হি নো দিবসাঃ

পরিবারের অনুমতি নিতে হত না। আজ বড্ড অভাব সেই পাড়ার খবর পকেটে-রাখা পাড়ার মাথাদের।

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

চার দফা লকডাউনের পর দু’দফা আনলক হল, আজও লোকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার বিষয়ে উদাসীন। চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘মাস্ক তো পরেই আছি’ অজুহাত শোনা যায়। রেশনে, মুদির দোকানে, বাজারে, গায়ে গা লাগিয়ে কেনাকাটা চলছে। এ সব দৃশ্য মনে করিয়ে দেয়, প্রত্যেক পাড়ার সেই রাশভারী কাকু, জ্যাঠা, দাদাদের, যাঁরা রাস্তায় এতটুকু বেচাল দেখলেই ধমক দিতেন। পরিবারের অনুমতি নিতে হত না। আজ বড্ড অভাব সেই পাড়ার খবর পকেটে-রাখা পাড়ার মাথাদের। উঠতি রাজনৈতিক নেতাদের দাপট বাড়ার সঙ্গে ধীরে ধীরে ম্লান হয়েছে তাঁদের মাহাত্ম্য। খবরে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে, পাড়ায় কোনও পরিবারে করোনা দেখা দিলে সবাই মিলে তাঁদের একঘরে করে দেওয়া হচ্ছে। দৈনন্দিন চাহিদাটুকু পূরণ করতেও তাঁদের বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। হয়তো সেই কাকুর দল থাকলে ওই সব পরিবারের দৈনন্দিন দুধ-সবজির ভারটা নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিতেন। পাড়ার মোড়ে, চায়ের দোকানে আড্ডা দেওয়ার সাহস হত না ছোকরা দলের। হয়তো ফি-মাসে চাঁদা তুলে পাড়ার অসচ্ছল মানুষগুলোর খাওয়ার ব্যবস্থাও করতেন। সংবাদমাধ্যম, সরকার প্রতিনিয়ত বলেও যে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে, তাঁরা সেটা অনায়াসে করতে পারতেন। আজও চায়ের দোকানে ভিড় দেখি। শুধু সেই গম্ভীর আওয়াজগুলো শুনি না।

শ্রয়ণ ভট্টাচার্য

রহড়া, খড়দহ

বাড়ছে বর্জ্য

‘স্বাস্থ্য ও বর্জ্য’ (সম্পাদকীয়, ১৪-৭) প্রসঙ্গে জানাই, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে কোভিড-বর্জ্যের পরিমাণ। কেরলের ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, পালাক্কড় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানাতে ১৯ মার্চ পর্যন্ত রোজ ৬৯৮ কিলো বর্জ্য জমা পড়ত। ৩১ মে সেখানে ৪৭১৫ কিলো বর্জ্য জমা পড়েছে। উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এপ্রিলের চেয়ে জুন মাসে গাজিয়াবাদে উৎপন্ন বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বেড়েছে প্রায় ৩৯০ শতাংশ। পুণে শহরে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য মার্চ মাসে দিনে ২৫০ কিলো থেকে বেড়ে চলতি মাসে দাঁড়িয়েছে ৩০০০ কিলো। এই চিত্র প্রতিটি রাজ্যে প্রায় এক।

বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ১০ জুন কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকা অনুসরণ করে আমাদের রাজ্য ‘কোভিড ১৯ বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ট্র্যাকিং অ্যাপ’-এর সাহায্য নিচ্ছে। বারকোড-যুক্ত বিভিন্ন রঙের ব্যাগে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে জিপিএস-লাগানো বর্জ্য বহনকারী গাড়ি। উদ্দেশ্য একটাই, কোভিড-বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিরোধ। আক্ষেপ, ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতির ১৬৫ দিনের পরও বেশির ভাগ মানুষের এই বিষয়ে সচেতনতাই গড়ে ওঠেনি। আর সচেতনতা না থাকার জন্য কোভিড-বর্জ্য রাস্তায় অন্য চিকিৎসাজাত বর্জ্যের সঙ্গে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি নিয়ে প্রচারে যত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কোভিড বর্জ্য বিষয়ে তার সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

নন্দগোপাল পাত্র

সটিলাপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

দূষণযান

সাধারণ নাগরিককে কোভিড-বর্জ্য সম্পর্কে নিশ্চয়ই সচেতন করতে হবে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কতটা সচেতন? পুরসভার আবর্জনা বইবার গাড়িগুলো দেখলেই বোঝা যায়, কী ভাবে এই গাড়িগুলো দূষণ ছড়াচ্ছে। অধিকাংশ গাড়ি পুরনো, কালো ধোঁয়া ছেড়ে বায়ুদূষণ করে। আবর্জনা কোনও আবরণ ছাড়াই নিয়ে যাওয়া হয়, কখনও বা ওপরে নাম-কা-ওয়াস্তে একটা প্লাস্টিকের চাদর বাঁধা থাকে। গাড়ি থেকে আবর্জনা উড়ে এসে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে, সর্বত্র সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় তৈরি হয়। আবর্জনা থেকে নির্গত কালো, দুর্গন্ধযুক্ত তরল সারা রাস্তায় ছড়ায়।

এ কথা মানতেই হবে যে, এ রাজ্যে, তথা এ দেশে কোভিড-বর্জ্যকে সাধারণ আবর্জনার থেকে একেবারে পৃথক করা যাচ্ছে না। সম্ভবত অদূর ভবিষ্যতেও যাবে না। সাধারণ আবর্জনার সঙ্গে মিশে থাকা কোভিড-বর্জ্য থেকে বেশ কিছু ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা-ও জানা গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ বর্জ্যের পরিবহণে সতর্ক থাকা কি উচিত নয়? কেবল কোভিড নয়, আবর্জনা থেকে ছড়ানো বহু রোগ প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

বিমলেন্দু ভট্টাচার্য

কলকাতা-৯৯

ঘণ্টাই ভাল

সাফাইকর্মীরা প্রতি দিন সকালে বাঁশি বাজিয়ে ডাক দেন, যাতে গৃহস্থ ঘরের আবর্জনা তাঁদের গাড়িতে দিয়ে আসেন। ঝড়-জল, মহামারি, কোনও কিছুই এই কর্মীদের কর্তব্য থেকে সরাতে পারে না। কিন্তু সরকার বা পুরসভা সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে কতটা সচেতন? নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার জন্য বার বার তাঁদের হুইসলটি মুখে দিতে হয়, যাতে তাঁদের হাতের ছোঁয়াও থাকে। সংক্রমণের আবহে এই কাজ একেবারেই অনুচিত। অনেকেই রাস্তায় আবর্জনা-ভরা প্যাকেট ফেলেন। ফলে কর্মীদের বার বার আবর্জনা তোলা চলতেই থাকে। পাশাপাশি বাঁশিও বাজাতেই হয়। বাঁশির পরিবর্তে যদি তাঁদের হাতে একটা ঘণ্টা দেওয়া যায়, সেটা কিছুটা নিরাপদ। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে অনুরোধ জানাই।

সুমিতা ঘোষ

কলকাতা-৮৪

জিএসটি কেন

করোনা পরিস্থিতিতে মোদী সরকার দেশের ৮০ কোটি মানুষকে রেশনে বিনা পয়সায় চাল, গম, দিয়ে বাহবা কুড়োচ্ছে। অন্য দিকে, করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর উচ্চহারে জিএসটি বসাচ্ছে। যেমন, স্যানিটাইজ়ারে ১৮%, পিপিই কিটে ৫%-১২%, জীবনদায়ী ভেন্টিলেটরে ১২%, এবং মাস্ক-এর ওপর ৫% জিএসটি। ওষুধও ছাড় পায়নি।

এটা খুবই অমানবিক কাজ। এই সবের ওপর জিএসটির হার শূন্য বা খুবই কম হওয়া উচিত। বিনামূল্যে রেশনে চাল, গম, দিয়ে যে ভর্তুকি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেটা কি সে সুদে-আসলে তুলে নিচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় সুরক্ষা পণ্যের ওপর চড়া হারে জিএসটি বসিয়ে?

অতীশচন্দ্র ভাওয়াল

কোন্নগর, হুগলি

শব্দছক

আমি অনেক বছর ধরে রোজ নিয়ম করে শব্দছক সমাধান করি, ও পর দিন উত্তরগুলো মিলিয়ে দেখি। কিছু দিন ধরে লক্ষ করছি, শব্দছকে প্রায় রোজই কিছু না কিছু ভুল থাকছে। ছাপার ভুল, ব্যাকরণগত ভুল, এমনকি তথ্যগত ভুলও চোখে পড়ছে। যেমন, দেবরাজ ইন্দ্রের নাম কখনওই ‘কৌশিক’ হতে পারে না। আমি পৌরাণিক অভিধানে বা সমার্থক শব্দকোষে পাইনি। অথচ ইন্দ্রপুত্র জয়ন্তকে ‘কৌশিকাত্মজ’ (২৬-৬) বলা হল।

দ্বিতীয় ভুল, ‘রায়তা’ (৯-৭)। এই মুখরোচক খাদ্যের সঙ্গে সবাই পরিচিত। দেখলাম, প্রজাকে ‘রায়তা’ বলা হয়েছে। অভিধানে প্রজাকে রায়ত অথবা রাইয়ত বলা হয়েছে, রায়তা কখনওই নয়। ১৩ জুলাই সূত্র ছিল, ‘পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অপর নাম।’ উত্তর হবে সহ্যাদ্রি, কিন্তু পর দিন উত্তর দেওয়া হয়েছে ‘মলয়,’ যা পূর্বঘাট পর্বতমালাকে বলা হয়।

১৬ জুলাই আবার দুটো ভুল বেরিয়েছে। সীতাকে লেখা হয়েছে ‘ভূমিসূত’ অর্থাৎ পুংলিঙ্গ। আর তাঁবুকে লেখা হয়েছে ‘পটবাস।’ ‘বাস’ কথাটির মানে বসন বা গন্ধ, তাই মানেটাই পাল্টে যাচ্ছে। ওটা হবে ‘পটাবাস’ (পট+আবাস)।

মানসী বন্দ্যোপাধ্যায়

উত্তরপাড়া, হুগলি

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE