Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: উদয়ের পথে

১৯৪৪ সালে, জ্যোতির্ময় রায় লিখিত কাহিনি নিয়ে এই ছবি বিমল রায়ের পরিচালনায় মুক্তি পায়। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অবিভক্ত বঙ্গের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সাম্যবাদের বক্তব্যবাহী এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল, যা নজিরবিহীন।

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০০:০১

‘উদ্যোগপতি থেকে সিনেমার নতুন যৌবনের দূত’ (পত্রিকা, ২-২) শীর্ষক প্রতিবেদনে নিউ থিয়েটার্স-এর হাতিমার্কা ব্যানারে তৈরি বহু বিখ্যাত ছবির মধ্যে একটি অতি বিখ্যাত রেকর্ড সৃষ্টিকারী ছবির নাম থাকলে ভাল লাগত। ছবিটির নাম ‘উদয়ের পথে’।

১৯৪৪ সালে, জ্যোতির্ময় রায় লিখিত কাহিনি নিয়ে এই ছবি বিমল রায়ের পরিচালনায় মুক্তি পায়। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে অবিভক্ত বঙ্গের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে সাম্যবাদের বক্তব্যবাহী এই সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছিল, যা নজিরবিহীন। কলকাতার চিত্রা (বর্তমানে মিত্রা) সিনেমা হলে এটি এক বছরের বেশি চলেছিল।

ছবির চোখা চোখা সংলাপগুলি তখনকার দিনের মানুষের মুখে মুখে ফিরত। সেগুলি মুখস্থ করার জন্য অনেকে কুড়ি-পঁচিশ বার সিনেমাটি দেখেছেন। দরিদ্র কিন্তু শিক্ষিত ও অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন অনুপ (রাধামোহন ভট্টাচার্য) যখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার-কে ‘নিয়োগপত্র’ বলেন, তখন ধনী ব্যবসায়ী-পুত্র সৌরীন্দ্রনাথ (দেবী মুখোপাধ্যায়) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনি কি ইংরেজি ব্যবহার করেন না?’’ তার উত্তরে অনুপ বলেন, ‘‘হ্যাঁ করি, যখন ইংরেজি বলি। দুটো ভাষাই জানি কিনা।’’ এ রকম অসংখ্য সংলাপ দর্শকের চেতনাসমৃদ্ধ করেছে।

কোটিপতি ব্যবসায়ী মিস্টার বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বিশ্বনাথ ভাদুড়ি) কন্যা গোপা (বিনতা দাস, পরে বিনতা রায়) আদর্শবাদী দরিদ্র লেখক অনুপকে ভালবেসে যখন একবস্ত্রে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে, দাদা সৌরীন্দ্রনাথ তাকে একতলার দরজার কাছে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময় তিন তলা থেকে মিস্টার বন্দ্যোপাধ্যায় যে বজ্রগর্ভ কণ্ঠস্বরে আদেশ করেন, ‘‘ওকে যেতে দাও সৌরীন’’, তা অননুকরণীয়, অতুলনীয়। এই সংলাপও মুখে মুখে ফিরেছে।

সুমিতা ভাদুড়ি

কলকাতা-৯৭

ভিভিপ্যাট, কিন্তু

এ বার লোকসভা ভোটে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটিং মেশিনের সঙ্গে থাকছে ভিভিপ্যাট (ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেল)। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিটি ভোটারের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোটদানের স্বাধীনতা যেমন জরুরি, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে তাঁর স্বীয় ভোটটি যাচাই করার অধিকার।

আমাদের দেশে ইভিএমে ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই, এর মাধ্যমে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন অনেকেই। সে দিক থেকে ভিভিপ্যাটে ভোটার নিজের চোখে পরখ করে নেবেন তাঁর মতদানের যথাযথ অবস্থান। এতে সাধারণ ভোটারের মর্যাদা কিঞ্চিৎ বাড়ল, সন্দেহ নেই।

কিন্তু তার পরও থেকে যাচ্ছে এক বড় প্রশ্নচিহ্ন, যার কাছে সাধারণ ভোটারের মর্যাদা, নির্বাচনী আয়োজকদের সাফল্য— সবই এক বৃহৎ শূন্য। তা হল, নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর প্রার্থীর দলবদল। তখন এই ভিভিপ্যাট এক ব্যয়বহুল প্রহসন ছাড়া আর কিস্যু নয়।

যে পোড়া দেশে ভোটপ্রার্থীর অধিকাংশই অর্থ প্রতিপত্তি ক্ষমতার লোভে ভোটে দাঁড়ান, নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য প্রভাবশালী দলে ভিড়ে যান, শেষবেলা পর্যন্ত নিজের দলে টিকিট না পেলে ও-বেলায় অন্য দলে চলে যান, যেখানে এক দলের হয়ে সমর্থন পেয়ে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দলবদলের হিড়িক পড়ে, যেখানে ৯-কার সদৃশ ডিগবাজিপ্রবণ নেতা-নেত্রীর ছড়াছড়ি, সেখানে ভিভিপ্যাটে ভোট যাচাই করে কি লাভ? সাধারণ ভোটার তো আর সাত সেকেন্ডের নিশ্চিন্তিতে ভোট দেন না, তাঁর ভোটদানে জড়ানো থাকে ন্যূনতম পাঁচ বছরের আস্থা।

গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা বরং অন্য ভাবে ভাবুন, গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কী চাই,যন্ত্রের সংশোধন না মানসিকতার।

আবীর কর

ঝাড়গ্রাম

বরং বেকারদের

প্রতিটি নির্বাচনের আগেই ভোটকর্মীর অভাব দেখা যায়। পঞ্চায়েত ভোটের সময় এমনও দেখা যায়, কিছু শিক্ষক ভোটের কাজে না যাওয়ার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হন। আবার, সরকার যখন বিভিন্ন দফতর থেকে ভোটের জন্য কর্মী তুলে নেন, বহু পরিষেবা ব্যাহত হয়। তাই বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতীকে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে, নিযুক্ত করা হলে, নির্বাচনের কাজও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে, তাঁদেরও কিছু রোজগার হবে। যে সব বেকার যুবক-যুবতীর নাম এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জে (বর্তমানে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক) নথিভুক্ত রয়েছে, তাঁদের অনায়াসে এ কাজে নিয়োগ করা যেতে পারে।

তুষার ভট্টাচার্য

কাশিমবাজার, মুর্শিদাবাদ

‘নাটুকে’?

সম্প্রতি কোনও রাজনৈতিক মিথ্যাচারকে নাটক বলার রেওয়াজ চালু হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রতিপক্ষকে কটূক্তি করার জন্য ‘নাটুকে’, ‘অভিনেতা’ বা ‘অভিনেত্রী’ অভিধায় প্রায়শই আখ্যায়িত করছেন। নাটক অতি প্রাচীন একটি শিল্পকর্ম। একে ‘পঞ্চম বেদ’ বলা হয়। এক সার্থকনামা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হয়ে ওঠার জন্য প্রবল সাধনা ও যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তাই অনুরোধ, তিরস্কার করতে গিয়ে, নাটকের অসম্মান করবেন না।

নন্দিতা তমসা হালদার

সম্পাদক, নান্দনিক নাট্যগোষ্ঠী

পরিবেশ স্লোগান

এ বারও বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা চমৎকার স্লোগান আর প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে জনসাধারণের মন জিততে চাইবেন। কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হল পরিবেশ, তা নিয়ে ম্যানিফেস্টোগুলোয় দু’চার লাইন মাত্র বরাদ্দ থাকে, তাও শেষের দিকে। বেশির ভাগ ভাষণেই এই বিষয়ে একটিও শব্দ খরচ করা হয় না। অথচ এখন আমাদের দেশের প্রায় সব শহর দূষণের কবলে জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে আমরা সচেতন না হলে, প্রলয় আসবেই, আর তা ধনী-গরিব, হিন্দু-মুসলিম, সবাইকে সমান ভাবে গ্রাস করবে। কারণ এখনও সবার মাথায় একটাই আকাশ, শত চেষ্টা করেও আকাশ ভাগ করা যায়নি। হয়তো যে দিন রাজনৈতিক নেতারা অক্সিজেন মাস্ক পরে মঞ্চে উঠবেন, সে দিন পরিবেশ নিয়েও স্লোগান লেখা হবে।

সেখ মহম্মদ আসিফ

হলদিয়া

লিখন ভালই

‘দেওয়াল লিখন কেন?’ (২৩-৩) চিঠির প্রসঙ্গে বলতে চাই, দেওয়াল লিখন সব সময় খারাপ জিনিস‌ও নয়। দেওয়াল লিখনের মধ্যে শৈল্পিক ভাবনা রয়েছে, প্রায়ই চমৎকার রসবোধেরও পরিচয় পাওয়া যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার অবশ্যই করা যায়, কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কুৎসার ছড়াছড়ি। রাজনৈতিক দলাদলি, হিংসা আর ধর্মীয় বিদ্বেষের পীঠস্থান হয়ে উঠেছে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে, দেওয়াল লিখন খারাপ কী? আর বহু মানুষ এখনও ঠিক করে ফোন ব্যবহার করতে পারেন না গ্রামের দিকে, সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার।

আবু তাহের

ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ

প্রতিশ্রুতি

বলেই রাখি, কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতা যদি এমন প্রতিশ্রুতি দেন, ‘‘দেশের সকল নাগরিকের কাছে সরকারি খরচে সুপেয় পানীয় জল পৌঁছে দেব’’, তা হলে ভোটটা তাঁকেই দেব, না হলে ভোট না-দেওয়াটাও আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।

তাপস প্রামানিক

বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Udayer Pathe Cinema
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy