রুপো জয়ের পর সোনার মেয়ে সিন্ধু। ছবি: পিটিআই।
যা কিছু চক চক করে, তাই সোনা নয়। এ সত্য চিরন্তন। কিন্তু, রুপোর ঝিলিকেও যে সোনার সন্ধান হতে পারে, সে সত্যের কথা জানালেন পিভি সিন্ধু।
শিখরস্পর্শী এক লড়াইয়ে তথ্যের খাতিরে যদি বলতে হয়, সিন্ধু নামের এক ভারতীয় কন্যা রুপোর পদক পেয়েছিলেন, তবে তাতে ইতিহাসের সার্বিক বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকবে না। ইতিহাস সাক্ষী, সিন্ধুর রুপোয় আজ সোনার দ্যুতি।
একে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ক্রমাগত পরাজয় দীর্ণ কোনও এক ভারতবাসীর আবেগঘন উচ্ছ্বাসগাথা বলে ভাবলে ভুল হবে। সিন্ধু উঠে এলেন কোথা থেকে? কন্যাভ্রূণ হত্যায় নির্বিকার এক সমাজ, যদিও বা জন্মায় এবং বাঁচে তবে বিবাহ ও গৃহকর্মে নৈপুন্য অর্জনই সে কন্যার একমাত্র লক্ষ্য বলে স্থির হয় যেখানে, খেলার পরিকাঠামো তৈরিতে যেখানে উদাসীন রাষ্ট্র, যদিও বা কিছু থাকে সেখানে পুরুষের প্রথম অধিকার— সেখান থেকে। এ সব পেরিয়েও এগোতে থাকছে যে মেয়ে, সোনা ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে গোটা দেশকে, খাপ পঞ্চায়েতের মোড়ল থেকে শুরু করে কন্যা ভ্রূণের ঘাতক হয়ে ক্রীড়া বিমুখ বুদ্ধিজীবী এবং আসমুদ্র হিমাচল আম ভারতবাসীকে যে মেয়ে এক পঙ্ক্তিতে বসিয়ে দেয় শ্বাস টানটান অবস্থায়, সে মেয়েকে সোনার মেয়ে ছাড়া আর কি বা বলতে পারি?
পিভি সিন্ধু শুধুমাত্র এই কারণেই ইতিহাস হয়ে গেলেন। দীপা কর্মকার, সাক্ষী মালিকদের পথেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy