কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পথ অবরোধ মীনাক্ষীর। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় দফার সফরের প্রাক্মুহূর্তেই নন্দীগ্রামে তোলপাড়। তাঁকে ‘শারীরিক ভাবে হেনস্থা’য় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ শুরু করেছেন নন্দীগ্রামে মমতার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শনিবার নন্দীগ্রামে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মীনাক্ষী।
মীনাক্ষীর নির্বাচনী এজেন্ট রামহরি পাত্র জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, শনিবার মীনাক্ষীকে নন্দীগ্রামের দাউদপুর এলাকায় শারীরিক হেনস্থা করা হয়। ওই ঘটনায় অভিযোগের তির উঠেছে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগের দিকে। ওই কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পর ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলে নন্দীগ্রাম থেকে টেঙ্গুয়াগামী সড়কে অবরোধ শুরু করেন মীনাক্ষী। সঙ্গে রয়েছেন জোটের কর্মী-সমর্থকরাও। নেতৃত্বে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিও। মীনাক্ষীর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার পরেও এক জন প্রার্থীর উপরে হামলা হয়েছে। সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি। এর থেকেই প্রমাণিত প্রশাসন কোনও কাজই করছে না। পুলিশও নিরপেক্ষ নয়।’’
রবিবার দুপুর দু’টো নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। তার জেরে নন্দীগ্রাম থেকে টেঙ্গুয়াগামী ওই সড়কের দু’দিকেই একাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। আটকে পড়ে নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত পুলিশ কর্মীদের গাড়িও। মীনাক্ষী যেখানে রাস্তা অবরোধ করেছেন, সেখান থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে চণ্ডীপুরে রবিবার পৌঁছন মমতা। সেখানে চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা সোহমের সমর্থনে প্রচার করেন। এর পর রেয়াপাড়ায় যাওয়ার কথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর। কিন্তু তার আগে মীনাক্ষী এবং তাঁর দলের সমর্থকদের রাস্তা অবরোধের জেরে কিছুটা অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy