Advertisement
০৫ মে ২০২৪

ভারতীয় সমাজে আম আদমির প্রসারণ ঘটেছে

আমজনতা কি সভ্যতার পিলসুজ, মাথায় প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে? উপরে সবাই আলো পায় আর তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে পড়ে? প্রশ্ন তুললেন জয়ন্ত ঘোষালআমজনতা কি সভ্যতার পিলসুজ, মাথায় প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে? উপরে সবাই আলো পায় আর তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে পড়ে? প্রশ্ন তুললেন জয়ন্ত ঘোষাল

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share: Save:

গুপী গাইন বাঘা বাইন ছবির একটি জনপ্রিয় দৃশ্য। মন্ত্রীমশাই জহর রায় স্থির। আর গুপী-বাঘা গান গাইছে, ‘ও মন্ত্রীমশাই ষড়যন্ত্রী মশাই...।’ পাথরের মতো চুপ মন্ত্রীর গা থেকে রত্নখচিত জোব্বাটি খুলে নিয়ে গুপী সেটি পরিয়ে দেয় এক নিরীহ বর্শাধারী সান্ত্রীকে। এর পর গান গাইতে গাইতে গুপী-বাঘা পালিয়ে যেতেই সম্বিৎ ফিরে পেয়ে মন্ত্রীমশাই প্রথমেই কিড়মিড়িয়ে চিৎকার করে ওঠে; ভাবটা পরিষ্কার— আমার জামা ফেরত দে। মন্ত্রী নামক ভিভিআইপি-র জামা পরে ফেলেছিল আম আদমি। আর জামা ছেড়ে মন্ত্রীর কি শ্রেণিচ্যুত হওয়ার ভয়?


রামলীলা ময়দানে আম আদমি পার্টি-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল।

কে এই আমজনতা? কে সাধারণ মানুষ? আর কে লক্ষ্মণের কার্টুনের ‘কমনম্যান’ কি সাধারণ-মধ্য-নিম্নবিত্ত? বলিউডের ছবি ‘আ ওয়েডনেস ডে’র স্টুপিড কমনম্যান নাসিরুদ্দিন শাহ? ‘দ্য মর্ডান টাইমস্’ ছবির ভেড়ার পালের এক জন? সেই যন্ত্র হয়ে যাওয়া শ্রমিক চার্লি চ্যাপলিন? এই প্রতিটি দৃষ্টাম্ত থেকে একটি কথা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, আমজনতা দেশের সেই নাগরিক যে কোনও ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতা তথা কর্তৃত্বের প্রত্যক্ষ ভাগীদার নয়। ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়া থেকে সেই মানুষটি বিচ্ছিন্ন। অরবিন্দ কেজরীবালের জয়ের পর এই প্রশ্নটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। আম আদমি আজ আর শুধু নিম্নবর্গ নয়। আম আদমির প্রসারণ ঘটেছে ভারতীয় সমাজে।

অর্থাৎ, শুধুমাত্র আর্থ-সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে আমজনতাকে আজ আর নির্ধারণ করা যায় না। শুধুমাত্র ধনী-দরিদ্রের বিভাজনের মাধ্যমে আম আদমির প্রতিনিধিত্ব বা সংজ্ঞা নিরূপণ করতে গেলেও প্রশ্ন উঠবে, মাথাপিছু কত টাকা আয়কে গরিব মানুষের আয় বলা হবে? দারিদ্র সীমারেখার নীচে থাকা মানুষ কি আমজনতা? তা হলে শহুরে বস্তিবাসী যাদের ছাদে ডিশ অ্যান্টেনা দেখা যায়, বাড়ির মেয়েটি বিউটি পার্লারে ফেসিয়াল করে, সে কি আমজনতা?

রুশোর আত্মজীবনী ‘দ্য কনফেশন’-এ জানা যায়, ফ্রান্সের তৎকালীন সমাজে নানা সামাজিক স্তর ছিল। ‘দ্য ফার্স্ট এস্টেট’ এই স্তরে অভিজাত সম্প্রদায়ের উচ্চবংশীয় বিত্তশালী মানুষেরা ছিল। ‘দ্য সেকেন্ড এস্টেট’-এ ছিল ফ্রান্সের ধর্মীয় সম্প্রদায় ধর্মযাজক পাদ্রী। ‘দ্য থার্ড এস্টেট’-এ সাধারণ মানুষ, কৃষক-শ্রমিক অতিদরিদ্র সর্বহারা। এই সাধারণ মানুষের উপর অন্য দুই শ্রেণি অত্যাচার চালাত। রুশো সাহসিকতার সঙ্গে নিজের নামে ওই শোষিত আমজনতার পক্ষে কলম ধরেছিলেন।

কার্ল মার্কসের সাধারণ মানুষ সর্বহারা প্রলেতারিয়েত। মার্কসীয় শ্রেণিতত্ত্বে রয়েছে শোষক-শোষিতের বিভাজন। সেখানে পাতি বুর্জোয়া মধ্যবিত্ত সম্পর্কে মার্কসীয় ব্যাখ্যায় সীমাবদ্ধতা ছিল। এই মধ্যবিত্ত সমাজকে দোদুল্যমান সামাজিক স্তর হিসাবে দেখা যাচ্ছে। এই স্তর আর্থিক সমৃদ্ধি বলে ঊর্ধ্বমুখী সামাজিক সচলতার সাহায্যে শাসক শ্রেণিভুক্ত হয়, আবার আর্থিক আনুকূল্য হারিয়ে শ্রেণিচ্যুত হয়ে শোষিত সর্বহারা শ্রেণিভুক্ত হয়। সাবেক মার্কসবাদ থেকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি। এখন উত্তর-আধুনিকতা পর্বে মার্কসীয় শ্রেণিতত্ত্বেও অনেক সংস্কার হয়েছে। মধ্যবিত্ত সমাজ নিছক একটি স্তর নয়, একটি বিশেষ শ্রেণি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আধুনিক সমাজব্যবস্থায় নাগরিক সমাজও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে, যে জনসমাজে আমজনতা শুধুমাত্র আর্থিক প্রেক্ষিতে বিচার্য হবে না। মিশেল ফুঁকো তাঁর ক্ষমতার ধারণাতেও দেখিয়েছেন, ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র আর্থিক পূর্বশর্ত দিয়ে নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকেও বিচারের প্রয়োজন। বস্তুত, ইতালির কমিউনিস্ট নেতা গ্রামশিও যে সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের তত্ত্ব দিয়েছিলেন, তা থেকেও বোঝা গিয়েছিল, সাধারণ মানুষ সেই-ই যে প্রশাসনিক ক্ষমতার বৃত্তের বাসিন্দা নয়।

গ্রিক যুগেই ‘নগর রাষ্ট্র’ শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। পশ্চিমি দুনিয়ায় রাষ্ট্র ও সরকারের সঙ্গে সমাজের ফারাক করার প্রক্রিয়াটি অনেক আগে শুরু হয়। পরে জন্ম নেয় জাতি রাষ্ট্র। বুর্জোয়া গণতন্ত্রের বিকাশ কালে জাতি-রাষ্ট্র-সমাজ অনেকটাই গুলিয়ে যায়। সমাজতাত্ত্বিকরা ধীরে ধীরে বোঝান যে, এক জন জাতীয়তাবাদী ভাল নাগরিক না-ও হতে পারেন। এক জন আম নাগরিক জাতীয়তাবাদী না হয়েও ভাল নাগরিক হতে পারে, যে সরকারকে কর জমা দেয় সুষ্ঠু ভাবে। দেশের দণ্ডবিধি অনুসরণ করেই সে জীবনযাপন করে। আবার সেই সাধারণ নাগরিক রাষ্ট্রবিরোধী নয়। সে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেও নাগরিক স্বাধীনতা কামনা করে।


জনতার দরবারে মহাত্মা গাঁধী।

লক ও হেগেলের মতো প্রাচীন দার্শনিকেরা নাগরিক সমাজের কথা বলেছিলেন। লক প্রকৃতির আইনের কথা বলেছিলেন, যেখানে এক সুশাসনের মধ্য দিয়ে মানুষের মূল্যবোধকে শাসককুল সংরক্ষিত করছে। কিন্তু, সেখানে আমজনতার বিপ্লব বা বিদ্রোহ করার অধিকার থাকে কি? John Dunn লিখেছেন, “The key premises of Lockes analysis of the right to revolution are the right of the people at large to judge when their rulers have broken their trust. This right of judgement at some points in his text, is extended as a right (though it is certainly not recommends as a policy) even to single individual subjects. When the people do so judge and act upon their judge-ment, they make what Locke describes as an Appeal to Heaven. And heaven is quite literally the tribunal which must in the; as instance adjudicate. What the law of nature demands of human agents and punish and reward them accordingly-Locke took the idea of an avenging God with the utmost seriousness. The hand of almighty visibly held up and prepared to take vengeance.” (Civil Society History and Possi-bilities, Edited by Sudipta Kaviraj and Sunil Khilnani, pg.53)

হেগেল মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেটাই ছিল ‘the worthiest and holiest thing in man (The philosophy of Rights)। মার্কস হেগেলীয় নাগরিক সমাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। শ্রেণিহীন যে সমাজের স্বপ্ন মার্কস দেখেছিলেন সেখানেও নাগরিক আমজনতার সমাজটি একরূপী নয়, বরং বহুধা। একে নাগরিক সমাজ অর্থাৎ আমজনতার সমাজ বললেও সমস্যার সমাধান হয় না। এই নাগরিক সমাজেও আছে নানা স্তর। মেট্রোপলিটন মধ্যবিত্ত মন এবং নিম্নবর্গের প্রান্তিক ও অন্ত্যজ মানুষের মধ্যেও ব্যবধান অনেকখানি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, উচ্চবর্গ/নিম্নবর্গ দু’টিকে শাসক শ্রেণি/শাসিত শ্রেণির প্রতিশব্দ হিসাবেও সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা চলে না। কারণ, অসম বিকাশের অবস্থায় সামাজিক ক্ষমতা সব সময় আইনবদ্ধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হিসাবে প্রতিপন্ন না-ও হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ১৯৩০ সালে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, চিরকালই মানুষের সভ্যতায় একদল অখ্যাত লোক থাকে, তাদের সংখ্যা বেশি, তারাই বাহন, তাদের মানুষ হওয়ার সময় নেই, দেশের সম্পদের উচ্ছিষ্টে তারা পালিত। সবচেয়ে কম খেয়ে, কম পড়ে, কম শিখে বাকি সকলের পরিচর্যা করে, সকলের চেয়ে বেশি তাদের পরিশ্রম, সকলের চেয়ে বেশি তাদের অসম্মান। কথায় কথায় তারা উপোসে মরে, উপরওয়ালাদের লাথি-ঝাঁটা খেয়ে মরে। জীবনযাত্রার যত কিছু সুযোগ-সুবিধা সব কিছু থেকেই তারা বঞ্চিত। তারা সভ্যতার পিলসুজ, মাথায় প্রদীপ নিয়ে খাড়া দাঁড়িয়ে থাকে, উপরে সবাই আলো পায়, তাদের গা দিয়ে তেল গড়িয়ে পড়ে।

জনগণের সম্মতি

এই আমজনতার রাজনীতির সম্যক পরিচয় পেতে গেলে তাই এর বিপুল জনসমাজের নানা স্তরের কথা স্বীকার করতে হবে। আমজনতার রাজনীতি বলতে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কথা আমরা বলি তা এই বহুর মধ্যে একের সন্ধান। বহুগামী সমাজে ঐক্য ও সাম্য প্রতিষ্ঠা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থে। সংবিধানে সমানাধিকারের অর্থ তো দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান ভাবে দেখা। কিন্তু সে গণতন্ত্রেও কি সবাই আমজনতা? ফরাসী বিপ্লবে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমজনতার রাজনৈতিক বিদ্রোহ তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানেও আমজনতার রাজনীতি ছিল রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে।

আবার ভারতের প্রেক্ষাপটে যদি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হয়, তা হলে স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে অভিজাত কংগ্রেস নেতৃত্বের চৌহদ্দি থেকে আন্দোলনকে দেশের বৃহৎ জনগণের সঙ্গে যুক্ত করা কৃতিত্ব কিন্তু অনেকটাই গাঁধীজীর। সেই গণজমায়েত মূলত বহির্শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছিল। কিন্তু ১৯৭৭ সালে দেখা গেল আমজনতার চেতনা অভিজাত শাসকতন্ত্রের বিরুদ্ধেও ধীরে ধীরে জাগরিত হতে পারে। কাজেই স্বাধীনতার পর ভারতীয় রাজনীতিতে আমজনতার রাজনীতি যে কোনটা তার সংজ্ঞা নিরূপণও সহজ কাজ নয়। রুশোর সাধারণ ইচ্ছা বললেও কি তা সামগ্রিক সমাজের প্রতিটি মানুষের ইচ্ছা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার প্রকাশ ঘটায়? বাজেট পেশের আগে দেশের অর্থমন্ত্রী ও সমাজের নানা গোষ্ঠী প্রাক্-বাজেট আলোচনা পর্বে সামিল হন। তখন দেখি, অর্থমন্ত্রী দেশের শিল্পপতিদের সঙ্গেও কথা বলছেন আবার শ্রমিক-কৃষক-ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গেও কথা বলছেন। এই দুই গোষ্ঠীর স্বার্থের মধ্যে কিন্তু প্রবল সংঘাত আছে। মালিক ও শ্রমিক, দু’জনেরই স্বার্থের মধ্যে সমন্বয়সাধন অর্থমন্ত্রীর কাজ। কিন্তু শিল্পপতি তো আমজনতা নয়।


কলকাতার সমাবেশে জয়প্রকাশ নারায়ণ।

মার্কসীয় তত্ত্ব শ্রেণি সমন্বয় নয়, শ্রেণি সংঘাতের তত্ত্ব। কিন্তু সেই শ্রেণি সংঘাতের তত্ত্বে একটা সরলীকরণ এখন বোঝা যাচ্ছে। শ্রেণির মধ্যেও অনেক স্তর রয়েছে। আমজনতার মধ্যেও কত স্তর। ম্যাক্স ওয়েবার সামাজিক স্তরের কথা বলেন। মার্কসীয় শ্রেণিতত্ত্বের পর্ব থেকে ম্যাক্স ওয়েবারের সামাজিক স্তরবিন্যাস আরও এক ধাপ এগনো। শ্রীনিবাসন থেকে আন্দ্রে বেঁতে এই সামাজিক স্তরবিন্যাসকে ভারতীয় জাতপাত ব্যবস্থার নিরিখে দেখতে চেয়েছেন। মিশেল ফুঁকো তাঁর তত্ত্বেও সামাজিক শ্রেণিস্তরগুলিকে ক্ষমতার নিরিখে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমজনতা মানেই নিম্নবর্গ নয়। মধ্যবিত্ত সমাজ ভারতে ক্রমবর্ধমান। এখন তো ভারতে প্রায় ২৫ কোটি মানুষ মধ্যবিত্ত। তিতুমীরের আন্দোলন থেকে নীল চাষিদের বিদ্রোহ, তেভাগা থেকে তেলেঙ্গানা— সে সব আন্দোলন ছিল আমজনতার রাজনীতি। যখন নাগরিক সমাজ সচেতন হয়ে ওঠে, যেমন এ দেশে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে গত শতকের মধ্য সত্তরের আন্দোলন হয়েছিল, যে ভাবে অণ্ণা হজারে থেকে কেজরীবাল আন্দোলন হয়েছে, তখন আমজনতার মধ্যেকার নান স্তরের কথা উঠে আসে। যেমন আজ প্রশ্ন তুলেছেন অমর্ত্য সেনও। এই সব নাগরিক আন্দোলনের রাজনীতিও মূলত মধ্যবিত্ত সমাজের জন্য, নিম্নবর্গ অন্ত্যজ মানুষের জন্য নয়।

গ্রামশি ‘কারাগারের নোটবই’-তে ‘সাব অল্টার্ন’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। একটি অর্থে এটি সরাসরি প্রলেতারিয়েতের প্রতিশব্দ। আবার পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় এই শ্রেণিটিই শ্রমিক শ্রেণি। বুর্জোয়া শ্রেণি কেবলমাত্র শাসনতন্ত্রে তার প্রভুত্বই প্রতিষ্ঠা করে না, সৃষ্টি করে এক সামাজিক কর্তৃত্ব বা হেজেমনি। তাই আমজনতার রাজনীতিও শুধু ক্ষমতাকেন্দ্রিক নয়, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। তাই আমজনতার রাজনীতি হল সার্বভৌমত্বের অধিকারে প্রজাদের অংশীদার হওয়ার দাবি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় (প্রজা ও তন্ত্র) বলেছেন, সার্বভৌমত্বের মূল সূত্র হল জনগণের সম্মতি।


—ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jayanta ghosal shahi samachar sahi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE