এত সর্তকতা-ধমকের পরেও আবারও এবং বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে কেন? —ছবি পিটিআই
আরও একবার অবিকল সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলাম আমরা। শাসক দলের নেতা-কর্মীদের সভা, উপচে-পড়া ভিড়, মঞ্চে মাইক হাতে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সুপরিচিত দৃশ্যের অবধারিত অনুষঙ্গও শুক্রবার আরও একবার উঠে এল নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূল-সভায়। অনেক পেয়েছেন, এ বার কাজ করুন। দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
এমনটা তো নয়, হুমকি-ধমক-হুঁশিয়ারি এই প্রথম দিলেন দলনেত্রী। ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের পরেই প্রকাশ্য সভায় কখনও নাম করে, কখনও বা না-করে একই ভাবে কটু বাক্য বলতে শুনেছি তাঁকে। এমনকি, নেতাজি ইন্ডোরে যে দলীয় নেতাদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বললেন, ‘‘কে কোথা থেকে টাকা তোলে, সব খবর দিদির কাছে আসে’’, এই কথাও যে এই প্রথম বললেন, তা-ও তো নয়। কখনও বলছেন তোলাবাজির কথা, কখনও সিন্ডিকেটের। দুর্নীতির প্রসঙ্গ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় বক্তৃতায় উঠে এসেছে অবধারিতভাবেই, হিমশৈলের চূড়ায় ইঙ্গিত দিয়েই যেন।
প্রশ্নটা সেখানেই উঠছে। এত সর্তকতা-ধমকের পরেও আবারও এবং বারবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে কেন? তিনি নিজে নিষেধ করা সত্ত্বেও হয়েই চলেছে কেন একই কাণ্ড? নিয়ন্ত্রণে থাকছে না আর সব কিছু? অবাঞ্ছিত কার্যকলাপ আটকানোর জন্য দরজার খিলটাই কি আর নেই আসলে?
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
পরীক্ষাটা তৃণমূল কংগ্রেসের যতটা, ততটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ন্যাড়া কিন্তু বেলতলায় যাওয়ার ভুল একবারই করে। তার পরেও যদি বারবার যেতে দেখি, তাহলে বুঝতে হবে, হয় সে ন্যাড়া নয়, অথবা বেলগাছে কোনও বেলই নেই।
আরও পড়ুন: কে টাকা তোলে সব জানি: মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy