ভোটের পরেও অরিন্দমকে ভোটারদের মধ্যে মাস্ক বিলি করতে দেখা যাচ্ছে।
হুগলিতে নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ১০ তারিখ। তবে জনসংযোগ শেষ হয়নি চাঁপদানি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অরিন্দম গুঁইনের। ভোটের পরেও জনসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে পাড়ার শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে মিষ্টি এবং মাস্ক বিতরণ করেন বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অরিন্দম।
নববর্ষে মিষ্টি বিতরণের পাশাপাশি মাস্ক কেন? তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখেই এলাকার বিভিন্ন বাজারে মাস্ক বিলি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘২ মে ইভিএম খুললে বোঝা যাবে ভোটাররা কাকে নির্বাচিত করেছেন। তার আগে আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।’’
চাঁপদানিতে অরিন্দমের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন বিদায়ী বিধায়ক কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং বিজেপির দিলীপ সিংহ। অরিন্দমের কথায়, ‘‘ভোটে হারজিত থাকবে। কেউ একজন জিতবেন। কিন্তু তা বলে শহরবাসী সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে না, এটা হয় না। ভোটে জিতে বিধায়ক হলে মানুষের হয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। না হলেও মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে কোনও অসুবিধা নেই।’’
ভোট পাখি হয়ে নয়, সারা বছর মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চান চাঁপদানির তৃণমূল প্রার্থী। অরিন্দম বলেছেন, ‘‘নববর্ষের শুভেচ্ছায় মিষ্টি বিতরণের পাশাপাশি মানুষকে আবার করোনার বিপদের কথা মনে করিয়ে দিতে হবে। করোনা নতুন শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে মাস্ক পড়া খুব জরুরি। জরুরি করোনাবিধি মেনে চলা।’’ তাই নতুন বছরে সকলকে সচেতন ও সুস্থ থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy