প্রচলিত ভাড়ার চেয়ে কম ভাড়া দিয়ে চাল, মুড়ির বস্তা, ছানার বালতি, ছাগল, শাকসব্জির ডালা নিয়ে মানুষ বাসের ছাদের উপরে উঠে যাওয়া-আসা করছেন, এটা এই রাজ্যের বহু জায়গাতেই পরিচিত চিত্র। বাস খুবই জোরে চলে, দুর্ঘটনা যখন-তখন ঘটতে পারে। বাসের ভিতরের অবস্থাও বলার মতো নয়। বসার জায়গা ছেঁড়া ও ফাটা। বয়স্ক বা প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্ধারিত সিট নেই। অনেক বাসেই ফার্স্ট এড বক্স থাকে না। অনিয়মগুলোকে আমরা নিয়ম বলে মেনে নিই, সেটাই বিপদ!
বীরেন সরকার
অরবিন্দনগর, বাঁকুড়া
বয়স্কদের কথা
আমি টালা পোস্ট অফিসের উল্টো দিকের পাড়ার বাসিন্দা। আমার পরিবারের সকলে বয়স্ক। অথচ এখানে বয়স্কদের উপযুক্ত কোনও যানবাহন নেই। আমরা কোনও অটো, টোটো, রিকশা বা ট্যাক্সির সুবিধা পাই না। প্রয়োজনে শ্যামবাজার যেতে হলে বাস ছাড়া কোনও যানবাহন নেই। ৭০, ৮০, ৯০-এর উপর যাঁদের বয়স তাঁদের অসুস্থতার কারণে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে বা ডাক্তার দেখাতে হলে, ওষুধের জন্য বা দৈনন্দিন প্রয়োজনে, আমাদের মতো সাধারণ বরিষ্ঠ নাগরিকদের ব্যস্ত রাস্তা পার হয়ে ভিড়বাসে উঠে যেতে হয়।
ললিতা সাহা
কলকাতা-২
চলমান সিঁড়ি
হাওড়া ও খড়্গপুর স্টেশনে চলমান সিঁড়ি বা এসকালেটরগুলি দীর্ঘ কাল ধরে অচল। আন্তর্জাতিক মানের রেলওয়ে স্টেশনের গালগপ্পে, একটি সাধারণ পরিষেবার অনুপস্থিতি মানা যায় না।
শংকর মহাপাত্র
হুমগড়, পশ্চিম মেদিনীপুর
পরীক্ষাকেন্দ্র
সল্টলেকের ‘টিসিএস গীতবিতান’ বর্তমানে একটি পরিচিত পরীক্ষাকেন্দ্র। পরীক্ষা চলাকালীন অগণিত অভিভাবক দীর্ঘ ক্ষণ অপেক্ষা করেন এবং আশেপাশে শৌচালয় না থাকায় কিছু পুরুষ অভিভাবক অদূরে রাস্তার পাশে ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করতে বাধ্য হন। মহিলা অভিভাবকদের অবস্থা সঙ্গিন। একটি স্থায়ী শৌচালয় অথবা স্থানান্তরযোগ্য বায়োটয়লেট ও মোবাইল টয়লেটের মতো রেডিমেড শৌচালয়ের ব্যবস্থা হলে অসংখ্য অভিভাবক উপকৃত হন এবং পরিবেশও বাঁচে।
শান্তনু গুহ
কলকাতা-১১৫
মেরামত হলেও
হাওড়া জেলার দক্ষিণে বিস্তীর্ণ শহর এবং শহরতলি থেকে কলকাতায় সড়ক যোগাযোগের মূল রাস্তা দু’টি, আন্দুল রোড এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। আবার আন্দুল রোড এবং কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মাঝের সংযোগকারী একটি রাস্তার নাম মহিয়াড়ি রোড। আন্দুল রোড এবং মহিয়াড়ি রোড— দু’টি রাস্তার দীর্ঘ অংশ গত বর্ষার সময় থেকেই ভাঙাচোরা, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। মেরামত হয়নি তা নয়, তবে তা নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল। গুরুত্বপূর্ণ পিচের রাস্তা যে ইট দিয়ে ত্যাড়াবাঁকা মেরামত করে জনগণের ঝুঁকি এমন বাড়িয়ে তোলা যায়, তা ভাবা যায় না।
শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়
আন্দুল, হাওড়া
আপস বদলি
মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সাগরের স্কুলে শিক্ষিকা নিয়োগের বিষয় বলতে গিয়ে বলেছেন ‘‘জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ বিষয়টি জানার পরেই আমি শিক্ষিকা নিয়োগের বিষয়ে যা যা করার করে দিয়েছি। তার পরে এত দিন কেটে গেলেও নিয়োগ কেন হয়নি, সে ব্যাপারে খোঁজ নেব।’’ এই বিষয়ে তাঁকে অবগত করতে চাই, দফতরের কাজ এই ভাবেই গড়িমসি করে চলছে, দীর্ঘ দিন ধরে। অনেক আশা জাগিয়ে নতুন সরকার চালু করেছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি। দাড়িভিট কাণ্ডের পর সমস্ত বদলি ১০-১০-২০১৮ তারিখ নোটিস করে বন্ধ করে দেওয়া হয়!
সাধারণ বদলি বন্ধ করার যদিও কোনও কারণ থাকতে পারে, কিন্তু আপস বদলিতে দুই শিক্ষক বা শিক্ষিকা একই পদে শুধু স্কুল পাল্টাপাল্টি করেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধু মধ্যস্থতা করে। কোথাও কোনও সমস্যা হয় না। হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বাড়ির কাছে আসতে পারছিলেন দুই বিদ্যালয়েরই সম্মতি নিয়ে। সেটাও জোর করে শিক্ষা দফতর বন্ধ রেখেছে অকারণে। এই সামান্য কাজটাও স্কুল সার্ভিস কমিশন করার দ্রুততা দেখাচ্ছে না।
তুলসী গোস্বামী
বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির, বাঁকুড়া
তারিখ বদল
অনেক বছরেই দশম বা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় তারিখ পরিবর্তন হয়। সৌজন্যে গণতান্ত্রিক অধিকার ‘ভোটপ্রদান’। আমি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হিসেবে বলছি, আমাদের (বা দশম শ্রেণির ছাত্রদের) কাছে বোর্ডের পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীদেরই ভোটদানের বয়স হয়নি। গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হয়েছিল ২৭ মার্চ, এ বছর তা এগিয়ে হল ২৬ ফেব্রুয়ারি। ব্যবধান প্রায় এক মাস। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষাবর্ষটি ছোট হয়ে গেল। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে সিলেবাস শেষ হবে না, অনেকে হয়তো আরও ভাল ভাবে তৈরি হতে পারবে না, যার প্রভাব তার ভবিষ্যৎ জীবনেও পড়তে পারে। তাই জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্ন করতে ইচ্ছা করে, ভোটের জন্য পরীক্ষায় সময়সূচি পরিবর্তিত হলেও, পরীক্ষার জন্য ভোটের সময়সূচির পরিবর্তন হয় না কেন?
রৌণক দেবনাথ
গয়েশপুর, নদিয়া
ট্রাম বন্ধ
দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব হিসেবে কলকাতার বুকে ট্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। অথচ বেলগাছিয়া ডিপো-সহ বহু রুটে ট্রাম চলাচল বন্ধ।
জীবনকৃষ্ণ মিত্র
কলকাতা-৩৭
পুকুর অপরিচ্ছন্ন
টালিগঞ্জের বৈশাখী পল্লি আর শান্তি পল্লির মাঝে একটা বিরাট পুকুর। কিন্তু কেউ পরিষ্কার করে না। এ থেকে রোগ ছড়াতে পারে।
অজিত চক্রবর্তী
কলকাতা-৩৩
আকাশছোঁয়া ফি
একটি বেসরকারি বিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে গেলে, তাদের ৯০ হাজার টাকা জমা দিতে হবে, ৭০ হাজার টাকা ডেভেলপমেন্ট ফি এবং ২০ হাজার টাকা অ্যাডমিশন ফি। এ বোধ হয় বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শিক্ষামন্ত্রী এক বার বলেছিলেন, বেসরকারি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছামতো আকাশছোঁয়া টাকা চাইতে পারবে না।
সতীশ চন্দ্র মণ্ডল
কলকাতা-৪৮
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy