Advertisement
E-Paper

আরও দুর্জয় হয়ে উঠবে ভারত, জেনে নিক ষড়যন্ত্রীরা

জঘন্য হামলা, বিভৎস হত্যালীলা, কাপুরুষোচিত। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে যে হামলা হল, তা নিন্দার জন্য কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয়।

অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩০
হামলার পর। ছবি: পিটিআই।

হামলার পর। ছবি: পিটিআই।

জঘন্য হামলা, বিভৎস হত্যালীলা, কাপুরুষোচিত। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে যে হামলা হল, তা নিন্দার জন্য কোনও ভাষাই যথেষ্ট নয়।

এত ভয়াবহ রক্তপাত শেষ কবে দেখেছে উপত্যকা? ২০১৬ সালে উরির সেনা ছাউনিতে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল। ১৯ সেনাকর্মীর প্রাণ গিয়েছিল। সে হামলায় স্তম্ভিত হয়েছিল গোটা ভারত। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় যে জঘন্য হত্যাকাণ্ড চালানো হল, ভয়াবহতায় তা উরি হানার চেয়েও মারাত্মক।

জঙ্গি হামলার ভয়াবহতা সংক্রান্ত তুল্যমূল্য বিচারে আটকে থাকার সময় অবশ্য এটা নয়। সময়টা জাতীয় শোকের, সময়টা প্রত্যুত্তরের অঙ্গীকার নেওয়ার। আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের উপরে যে ভয়ঙ্কর আঘাত নেমে এল, তাতে গোটা দেশ বিচলিত। সমগ্র ভারতবাসী সমবেদনায় একাত্ম্য সিআরপিএফ-এর সঙ্গে। কিন্তু এ ভাবে রক্তের উৎসবে মেতে যে ভারতকে দুর্বল করা যাবে না, সেই বার্তাটা দেশের চরম শত্রুদের দেওয়া এখন খুব জরুরি এবং সমগ্র ভারত সেই প্রত্যুত্তরের প্রতীক্ষা শুরু করে দিয়েছে।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা সম্পর্কে এগুলি জানেন? খেলুন কুইজ

সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন

জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হানার যে উপাখ্যান দশকের পর দশক ধরে লেখা হচ্ছে, তার সবচেয়ে রক্তাক্ত অধ্যায়গুলোর অন্যতম হয়ে উঠল পুলওয়ামার এই হামলা। জইশ ই মহম্মদ এই হামলার দায় সোল্লাসে স্বীকার করেছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে এ ভাবে আঘাত করতে পেরে জঘন্য ষড়যন্ত্রীরা সম্ভবত উৎসব শুরু করেছে। কিন্তু প্রত্যেক ভারতীয়ের তরফ থেকে এই বার্তা আজ ষড়যন্ত্রীরা জেনে নিক যে, সমগ্র জাতি এই কাপুরুষোচিত হত্যালীলার বিরুদ্ধে সংহত, এর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রশ্নে প্রত্যক ভারতীয় নাগরিক দৃঢ় ভাবে রাষ্ট্রের পাশে দাঁড়াবে।

আরও পড়ুন: উরির চেয়েও ভয়াবহ, পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জৈশ হামলা, হত বেড়ে ৪০

সন্ত্রাসবাদকে যে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু সন্ত্রাসের থাবা যখন এতটা কড়াল হয়ে ওঠে, তখন আর বিন্দুমাত্র সহিষ্ণুতা দেখানোও চলে না। সহ্য যে করা হবে না, জওয়ানদের এই আত্মত্যাগ যে বৃথা যাবে না, সে বার্তা প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, ভারতকে কতদিন আর এই ভাবে ভয়াবহ রক্তপাতের সম্মুখীন হতে হবে? সহ্যের সীমা রয়েছে, ধৈর্য্যের বাঁধ রয়েছে। সে সব যখন অতিক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে, তখন প্রত্যাঘাতটাও যে সাংঘাতিক হতে পারে, কাশ্মীর উপত্যকায় বা উপত্যকার আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা চক্রান্তকারীরা এবং সন্ত্রাসের মদতদাতারা সে কথা ভালভাবে বুঝি নিক।

সন্ত্রাসবাদীদের এবং সন্ত্রাসের মদত দাতাদেরা আরও একটা বার্তা খুব স্পষ্ট করে আজ দেওয়া জরুরি— এ রকম ঘৃণ্য আঘাত হেনে ভারতকে দুর্বল করা যাবে না, এ ভাবে রক্তের উৎসবে মেতে কোনও ষড়যন্ত্র সফল করা যাবে না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে লড়ছে ভারত। সন্ত্রাস যে ভাবে ভারতকে আঘাত করেছে বারে বারে, পৃথিবীর আর কোনও গণতন্ত্রকে সম্ভবত সে ভাবে সন্ত্রাসের নিশানা হয়ে উঠতে হয়নি। কিন্তু নিরন্তর আঘাতও ভারতের অগ্রগতি রুখে দিতে পারেনি, একের পর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র ভারতীয়দের মনোবল ভাঙতে পারেনি। প্রত্যেকটা আঘাত দৃঢ়তা বাড়িয়ে দিয়েছে এই সুবিশাল জাতির। এ বারও বজ্র কঠিন অঙ্গীকার রইল— সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারত আগের চেয়েও দুর্জয় হয়ে উঠবে। উপযুক্ত প্রত্যুত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা শুরু করে দিক ষড়যন্ত্রীরা।

Anjan Bandyopadhyay Newsletter অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় পুলওয়ামা পুলওয়ামা হামলা Pulwama Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy