প্রতীকী ছবি।
বদল কোথাও হয় না। শুধু চলতে থাকে বদলার পরম্পরা। বদলের নামে যা হয়, তাও আসলে বদলা বা প্রতিশোধই। প্রমাণ করল ত্রিপুরা।
স্লোগান ছিল 'চলো পাল্টাই'। কিন্তু কী পাল্টানোর ডাক ছিল? অপশাসন বা অন্যায় যদি কিছু ঘটে থাকে দীর্ঘ বাম রাজত্বে, তা হলে সেই অপশাসনের দিনগুলোকে পাল্টে দেওয়ার ডাক ছিল নিশ্চয়ই। লাল স্বেচ্ছাচার পাল্টে গেরুয়া স্বৈরাচার আনার কথা নিশ্চয়ই বলেনি বিজেপি। তা হলে এটা কী চলছে ত্রিপুরায়? নবম শ্রেণির প্রশ্নপত্রে বিজেপি-কে নিয়ে টিকা লেখার নির্দেশ? বিজেপি রাজ্যের শাসক দল, সুতরাং রাজ্যের প্রতিটা নাবালককেও জানতে হবে বিজেপির নাড়ি-নক্ষত্র, ঠিকুজি-কুষ্ঠি! চিন্তাধারা দেখলে বিস্ময়ের আর অবধি থাকে না যে!
পরিণত গণতন্ত্রের মুখটা কিন্তু এ রকম হয় না। ডান-বাম নির্বিশেষে ভারতের প্রায় সব রাজনৈতিক দল বেশ গর্ব করে ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো নিয়ে। ভারতকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করার সময়ে গরিমায় প্রসারিত হয় তাঁদের বক্ষ। কিন্তু সেই গরিমার প্রতি যে পরিমাণ শ্রদ্ধা ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর রয়েছে, তার সিকিভাগ যদি থাকত গণতন্ত্রের প্রতি, তা হলে এমন সব ঘটনা ঘটত না। বামেরা ক্ষমতায় এলেই ভারতের ইতিহাস ছেঁটে পাঠ্যক্রমে মার্ক্সবাদের ইতিহাসের দাপটের অভিযোগ উঠত না| বাম শাসনের অবসান হওয়া মাত্র পাঠ্যক্রমের গৈরিকীকরণের অভিযোগও মাথাচাড়া দিত না।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
গণতন্ত্রের পথে তো নতুন হাঁটছি না আমরা। সাত দশকেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও নাবালকের মতো আচরণ কি প্রত্যাশিত? সেই আচরণ যদি দেশের শাসক দলের কাছ থেকে আসে, তা হলে পরিস্থিতিটা আরও অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে না কি?
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় স্কুলের প্রশ্নপত্রেও বিজেপিকে নিয়ে টিকা লিখতে বলা হল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy