Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Sabitri Mitra

WB Election: মানিকচক জয়ের অঙ্কে ‘নির্ণায়ক’ ভূতনি দ্বীপ! ভোটার-মন পেতে মরিয়া সাবিত্রী-মোক্তাকিন-গৌড়

গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর বুকে গজিয়ে ওঠা ভূতনি দ্বীপে প্রায় ১ লক্ষের বেশি ভোটার রয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মানিকচক শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২১ ১৪:১০
Share: Save:

২০১৬ সালে কংগ্রেসের মোক্তাকিন আলমের কাছে মানিকচক হারালেও ফের জয়ের মুখ দেখতে মরিয়া তৃণমূলের সাবিত্রী মিত্র। তবে অনেকের মতে, মানিকচকের প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারেন ভূতনি দ্বীপের ভোটাররা। তাই তাঁদের মন পেতে কোমর বেঁধে নেমেছেন শাসক-বিরোধী, সব প্রার্থীরাই।

নীলবাড়ির লড়াইয়ের শেষ দফায় আগামী ২৯ এপ্রিল মালদহের মানিকচক বিধানসভা আসনে ভোট। ২০১১ সালে জিতলেও ৫ বছর পর হেরে যান সাবিত্রী। পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করে অনেকেই মেরুকরণের রাজনীতিকে দায়ী করেছিলেন। ’১৬-র ভোটে হেরে যাওয়ার পরও কার্যত মানিকচকের মাটি কামড়েই পড়েছিলেন সাবিত্রী। চলতি বারও তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী। তবে তাঁর জয়ের পথ যে পথ সুগম নয়, তা বিলক্ষণ জানেন সাবিত্রী। পদ্মফুলের কাঁটা তো রয়েইছে। সেই সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা অনিল মণ্ডল-সহ এলাকার ৭ জন নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের ভোট কাটার অঙ্কই সাবিত্রীকে জয় এনে দিতে পারে— এমন সম্ভবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ।

প্রসঙ্গত, গঙ্গা এবং ফুলহার নদীর বুকে গজিয়ে ওঠা ভূতনি দ্বীপে প্রায় ১ লক্ষের বেশি ভোটার রয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থী তথা বিদায়ী বিধায়ক মোক্তাকিন আলম ভরসা করছেন এলাকার সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের উপর। মোক্তাকিনের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভোট তাঁর পক্ষেই থাকবে। তবে ভূতনি দ্বীপের ভোটও কংগ্রেসকে নিরাশ করবে না বলে আশা মোক্তাকিনের।

ভূতনি দ্বীপের ভূমিপুত্র তথা মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন গৌড়। ভোট-যুদ্ধে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। গৌড়ের দাবি, ‘‘জেলা পরিষদের ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি রোখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোর জন্য তা করতে পারিনি। তাই বিজেপি-তে যোগদান।’’ তাঁর দাবি, ভূতনি দ্বীপের ভোটারের মতো এলাকার সংখ্যালঘুরাও তাঁকে ভোট দেবেন। তবে সাবিত্রীর পাল্টা দাবি, ‘‘ঘরে ঘরে উন্নয়ন তৃণমূলই করেছে। বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলাও তৃণমূলই করতে পারে। এই কেন্দ্রে কলেজ, হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি, ভূতনিতে ব্রিজ, থানা-সহ একাধিক উন্নয়ন করেছি। তাই এ বার তাঁরা ভুল করবেন না। ভোট তৃণমূলকেই দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE