আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে আগুন। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের মুখে ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য রাতের অন্ধকারে আইএসএফ কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু আইএসএফ কর্মীকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে ঘটনায়। ভাঙড়ের বোদরা অঞ্চলের সাপা গ্রামের এই ঘটনায় এখনও অবধি ২ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে সভা করেছিলেন বিমান বসু এবং আব্বাস সিদ্দিকি। সেই সভায় যোগ দিয়েছিলেন সাপা গ্রামের আব্বাস অনুগামীরা। আইএসএফ-এর সমর্থক অজিত মোল্লা সপরিবারে এসেছিলেন সেই সভায়। সভা থেকে ফেরার পরই তৃণমূলের এক দল দুষ্কৃতী তাঁদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এর পরই রবিবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাজাহান মোল্লা এবং সাত্তার মোল্লার নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতী অজিত মোল্লার বাড়িতে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে পুরো বাড়িটাই। থানায় অভিযোগ জানাতে যাওয়ার পথে অজিত মোল্লার উপর তৃণমূল কর্মীরা আবার হামলা করেন বলেও অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। কিন্তু অজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। ভাঙড় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মালেক বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাওয়ায় আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। শুধুমাত্র আইএসএফ করার জন্য রাতের অন্ধকারে কর্মীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মানুষ ঠিক সময় এর উত্তর দেবে।’’ তবে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এ বিষয়ে ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাজাহান মোল্লা বলেছেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ করে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে আইএসএফ। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। আমাদের এত খারাপ দিন আসেনি যে অন্যদের বাড়ি জ্বালিয়ে দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy